ত্যাগের স্বীকৃতি পেলেন নূরুল ইসলাম বিএসসি
ত্যাগের স্বীকৃতি পেয়েছেন নূরুল ইসলাম বিএসসি। নেত্রী (প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা) তাকে দেয়া কথা রেখেছেন। দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রাম-৯ আসনটি নেত্রীর নির্দেশে জাতীয় পার্টির মহাসচিব জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলুকে ছেড়ে দিয়েছিলেন নগর আওয়ামী লীগে ক্লিন ইমেজের নেতা নূরুল ইসলাম বিএসসি।
সূত্র জানায়, দলের কঠিন সময়ে সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করায় দলের সভানেত্রী শেখ হাসিনা তার উপর সন্তুষ্ট ছিলেন। আশ্বাস দিয়েছিলেন মূল্যায়ন করবেন। দলের প্রয়োজনে ত্যাগ করে দলের সাধারণ কর্মীদের মধ্যে বিশেষ মর্যাদার অধিকারী এ নেতা সরকারের নীতি নির্ধারণী পর্যায়ে বিশেষ নজরে ছিলেন। স্বচ্ছ রাজনীতিবিদ হিসেবে পরিচিতি আছে তার।
কথা রেখেছেন প্রধানমন্ত্রী। দুই বছর আগে দেওয়া আশ্বাস বাস্তবে রূপ পেলো। ত্যাগের মূল্য পেয়েছেন সভানেত্রীর নির্দেশে বিনা বাক্যে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানো নূরুল ইসলাম বিএসসি।
সূত্র আরো জানায়, তিন দশকেরও বেশি সময় ধরে রাজনীতির সঙ্গে জড়িত নূরুল ইসলাম বিএসসি। দলের জন্য ত্যাগ থাকা সত্ত্বে যথার্থ মূল্যায়নে সময় দীর্ঘায়িত হওয়ায় অনেকটা অভিমান নিয়েই দিন কাটাচ্ছিলেন এ নেতা।
শপথ গ্রহণের আগের নুরুল ইসলাম বিএসসি জানান, ‘জাতির জনক বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি আমি কৃতজ্ঞ। তিনি যে বিশ্বাস নিয়ে আমাকে মন্ত্রীত্ব দিচ্ছেন তা অক্ষরে অক্ষরে পালন করার জন্যে সচেষ্ট থাকবো।’
শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও সামাজিকসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে ব্যাপক অবদানের জন্য একজন রাজনীতিবিদের বাইরেও চট্টগ্রামে স্বতন্ত্র পরিচিতি ও গ্রহণ যোগ্যতা রয়েছে নূরুল ইসলাম বিএসসির। ১৯৮৮ সালে দলের দুঃসময়ে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের অর্থ সম্পাদক নির্বাচিত হন এবং পরবর্তীতে সভাপতি নির্বিচিত হন তিনি। এর আগে ষাটের দশকে প্রায় অর্ধ দশক সক্রিয় ছিলেন ছাত্রলীগে।
আরএস/আরআই