চাকসুর ভোটগ্রহণ শুরু

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক চবি
প্রকাশিত: ০৯:০৬ এএম, ১৫ অক্টোবর ২০২৫
সকাল থেকেই শিক্ষার্থীরা ভোট দিতে কেন্দ্রে চলে আসেন। ছবি: জাগো নিউজ

দীর্ঘ ৩৫ বছর প্রতীক্ষার পর চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে শুরু হলো কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ।

বুধবার (১৫ অক্টোবর) সকাল ৯টা থেকে শুরু হয় এ ভোটগ্রহণ। বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচটি অনুষদ ভবনে ১৫টি ভোটকেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে। ভোটগ্রহণ চলবে একটানা বিকেল ৪টা পর্যন্ত।

সরেজমিনে দেখা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান অনুষদ কেন্দ্রে সকাল থেকেই শিক্ষার্থীরা লাইনে দাঁড়িয়ে আছেন।

ভোট দিতে আসা ইসমাইল সিরাজি জানান, যারা যোগ্য তাদেরকে ভোট দেবো। যাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের জন্য কিছু করার সক্ষমতা আছে তারাই নির্বাচিত হোক। যারা স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করবে তাদেরকে ভোট দেবো।

গত সোমবার ( ১৩ অক্টোবর) চাকসু নির্বাচনের প্রচারণার শেষ দিন ছিলো। এদিন ক্যাম্পাস এবং শহর জুড়ে প্রার্থীরা লিফলেট বিতরণ ও প্রচার-প্রচারণা করেন।

এবার চাকসুর ২৬টি পদের বিপরীতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৪১৫ জন প্রার্থী। অন্যদিকে হল ও হোস্টেল সংসদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৪৯৩ জন প্রার্থী। মোট ৯০৮ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন চাকসুতে। নির্বাচনে মোট ভোটার সংখ্যা ২৭ হাজার ৫১৬ জন।

আরও পড়ুন-
এজিএস প্রার্থী তৌফিককে সমর্থন দিয়ে সরে গেলেন আনোয়ার
বুথ নির্মাণের কাজ সম্পন্ন, নিরাপত্তায় ২৫০ সিসি ক্যামেরা
হল সংসদের ফলাফল ভোটকেন্দ্রে, চাকসুর ব্যবসায় অনুষদে

চাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনে সমাজ বিজ্ঞান অনুষদ, পুরাতন কলা অনুষদ, নতুন কলা অনুষদ, ব্যবসায়ী প্রশাসন অনুষদ ও বিজ্ঞান অনুষদ মিলিয়ে পাঁচটি অনুষদ ভবনে মোট ১৫টি কেন্দ্রে ৬০টি নির্বাচনী কক্ষে ভোটগ্রহণ চলছে। প্রত্যেকটি কক্ষে পাঁচটি ব্যালট বাক্স রয়েছে। চাকসু নির্বাচনের জন্য ৪টি ব্যালট বাক্স এবং হল সংসদের জন্য একটি ব্যালট বাক্স রয়েছে। একটি কক্ষে ৫০০ জন ভোটার ভোট দিতে পারবেন।

ভোটগ্রহণ শেষে হল সংসদ নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা হবে ভোটকেন্দ্রে আর কেন্দ্রীয় ফলাফল ঘোষণা হবে ব্যবসায় প্রশাসন (বিবিএ) অনুষদে।

এর আগে সকাল সাড়ে ৮টায় ১৫টি কেন্দ্রে ব্যালট বাক্স খুলে সবাইকে দেখিয়ে সিলগালা করে দেওয়া হয়। এসময় গণমাধ্যমকর্মী এবং প্রার্থীদের পোলিং এজেন্টরা উপস্থিত ছিলেন।

ভোটগ্রহণকে ঘিরে কঠোর নিরাপত্তার ব্যবস্থা নিয়েছে প্রশাসন। বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টরিয়াল টিমের পাশাপাশি মাঠে আছে বিপুল সংখ্যক পুলিশ, এপিবিএন ও আনসার সদস্যসহ সেনাবাহিনীর রিজার্ভ ফোর্স। সব কেন্দ্রেই স্থাপন করা হয়েছে সিসিটিভি ক্যামেরা। পরিচয়পত্র ছাড়া কাউকে ক্যাম্পাসে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না। এছাড়াও যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় থাকবে রিজার্ভ ফোর্স।

সোহেল রানা/এফএ/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।