ধর্ম

আরাফাহ-ই হজের মূল আনুষ্ঠানিকতা!

হজ বিশ্ব মুসলিমের আর্থিক ও শারীরিক ইবাদত। এ ইবাদতে তিনটি কাজ করা ফরজ। যার অন্যতম ও দ্বিতীয় কাজ হলো আরাফাতের ময়দানে একত্রিত হওয়া। আরাফাহ বিষয়ক ক্ষুদ্র লিখনি জাগো নিউজে তুলে ধরা হলো-৯ জিলহজ হচ্ছে আরাফাত দিবস। এ দিবস সম্পর্কে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, اَلْحَجَّ عَرَفَةُ অর্থাৎ ‘হজ হচ্ছে আরাফাত। ঐ দিন সকালেই হজের সবচেয়ে বড় ও গুরুত্বপূর্ণ রুকন ‘উকুফে আরাফা’-এর উদ্দেশ্যে মিনা থেকে শুরু করে পৃথিবীর সব প্রান্ত থেকে আরাফাতের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হতে হয়। যে বা যারা এ আরাফাতের ময়দানে আসতে ব্যর্থ হবে। তাদের হজ হবে না।দুপুরের পূর্বেই গোসল বা ওজু করে ময়দানে অবস্থান মুস্তাহাব। জোহরের ওয়াক্ত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই মসজিদে নামিরায় মুয়াজ্জিন আজান দিলে ইমাম খুতবা শুরু করেন। খুতবায় হজ, কুরবানি, হলক, কসর, মিনায় কংকর নিক্ষেপ, তাওয়াফে জিয়ারাতসহ হজের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সব বিষয়ে বিশ্ব মুসলিমের করণীয় কি তা আলোচিত হয়। পাশাপাশি সমগ্র মুসলিম উম্মাহর জন্য দোয়া ও কল্যাণ কামনা করা হয়। তারপর ঐ আজানে আলাদা আলাদা ইকামতে জোহর ও আসর নামাজের জামাআত সম্পন্ন হবে। নামাজ আদায় পরবর্তী ও মাগরিব পূর্ববর্তী সময়ে আরাফাতের ময়দানের যে কোনো স্থানে অবস্থান করবে। যতক্ষণ সম্ভব দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে কিবলামুখী হয়ে আল্লাহ নিকট চাওয়া, দোয়া, দরুদ পাঠ করা, তাকবির, তালবিয়া ঘন ঘন পাঠ করা কল্যান ও বরকতের কাজ।রাসূল সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন اِنَّ النَّبِيَّ صلعم مَا زَالَ يُلَبِّيْ حَتّي اَتَي جَمَرَةُ الْعَقَبَةِ  অর্থাৎ নিশ্চয় রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম জামারাতুল আকাবায় যাওয়া পর্যন্ত তালবিয়া পাঠ করতে থাকতেন। (আবু দাউদ, তিরমিজি)আরাফাতে অবস্থানকালে দুহাত উঠিয়ে এবং দাঁড়িয়ে দোয়া করা সুন্নাত। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে বর্ণিত আছে, তিনি তিনবার ‘আল্লাহু আকবার ওয়া লিল্লাহিল হামদ’ উচ্চারণ করে এ দোয়াটি পাঠ করেছেন-لَا اِلَهَ اِلَّا اللهُ وَحْدَهُ لَا شَرِيْكَ لَهُ لَهُ الْمُلْكُ وَ لَهُ الْحَمْدُ اللهُمَّ اهْدِنِي بِالهُدي و نَقِّنِي باِلتَّقْوي وَاغْفِرْلِي فِي الأخِرَةِ وَ الْاُوْلَي- অর্থাৎ ‘আল্লাহ ছাড়া কোনো মা’বুদ নেই। তিনি একক, লা শরীক। রাজ্য তারই এবং সমস্ত প্রশংসাও তাঁরই। হে আল্লাহ! তুমি আমাকে হিদায়েতের পথ প্রদর্শন কর এবং তাকওয়া দ্বারা আমাকে পরিচ্ছন্ন কর এবং দুনিয়া ও আখিরাতে ক্ষমা কর।’রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, আমিসহ আমার পূর্ববর্তী সকল নবী-রাসূলগণ যে দোয়াগুলো পাঠ করেছেন, তার মধ্যে সর্বোত্তম দোয়াটি হলো-لَا اِلَهَ اِلَّا اللهُ وَحْدَهُ لَا شَرِيْكَ لَهُ لَهُ الْمُلْكُ وَ لَهُ الْحَمْدُ وَهُوَ عَلي كُلِّ شَيئ قَدِيْرপরিশেষে...আল্লাহ তাআলা বিশ্ব মুসলিম উম্মাহকে রাসূলের অনুসরণ ও অনুকরণ করে আরাফাতের ময়দানে অবস্থানকালীন কার্যক্রম বাস্তবায়নের তাওফিক দান করুন। আমিন।জাগোনিউজ২৪.কমের সঙ্গে থাকুন। ওমরা ও হজের ধারাবাহিক আলোচনা পড়ুন। কুরআন-হাদিস মোতাবেক আমলি জিন্দেগি যাপন করে আল্লাহর নৈকট্য অর্জন করুন। আমিন, ছুম্মা আমিন।# হজ ও ওমরায় সেলফি নয়# হজ কনিকা# হজ সফরে মৃত্যুতেও আখিরাতে মহাসফলতা# হজের ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট # হজের প্রস্তুতিই ওমরা পালন# হজ পালনে নিষ্পাপ হয় মানুষ# হজ ও ওমরা পালনকারীদের তালবিয়া # হাজি সাহেবানদের যেসব প্রস্তুতি থাকা জরুরি (পর্ব-১)# হজে গমনকারীরা সঙ্গে যা যা নিবেন(পর্ব-২)# হজ : মক্কা-মদিনায় অবস্থানের সময় করণীয় (শেষ পর্ব)# হজের তৃতীয় রুকন : তাওয়াফে জিয়ারাত# তাওয়াফে যা নিষিদ্ধ ও মাকরুহ# তাওয়াফে ইযতিবা ও রমল# হজের প্রথম রুকন ইহরাম ও করণীয়# ইহরাম বাধলে যা করা নিষেধ# সাফা-মারওয়ায় সাঈর বিধান# বাইতুল্লার অতিথির শুরু যেভাবে…এমএমএস/পিআর

Advertisement