টাইম স্কেল ও সিলেকশন গ্রেড বাতিল হচ্ছে!


প্রকাশিত: ১১:০৩ পিএম, ২৭ জুলাই ২০১৫

সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য অষ্টম বেতন কাঠামোতে টাইম স্কেল ও সিলেকশন গ্রেড পদ্ধতি শেষ পর্যন্ত রাখা হচ্ছে না। চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য যে প্রস্তাব সোমবারের মন্ত্রিসভা কমিটিতে উঠছে, তাতে টাইম স্কেল ও সিলেকশন গ্রেড বাতিলের কথাই বলা আছে। অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সূত্র মতে, চলতি ২০১৫-১৬ অর্থবছরে শুধু বেতন দেয়া হবে, ভাতাসহ অন্য সুবিধা দেয়া হবে পর্যায়ক্রমে। এর আগে সপ্তম বেতন কাঠামোও কয়েক ধাপেই বাস্তবায়ন করা হয়েছিল। গত ২০১৪-১৫ অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটে সরকারি চাকরিজীবীদের বেতনভাতাসহ সার্বিক বিষয়ে বরাদ্দ রাখা হয় ২৯ হাজার ৩৫০ কোটি টাকা। এর চেয়ে পাঁচ হাজার ৮০৩ কোটি টাকা বাড়তি বরাদ্দ রাখা হয়েছে চলতি অর্থবছরের বাজেটে।

নতুন বেতনকাঠামোর জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিনকে প্রধান করে গঠিত জাতীয় বেতন ও চাকরি কমিশনের প্রতিবেদনে টাইম স্কেল ও সিলেকশন গ্রেড বাতিলের সুপারিশ করা হয়। পরে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব মোহাম্মদ মোশাররাফ হোসাইন ভূইঞার নেতৃত্বাধীন সচিব কমিটিও তা বহাল রাখে।

বেতন কাঠামো বাস্তবায়নের কাজ করে মূলত অর্থ বিভাগের বাস্তবায়ন অনুবিভাগ। এ বিভাগ যাবতীয় কাজ শেষ করার পরই মন্ত্রিসভার বৈঠকে উপস্থাপনের জন্য খসড়া তৈরি করা হয়েছে বলে জানা গেছে।

এদিকে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত সোমবার সচিবালয়ে বাংলাদেশ ইংলিশ মিডিয়াম স্কুল অ্যাসোসিয়েশনের একটি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে অনুষ্ঠিত বৈঠক শেষে এক প্রশ্নের জবাবে সাংবাদিকদের শুধু বলেন, ‘সোমবার শুধু নতুন বেতন কাঠামো অনুমোদনের প্রস্তাব মন্ত্রিসভায় উঠবে।’

টাইম স্কেল ও সিলেকশন গ্রেড বাতিল ঠেকাতে তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীরাই সোচ্চার নন, বিসিএস ক্যাডারের কর্মকর্তারাও রয়েছেন। তারা বলছেন, পদোন্নতির সময় হলেও ঠিক সময়ে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পদোন্নতি হয় না। এ জন্য পদোন্নতির নির্ধারিত সময় থেকে আর্থিক সুবিধা হিসেবে সিলেকশন গ্রেড দেয়া হয়। আবার চাকরির একটি নির্ধারিত সময় অনুযায়ী টাইম স্কেল দেয়া হয় তাদের।

অন্যদিকে অর্থ বিভাগের কর্মকর্তারা বলছেন, পদোন্নতি হোক বা না হোক, নতুন কাঠামোতে পাঁচ বছর পরপর স্বয়ংক্রিয়ভাবে বেতনভাতা বৃদ্ধির একটি ব্যবস্থা রাখা হচ্ছে। বিরোধিতাকারীরা না বুঝেই বিরোধিতা করছেন। তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীরাই হচ্ছে মোট সরকারি চাকরিজীবীর ৬০ শতাংশ। তাঁদের মধ্যে মেডিকেল টেকনোলজিস্ট, ডিপ্লোমা ফার্মাসিস্টসহ কিছু ব্লক পদ (পোস্ট) রয়েছে। এসব পদে পদোন্নতি পেয়ে ওপরে ওঠার সুযোগই নেই।

নতুন কাঠামোতে সর্বোচ্চ বেতন থাকছে ৭৫ হাজার টাকা ও সর্বনিম্ন আট হাজার ২৫০ টাকা। তবে মন্ত্রিপরিষদ ও মুখ্যসচিবের বেতন ৯০ হাজার টাকা (নির্ধারিত) এবং সিনিয়র সচিবের বেতন ৮৪ হাজার টাকা (নির্ধারিত)। অর্থমন্ত্রী বাজেট ঘোষণার আগেই জানিয়ে রেখেছেন যখনই ঘোষণা আসুক না কেন এ বছরের ১ জুলাই থেকে নতুন কাঠামোতে বেতন পাবেন সরকারি চাকরিজীবীরা।

## দুই সপ্তাহের মধ্যে বেতন কাঠামো চূড়ান্ত হচ্ছে
# প্রধানমন্ত্রীর টেবিলে পে কমিশনের প্রতিবেদন
# জুলাই থেকে এরিয়ার বিল পাবেন সরকারি চাকরিজীবীরা
# নতুন বেতন নির্ধারণে অভিন্ন নীতিমালার দাবি
# নতুন পে স্কেলে বেতন জুলাই থেকে
# অর্থমন্ত্রীর কাছে নতুন বেতন কাঠামোর সুপারিশ
# নববর্ষ ভাতা পাবেন সরকারি চাকরিজীবীরা
# পে স্কেলে টাইম স্কেল ও সিলেকশন গ্রেড বাদ দেওয়ায় ক্ষোভ
# সিলেকশন গ্রেড ও টাইম স্কেল বাদ দিয়েই চূড়ান্ত পে স্কেল
# দুই ধাপে নতুন বেতন কাঠামো বাস্তবায়ন করবে সরকার
# চূড়ান্ত হলো অষ্টম বেতন কাঠামো
# নতুন পে স্কেলের ওপর সচিব কমিটির সুপারিশ চূড়ান্ত
# প্রতিবেদনের পর পে-কমিশন বিষয়ে সিদ্ধান্ত : মুহিত
# বরাদ্দ বাড়ছে বেতন-ভাতা খাতে
# ১০০ শতাংশ পর্যন্ত বেতন বৃদ্ধির সুপারিশ
# অবশেষে চূড়ান্ত হলো সরকারি চাকরিজীবীদের বেতন কাঠামো
# পে-স্কেল : মঙ্গলবার অর্থ মন্ত্রণালয়ে যাচ্ছে সচিব কমিটির সুপারিশ

বিএ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।