৮ ও ৯ই জিলহজে হাজিদের করণীয়


প্রকাশিত: ০৭:৪৩ এএম, ২২ সেপ্টেম্বর ২০১৫

গতকাল (৭ই জিলহজ) মসজিদুল হারামের সম্মানিত খতিব হজের আহকাম সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা করেছেন। যা শুনেছেন হজে গমনকারী প্রায় ৩০ লাখ হাজি। এ পাঁচ দিনে কোথায় কি কি কার্যাবলী সম্পাদন করতে হবে, সে দিক-নির্দেশনা এসেছে আলোচনায়। আজ সৌদি আরবে ৮ই জিলহজ, হজের ব্যস্ততম ৫ দিনের প্রথম দিন। আজকের দিনের করণীয় জাগো নিউজে তুলে ধরা হলো-

৮ ও ৯ই জিলহজের করণীয়-
আজ বুধবার হজে গমণকারী  সব হাজিগণ ফজরের পূর্বেই মিনায় অবস্থান নিয়েছেন। সেখানে সবাই পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করবেন। যা আদায় করা সুন্নাত। আজ থেকে শুরু হলো মূল হজের কার্যক্রম।

৯ই জিলহজ (বৃহস্পতিবার)
৯ই জিলহজ অর্থাৎ বৃহস্পতিবার হলো মূল হজ। সেখানে সমবেত হবে সারা বিশ্ব থেকে আগত হাজিগণ। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন- اَلْحَجُّ عَرَفَةُ অর্থা] হজ হচ্ছে আরাফাত। ঐ দিন ৯ই জিলহজ সকালেই হজের সবচাইতে বড় ও গুরুত্বপূর্ণ রুকন ‘ওকুফে আরাফা’। ৯ই জিল হজ সকালে ফজর আদায় করেই হাজিগণ আরাফার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হবেন।

দুপুরের পূর্বে গোসল করে বা অন্তত ওজু করে ময়দানে যাওয়া মুস্তাহাব। সূর্য পশ্চিমআকাশে ঢলে পড়ার সঙ্গে সঙ্গেই মসজিদে নামিরায় আজানের পরে ইমাম খুৎবা শুরু করবেন। খুৎবায় হজ, কুরবানি, হলক, কসর, মিনায় কংকর নিক্ষেপ, তাওয়াফে জিয়ারাত ইত্যাদি করণীয় বিষয়সহ সমগ্র বিশ্ব মুসলিমের করণীয় বিষয়াদি সম্পর্কে সবাইকে অবহিত করবেন। সেখানে মুসলিম উম্মাহর জন্য কল্যাণ কামনায় দোয়া করা হবে। অতপর আলাদা আলাদা ইকামতে জোহর ও আসরের নামাজ আদায় করা হবে এবং মাগরিব পর্যন্ত আরাফাতের ময়দানে অস্থান করবেন সব হাজিগণ। যতটা সম্ভব এ সময়টাতে দাঁড়িয়ে দোয়া করা, তালবিয়া পাঠ করা, কারণ এ সময় দোয়া কবুল হয়।
রাসূল সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন اِنَّ النَّبِيَّ صلعم مَا زَالَ يُلَبِّيْ حَتّي اَتَي جَمَرَةُ الْعَقَبَةِ  অর্থাৎ নিশ্চয় রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম জামারাতুল আকাবায় যাওয়া পর্যন্ত তালবিয়া পাঠ করতে থাকতেন। (আবু দাউদ, তিরমিজি)

আরাফাতে অবস্থানকালে দুহাত উঠিয়ে এবং দাঁড়িয়ে দোয়া করা সুন্নাত। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে বর্ণিত আছে, তিনি তিনবার ‘আল্লাহু আকবার ওয়া লিল্লাহিল হামদ’ উচ্চারণ করে এ দোয়াটি পাঠ করেছেন-
لَا اِلَهَ اِلَّا اللهُ وَحْدَهُ لَا شَرِيْكَ لَهُ لَهُ الْمُلْكُ وَ لَهُ الْحَمْدُ اللهُمَّ اهْدِنِي بِالهُدي و نَقِّنِي باِلتَّقْوي وَاغْفِرْلِي فِي الأخِرَةِ وَ الْاُوْلَي-
অর্থাৎ ‘আল্লাহ ছাড়া কোনো মা’বুদ নেই। তিনি একক, লা শরীক। রাজ্য তারই এবং সমস্ত প্রশংসাও তাঁরই। হে আল্লাহ! তুমি আমাকে হিদায়েতের পথ প্রদর্শন কর এবং তাকওয়া দ্বারা আমাকে পরিচ্ছন্ন কর এবং দুনিয়া ও আখিরাতে ক্ষমা কর।’

রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, আমিসহ আমার পূর্ববর্তী সকল নবী-রাসূলগণ যে দোয়াগুলো পাঠ করেছেন, তার মধ্যে সর্বোত্তম দোয়াটি হলো-
لَا اِلَهَ اِلَّا اللهُ وَحْدَهُ لَا شَرِيْكَ لَهُ لَهُ الْمُلْكُ وَ لَهُ الْحَمْدُ وَهُوَ عَلي كُلِّ شَيئ قَدِيْر

পরিশেষে...
আল্লাহ তাআলা বিশ্ব মুসলিম উম্মাহকে রাসূলের অনুসরণ ও অনুকরণ করে আরাফাতের ময়দানে অবস্থানকালীন কার্যক্রম বাস্তবায়নের তাওফিক দান করুন। আমিন।

জাগোনিউজ২৪.কমের সঙ্গে থাকুন। হজের মূল কার্যক্রমগুলোর আলোচনা পড়ুন। কুরআন-হাদিস মোতাবেক আমলি জিন্দেগি যাপন করে আল্লাহর নৈকট্য অর্জন করুন। আমিন, ছুম্মা আমিন।

# হজ ও ওমরায় সেলফি নয়
# হজ কনিকা
# হজ সফরে মৃত্যুতেও আখিরাতে মহাসফলতা
# হজের ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট
# হজের প্রস্তুতিই ওমরা পালন
# হজ পালনে নিষ্পাপ হয় মানুষ
# হজ ও ওমরা পালনকারীদের তালবিয়া
# হাজি সাহেবানদের যেসব প্রস্তুতি থাকা জরুরি (পর্ব-১)
# হজে গমনকারীরা সঙ্গে যা যা নিবেন(পর্ব-২)
# হজ : মক্কা-মদিনায় অবস্থানের সময় করণীয় (শেষ পর্ব)
# হজের তৃতীয় রুকন : তাওয়াফে জিয়ারাত

# তাওয়াফে যা নিষিদ্ধ ও মাকরুহ
# তাওয়াফে ইযতিবা ও রমল
# হজের প্রথম রুকন ইহরাম ও করণীয়
# ইহরাম বাধলে যা করা নিষেধ
# সাফা-মারওয়ায় সাঈর বিধান
# বাইতুল্লার অতিথির শুরু যেভাবে…


এমএমএস/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।