বাড্ডার তিন খুনের ঘটনায় এখনো মামলা হয়নি
রাজধানীর বাড্ডার আদর্শ নগরের পাশে পানির ট্যাঙ্কি এলাকায় দুর্বৃত্তদের গুলির ঘটনায় আরও একজন মারা গেছেন। এই নিয়ে তিন জনের মৃত্যু হলেও এখন পর্যন্ত পুলিশ কিংবা নিহতের পরিবার কোনো পক্ষই মামলা দায়ের করেননি।
বাড্ডা থানা পুলিশ সূত্রে এ তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে। তবে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে রাজধানীর বাড্ডায় গুলিবর্ষণে তিন খুনের ঘটনা ঘটেছে বলে দাবি স্থানীয় আওয়ামী লীগের।
অন্যদিকে স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, গার্মেন্টস ব্যবসায় নিয়ন্ত্রণের বিষয়টি প্রকাশ্যে আসলেও তাদের মধ্যে রাজ্যনৈতিক দ্বন্দ্ব ছিল। তবে রাজনৈতিক ও ব্যবসায়িক দুই কারণকে সমান গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছে বাড্ডা থানা পুলিশ।
পুলিশের বাড্ডা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আবদুল জলিল জাগো নিউজকে জানান, সর্বশেষ সকাল সাড়ে ৯টায় ঢাকা মহানগর উত্তরের স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ-সাংস্কৃতিক সম্পাদক মাহবুবুর রহমান ওরফে গামা মারা যান।
গত রাতের ওই ঘটনায় গামা গুলিবিদ্ধ হলে আশঙ্কাজনক অবস্থায় গুলশানের ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাকে।
ওসি বলেন, নিহতদের পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা দায়ের করার কথা শুনেছি। তবে এখন পর্যন্ত কোনো পক্ষ থানায় আসেননি। নিহতের ময়না তদন্তের কাজ ও দাফন শেষে মামলা হতে পারে।
তবে মামলা না হলেও প্রত্যক্ষদর্শিদের বরাত, দলীয় ও পারিবারিক বক্তব্যকে গুরত্ব দিয়ে তদন্ত শুরু করা হয়েছে। মামলা দায়ের হলে তদন্ত কাজ আরও গতি পাবে বলে জানান তিনি।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৯টায় বাড্ডার আদর্শ নগরের পাশে পানির ট্যাঙ্কি এলাকায় দুর্বৃত্তদের গুলিতে ৪ জন গুলিবিদ্ধ হয়। তাদের মধ্যে ৩ জনকে ইউনাইটেড হাসপাতাল এবং অপরজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়।
ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসারত অবস্থায় শামসু মোল্লা ও ফিরোজ আহমেদ মানিক নামে দুজন মারা যায়। পরে শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯টায় গুলশানের ইউনাইটেট হাসপাতালে গুলিবিদ্ধ মাহবুবুর রহমান গামাও মারা যান।
# বাড্ডায় খুন : রাজনৈতিক নাকি ব্যবসায়িক!
# বাড্ডায় গুলিবিদ্ধ গামার মৃত্যু
# বাড্ডায় গোলাগুলিতে ২ ব্যবসায়ী নিহত
# গার্মেন্টস ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে বাড্ডায় দুই খুন
# বাড্ডায় জোড়া খুন : হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেফতারের নির্দেশ
জেইউ/এসকেডি/এমএস