হজ ও ওমরা পালনকারীদের তালবিয়া
হজ হচ্ছে মানুষের সঙ্গে আল্লাহর প্রেমের সর্বোচ্চ বন্ধন। যাদের আর্থিক সঙ্গতি রয়েছে। তাদের জন্য হজ ফরজ। এই ফরজ ইবাদত পালনের উদ্দেশ্যে হাজিরা যখন মক্কায় যায় তখন তারা এই তালবিয়া পাঠ করে। হজ এবং ওমরা উভয়ক্ষেত্রে তালবিয়া পড়তে হয়।
তালবিয়া এই
i.لَبَّيْكَ ا للّهُمَّ لَبَّيْكَ
ii. لَبَّيْكَ لاَ شَرِيْكَ لَكَ لَبَّيْكَ
iii. اِنَّ الْحَمدَ وَالنِّعْمَةَ لَكَ وَالْمُلْكَ
iv. لاَ شَرِيْكَ لَكَ
তালবিয়ার উচ্চারণ-
১. লাব্বাঈক আল্লাহুম্মা লাব্বাঈক,
২. লাব্বাঈক, লা-শারীকা-লাকা লাব্বাঈক,
৩. ইন্নাল হামদা ওয়ান্ নি`মাতা লাকা ওয়াল-মুলক,
৪. লা শারীকালাক।"
অর্থাৎ
১. আমি হাজির হে আল্লাহ! আমি উপস্থিত!
২. আপনার ডাকে সাড়া দিতে আমি হাজির। আপনার কোন অংশীদার নেই।
৩. নিঃসন্দেহে সমস্ত প্রশংসা ও সম্পদরাজি আপনার এবং একচ্ছত্র আধিপত্য আপনার।
৪. আপনার কোন অংশীদার নেই।
তালবিয়া কখন পাঠ করব :
হজ ও ওমরা পালনকারীগণ মিকাতে (যেখানে ইহরাম বাঁধতে হয়) পৌঁছে অথবা তার পূর্ব হতে গোসল বা উজু করে (পুরুষগণ ইহরামের কাপড় পরে) ২ রাকাআত নামায পড়ে কেবলামুখী হয়ে হজ বা উমরার নিয়ত করবে। নিয়ত শেষে অন্তত ৩ বার (পুরুষগণ সশব্দে) ৪ শ্বাসে তালবিয়াহ পাঠ করবে। নিয়ত ও তালবিয়ার দ্বারা ইহরাম বাঁধা হয়ে যাওয়ার পর বেশি বেশি তালবিয়াহ পড়তে থাকবে। এ তালবিয়া তাওয়াফের স্থানে প্রবেশের পূর্ব পর্যন্ত পড়বে।
আল্লাহ তাআলা সব হাজিদেরকে বেশি বেশি তালবিয়া পাঠ করে আল্লাহর নৈকট্য অর্জনের তাওফিক দান করুন। আমিন।
জাগো নিউজ২৪ ডটকমের সঙ্গে থাকুন। হজ ও সুন্দর সুন্দর ইসলামী আলোচনা পড়ুন। কুরআন-হাদিস মোতাবেক আমলি জিন্দেগি যাপন করে আল্লাহর নৈকট্য অর্জন করুন। আমিন, ছুম্মা আমিন।
এমএমএস/এআরএস/পিআর