৩৫ বছর পর চাকসুর ভোট আজ

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক চবি
প্রকাশিত: ০৮:৫৭ এএম, ১৫ অক্টোবর ২০২৫
ফাইল ছবি

দীর্ঘ ৩৫ বছর প্রতীক্ষার পর চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনের ভোট নেওয়া হবে আজ।সর্বশেষ ১৯৯০ সালে চাকসু নির্বাচন হয়।

বুধবার (১৫ অক্টোবর) সকাল ৯টা থেকে শুরু হবে এ ভোটগ্রহণ। বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচটি অনুষদ ভবনে ১৫টি ভোটকেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে। ভোটগ্রহণ চলবে একটানা বিকেল ৪টা পর্যন্ত।

১৯৬৬ সালে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পরপরই চাকসু গঠিত হয়েছিল। বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার ৫৯ বছরে মোট ছয়বার নির্বাচন হয়েছে চাকসুর—১৯৭০, ১৯৭২, ১৯৭৪, ১৯৭৯, ১৯৮১ ও ১৯৯০ সালে। চাকসুর প্রথম নির্বাচনে সহসভাপতি (ভিপি) ও সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে নির্বাচিত হন যথাক্রমে মোহাম্মদ ইব্রাহিম ও মো. আব্দুর রব।

১৯৭২ সালের চাকসু নির্বাচনে ভিপি নির্বাচিত হন ছাত্র ইউনিয়নের তৎকালীন সভাপতি শামসুজ্জামান হীরা ও জিএস নির্বাচিত হন ছাত্রলীগের মাহমুদুর রহমান মান্না। এরপর ১৯৭৪ সালে তৃতীয় নির্বাচনে ভিপি ও জিএস পদে নির্বাচিত হন যথাক্রমে জাসদ ছাত্রলীগের এসএম ফজলুল হক ও গোলাম জিলানী চৌধুরী।

আরও পড়ুন-
এজিএস প্রার্থী তৌফিককে সমর্থন দিয়ে সরে গেলেন আনোয়ার
বুথ নির্মাণের কাজ সম্পন্ন, নিরাপত্তায় ২৫০ সিসি ক্যামেরা
হল সংসদের ফলাফল ভোটকেন্দ্রে, চাকসুর ব্যবসায় অনুষদে

চাকসুর চতুর্থ নির্বাচন হয় ১৯৭৯ সালে। এতে ভিপি ও জিএস পদে নির্বাচিত হন জাসদ ছাত্রলীগের নেতা মাজহারুল হক শাহ চৌধুরী ও ছাত্রলীগের জমির চৌধুরী। পঞ্চম নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় ১৯৮১ সালে। এতে ভিপি ও জিএস পদে নির্বাচিত হন ইসলামী ছাত্রশিবিরের তৎকালীন নেতা জসিম উদ্দিন সরকার ও আবদুল গাফফার।

চাকসুর সর্বশেষ নির্বাচনটি হয়েছিল ১৯৯০ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি। ওই নির্বাচনে চাকসুর ভিপি পদে নির্বাচিত হন ‘সর্বদলীয় ছাত্র ঐক্যের’ নেতা মো. নাজিম উদ্দিন ও জিএস পদে নির্বাচিত হন আজিম উদ্দিন আহমদ। নাজিম উদ্দিন জাতীয় ছাত্রলীগের ও আজিম উদ্দিন আহমদ ছিলেন সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের তৎকালীন নেতা।

গত সোমবার ( ১৩ অক্টোবর) চাকসু নির্বাচনের প্রচারণার শেষ দিন ছিলো। এদিন ক্যাম্পাস এবং শহর জুড়ে প্রার্থীরা লিফলেট বিতরণ ও প্রচার-প্রচারণা করেন।

এবার চাকসুর ২৬টি পদের বিপরীতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৪১৫ জন প্রার্থী। অন্যদিকে হল ও হোস্টেল সংসদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৪৯৩ জন প্রার্থী। মোট ৯০৮ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন চাকসুতে। নির্বাচনে মোট ভোটার সংখ্যা ২৭ হাজার ৫১৬ জন।

চাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনে সমাজ বিজ্ঞান অনুষদ, পুরাতন কলা অনুষদ, নতুন কলা অনুষদ, ব্যবসায়ী প্রশাসন অনুষদ ও বিজ্ঞান অনুষদ মিলিয়ে পাঁচটি অনুষদ ভবনে মোট ১৫টি কেন্দ্রে ৬০টি নির্বাচনী কক্ষে ভোটগ্রহণ হবে। প্রত্যেকটি কক্ষে পাঁচটি ব্যালট বাক্স রয়েছে। চাকসু নির্বাচনের জন্য ৪টি ব্যালট বাক্স এবং হল সংসদের জন্য একটি ব্যালট বাক্স রয়েছে। একটি কক্ষে ৫০০ জন ভোটার ভোট দিতে পারবেন।

ভোটগ্রহণ শেষে হল সংসদ নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা হবে ভোটকেন্দ্রে আর কেন্দ্রীয় ফলাফল ঘোষণা হবে ব্যবসায় প্রশাসন (বিবিএ) অনুষদে।

এর আগে সকাল সাড়ে ৮টায় ১৫টি কেন্দ্রে ব্যালট বাক্স খুলে সবাইকে দেখিয়ে সিলগালা করে দেওয়া হয়। এসময় গণমাধ্যমকর্মী এবং প্রার্থীদের পোলিং এজেন্টরা উপস্থিত ছিলেন।

সোহেল রানা/এফএ/এমএমএআর/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।