নতুন পে স্কেলের ওপর সচিব কমিটির সুপারিশ চূড়ান্ত


প্রকাশিত: ০৪:০০ পিএম, ২৭ এপ্রিল ২০১৫

অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছেন, ‘সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারিদের নতুন পে স্কেলের ওপর সচিব কমিটির সুপারিশ চূড়ান্ত করা হয়েছে। আশা করছি, ২৯ এপ্রিল মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সিনিয়র সচিব মোশাররাফ হোসেন ভূঁইঞা সচিব কমিটির সুপারিশ আমার কাছে হস্তান্তর করবেন।’

সোমবার বিকেলে অর্থ মন্ত্রণালয়ে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সচিবদের সঙ্গে প্রাক-বাজেট আলোচনা শেষে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা বলেন অর্থমন্ত্রী। এ সময় অর্থ মন্ত্রণালয়ের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব ড. আসলাম আলম উপস্থিত ছিলেন। অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের কাছে গত বছরের ২১ ডিসেম্বর বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রাক্তন গভর্নর ড. ফরাসউদ্দিন তার নেতৃত্বে গঠিত পে-কমিশনের প্রতিবেদন জমা দেন।

এর ছয় সপ্তাহের মধ্যে সচিব কমিটির মতামত দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু আজ পর্যন্ত সচিব কমিটি অর্থমন্ত্রীর কাছে সুপারিশ হস্তান্তর করেনি। তবে এর মধ্যে সুপারিশ চূড়ান্ত করতে সচিব কমিটি বেশ কয়েকবার বৈঠক করেছে।

অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘পে কমিশনের প্রতিবেদনের ওপর সচিব কমিটির সুপারিশ পাওয়ার পর এটি প্রথমে পরীক্ষা করব, তারপর এটি মন্ত্রিসভায় যাবে।’ আগামী জুলাই থেকেই নতুন পে কমিশন কার্যকর করা হচ্ছে কি-না, জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘অবশ্যই। এটা তো আগেই ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। এটা নিয়ে কোনো সংশয় নেই।’

বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংকে ডাকাতির ঘটনা প্রসঙ্গে প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে মুহিত বলেন, ‘এটা তো দিনে-দুপুরে ডাকাতি! এর রহস্য কী?’ এ সময় ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব ড. এম আসলাম আলম বলেন, ‘পুলিশ বলছে, এ ঘটনায় জঙ্গি তৎপরতার সঙ্গে জড়িতদের সংশ্লিষ্টতা থাকতে পারে। তারা তাদের তহবিল গঠন ও তাদের কর্মকাণ্ড জানান দিতে এ কাজ করে থাকতে পারে।’

প্রাক-বাজেট আলোচনার বিষয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘সচিবদের সঙ্গে বৈঠকে বৈদেশিক সহায়তার বিষয়টি বিশেষ গুরুত্ব পেয়েছে।’ বৈদেশিক সহায়তার আশ্বাস প্রসঙ্গে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘বর্তমানে পাইপ লাইনে প্রায় দুই হাজার ৪০০ কোটি ডলারের আশ্বাস পাইপ লাইনে রয়েছে। তবে কমিটমেন্ট যতটা পাওয়া যায়, সে তুলনায় অর্থছাড় কম। পাইপ লাইনে যে পরিমাণ বৈদেশিক সাহায্য রয়েছে, আগামী অর্থবছরে এর ২০ শতাংশ ছাড় হলেও বাজেটের আকার অনেক বেড়ে যাবে।’

প্রতিশ্রুত বৈদেশিক সাহায্য ব্যয় করা সম্ভব হচ্ছে না কেন, এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘দাতাদের নিয়মকানুন ও প্রকল্প পরিচালকদের কারণে বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া দেরি হয়। একজন প্রকল্প পরিচালক তিন/চারটা প্রকল্পের পরিচালক নিযুক্ত হয়ে থাকেন। এটা এখন কমিয়ে আনা হয়েছে।’

আরেক প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী জানান, বাজেট সহায়তা হিসেবে বিশ্বব্যাংকের কাছে যে ৫০ কোটি ডলার সহায়তা চাওয়া হয়েছে, সেটা পাওয়া যাবে। একই সঙ্গে আইএমএফের ইসিএফ চুক্তির শেষ কিস্তির অর্থ পেতেও কোনো সমস্যা হবে না।

আইএফসির সহযোগিতায় ১০০ কোটি ডলারের ‘টাকা বন্ড’ ছাড়ার প্রসঙ্গে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘বাজেটের পরই এটা ছাড়া হতে পারে। এর জন্য আইএফসিকে কোনো অর্থ দিতে হবে না। বন্ড ছাড়ার ক্ষেত্রে তারা আমাদের সহযোগিতা করবে। যেকোনো দেশ থেকে এই বন্ড ভাঙানো যাবে। এ বন্ড সরকারি খাতের পাশাপাশি বেসরকারি খাতেও ব্যবহার করা যাবে। বন্ডের অর্থ যাতে সঠিকভাবে ব্যবহার হয়, সে বিষয়ে নজরদারি রাখা হবে।’

বিএ/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।