গার্মেন্টস ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে বাড্ডায় দুই খুন
গার্মেন্টস ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে বাড্ডায় গুলিবর্ষণে মাধ্যমে দু`জনের নিহতের ঘটনা ঘটতে পারে বলে ধারণা করছে পুলিশ। পুলিশের বাড্ডা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আবদুল জলিল জাগো নিউজকে জানান, প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে কথা বলে জেনেছি, সাব-কন্ট্রাক্টিং এবং গার্মেন্টস ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে দ্বন্দ্বের কারণে এঘটনা ঘটতে পারে।
এর আগে, বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৯টায় বাড্ডার আদর্শনগরের পাশে পানির ট্যাঙ্কি এলাকায় দুর্বৃত্তদের গুলিতে চারজন গুলিবিদ্ধ হলে তিনজনকে ইউনাইটেড হাসপাতাল এবং অপরজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়। ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসারত অবস্থায় শামসু মোল্লা ও ফিরোজ আহমেদ মানিক নামে দুজন মারা যান।
নিহত দুজনই বাড্ডা এলাকায় সাব কন্ট্রাক্টিং এবং গার্মেন্টস নিয়ন্ত্রণের কাজ করতেন বলে জানা গেছে। ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের রেজিস্ট্রার খাতায় শামসুর বয়স ৫৩ এবং মানিকের ৪৭ লেখা হয়েছে।
গোলাগুলির কারণ জানতে চাইলে প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে মোহাম্মদ আবদুল জলিল জাগো নিউজকে জানান, বাউল সুমন নামে এলাকার একজন বাড্ডার সাব কন্ট্রাক্টিং এবং গার্মেন্টস ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ করতেন। সম্প্রতি তিনি স্ট্রোক করে মারা গেলে নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব নেন মাহাবুবুর রহমান গামা নামের আরেকজন।
তবে সুমনের অনুসারীরা গামার কর্মকাণ্ডে অসন্তুষ্ট হওয়ায় বেশ কয়েকদিন ধরেই তাদের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলছিল। এথেকেই গোলাগুলির ঘটনা ঘটতে পারে। তবে আসামি গ্রেফতারের পর এর আসল কারণ জানা যাবে জানান ওসি।
এঘটনায় গুলিবিদ্ধ বাকি দুজন হচ্ছেন আব্দুস সালাম ও মাহাবুবুর রহমান গামা। স্থানীয় ব্যবসায়ী জাকির হোসেন জানান, ১৫ আগস্টে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকী অনুষ্ঠানের জন্য তোলা চাঁদা এবং গার্মেন্টস ব্যবসায়ের টাকার ভাগাভাগি নিয়ে দ্বন্দ্ব থেকে এই পরিস্থিতির সৃষ্ট হয়। দুর্বৃত্তরা গামাকে হত্যা করার জন্যই গুলি চালিয়েছিল।
গুলিবিদ্ধরা নিজেদের বাড্ডা থানার যুবলীগ ও আওয়ামী লীগের পদধারী কর্মী দাবি করলেও এবিষয়ে পুলিশ এখনো নিশ্চিত নয় বলে জানান মোহাম্মদ আবদুল জলিল।
## বাড্ডায় গোলাগুলিতে ২ ব্যবসায়ী নিহত
এআর/বিএ