দফতর পেলেন নতুন ৫ মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী


প্রকাশিত: ০৩:৪৮ পিএম, ১৪ জুলাই ২০১৫

শেখ হাসিনা সরকারের নতুন পাঁচ মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রী মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বঙ্গভবনে শপথ পাঠ করার পর তাদের দফতর বন্টন করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। মঙ্গলবার রাতে এ প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।

প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব থেকে মুক্ত করা হয়েছে এলজিআরডি মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেনকে। ওই দায়িত্ব পেয়েছেন নুরুল ইসলাম বিএসসি।

আসাদুজ্জামানকে তার আগের মন্ত্রণালয় স্বরাষ্ট্র এবং ইয়াফেস ওসমানকেও আগের মন্ত্রণালয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি দেওয়া হয়েছে। এছাড়া তারানা হালিম ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের প্রতিমন্ত্রী এবং নুরুজ্জামান আহমেদ খাদ্য মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পেয়েছেন।

মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের কাছে শপথ নেন তারা। এ সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, মন্ত্রীসভার সদস্যরা, বিচারপতিরাসহ বিভিন্ন শ্রেণির বিশিষ্টজনেরা উপস্থিত ছিলেন।

এছাড়া মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ মোশাররাফ হোসাইন ভূইঞার পরিচালনায় অনুষ্ঠিত শপথ অনুষ্ঠানে মুখ্যসচিব আবুল কালাম আজাদ, প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম উপস্থিত ছিলেন। এর ফলে শেখ হাসিনার কেবিনেটের আকার দাঁড়ালো ৫২। এর মধ্যে মন্ত্রী ৩২, প্রতিমন্ত্রী ১৮ এবং উপমন্ত্রী ২ জন।

শপথ নিতে বিকাল ৪টার দিকে বঙ্গভবনে ঢোকেন নুরুল ইসলাম বিএসসি। তার এক ঘণ্টা পর একে একে যান নুরুজ্জামান, তারানা হালিম ও ইয়াফেস ওসমান। সাড়ে ৫টার দিকে ঢোকেন আসাদুজ্জামান কামাল।

সানোয়ারা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নুরুল ইসলাম বিএসসি বেশ কিছু কাল ধরে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন। চট্টগ্রাম আওয়ামী লীগে এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরী বিরোধী শিবিরের নেতা নুরুল ইসলাম বিএসসি নৌকা প্রতীকে বন্দর নগরীর একটি আসনে ২০০৮ সালের নির্বাচনে বিজয়ী হয়েছিলেন। দশম সংসদ নির্বাচনে ওই আসনটি জাতীয় পার্টির জিয়াউদ্দিন বাবলুকে ছেড়ে দিতে হয় তাকে।

দশম সংসদে তথ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সদস্য তারানা হালিম সাবেক অর্থমন্ত্রী প্রয়াত শাহ এ এম এস কিবরিয়ার আত্মীয়। বাংলাদেশ টেলিভিশনের প্রতিযোগিতামূলক অনুষ্ঠান নতুন কুঁড়িতে চ্যাম্পিয়ন হয়ে কৈশোরেই পরিচিতি পাওয়ার পর তারানা হালিম অভিনেত্রী হিসেবেও নাম কুড়ান। তারানা হালিম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় যুবলীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদক ছিলেন। সংসদে সংরক্ষিত মহিলা আসনে এনিয়ে দ্বিতীয়বার সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন তিনি।

লালমনিরহাট-২ আসন থেকে নুরুজ্জামান আহমেদ ২০১৪তেই প্রথম জাতীয় সংসদের সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৫০ সালের ৩ জানুয়ারি জন্ম নেওয়া এই রাজনীতিক স্নাতক ডিগ্রিধারী। লালমনিরহাট-২ আসনে সরকারদলীয় এই সংসদ সদস্য ওই জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার করিমপুরের কাশীরাম গ্রামের বাসিন্দা।

এদিকে গত বছর শেখ হাসিনা সরকার গঠনের পর আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী এবং স্থপতি ইয়াফেস বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পেয়েছিলেন। রবদবদলে দু`জনের উত্তরণ ঘটল।

ইয়াফেস ওসমান গত সাত বছর ধরে টেকনোক্র্যাট হিসেবে প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। গুরুত্বপূর্ণ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে মন্ত্রী না থাকার মধ্যে প্রতিমন্ত্রী ছিলেন তেজগাঁও আসনের সংসদ সদস্য কামাল।

গত বছর সরকার গঠনের পর শেখ হাসিনার মন্ত্রিসভায় এটাই কার্যত প্রথম রদবদল। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি নির্বাচনে জিতে টানা দ্বিতীয়বারের মতো ক্ষমতায় আসার পর ১২ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে নতুন মন্ত্রিসভা শপথ নেয়।

ওই বছর ২৬ ফেব্রুয়ারি এ এইচ মাহমুদ আলীকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং নজরুল ইসলামকে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব দেওয়া হয়। এরপর গত দেড় বছরে আর কোনো পরিবর্তন আনেননি শেখ হাসিনা।

এর মধ্যে হজ নিয়ে বিতর্কিত এক মন্তব্যের কারণে আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী গত বছরের ১২ অক্টোবর ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রীর দায়িত্ব থেকে বাদ পড়েন। ওই পদ এখনও শূন্য। অন্যদিকে গত ৯ জুলাই স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় থেকে সরিয়ে সৈয়দ আশরাফুল ইসলামকে দফতরবিহীন মন্ত্রী করা হয়েছে। স্থানীয় সরকারের দায়িত্ব দেওয়া হয় মন্ত্রিসভারই আরেক সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেনকে।

# মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন ৫ জন
মন্ত্রিসভায় নতুন ৩ মুখ
যেন বাঁকা হাসির জয়
যে কারণে মন্ত্রীসভায় ঠাঁই পেলেন নুরুজ্জামান
# ত্যাগের স্বীকৃতি পেলেন নূরুল ইসলাম বিএসসি


এসএ/একে/আরআই

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।