দ্য বব্স অ্যাওয়ার্ড জিতলেন মুক্তমনার বন্যা
ডয়চে ভেলের দ্য বব্স অ্যাওয়ার্ড জয় করেছে বিজ্ঞানমনস্ক লেখক ও ব্লগার অভিজিৎ রায়ের প্রতিষ্ঠিত মুক্তমনা ব্লগ। শনিবার জার্মানির রাজধানী বার্লিনে এক দীর্ঘ আলোচনা এবং ভোটাভুটির পর মুক্তমনা ব্লগের রাফিদা বন্যা আহমেদকে ‘সামাজিক পরিবর্তন` বিভাগে বিজয়ী ঘোষণা করেন বিচারকরা।
এবছরের গত ২৬ ফেব্রুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে দুর্বৃত্তের হামলায় প্রাণ হারান মুক্তমনা ব্লগের প্রতিষ্ঠাতা ব্লগার অভিজিৎ রায়। একই সঙ্গে হামলায় গুরুতর আহত হন তার স্ত্রী এবং সহব্লগার রাফিদা বন্যা আহমেদ।
এদিকে ওই হামলার কারণ এবং হামলাকারীদের এখনো শনাক্ত করতে পারেনি আিইন-শৃঙ্খলা বাহিনী। তবে ডয়চে ভেলেকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে রাফিদা বন্যা আহমেদ দাবি করেন, ধর্মীয় মৌলবাদীরা রায়কে তার লেখালেখির কারণে হত্যা করেছে।
জার্মানির আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম ডয়চে ভেলে গত কয়েক বছর ধরেই মুক্তমনা ব্লগের দিকে নজর রেখে চলছে। ব্লগার অভিজিৎ রায় হত্যাকাণ্ড পরবর্তী ঘটনাপ্রবাহ নিয়ে নিয়মিত সংবাদ প্রকাশ করে সংবাদমাধ্যমটি। এরপর এপ্রিলে ডয়চে ভেলের দ্য বব্স প্রতিযোগিতায় মুক্তমনা ব্লগ, তথা রাফিদা বন্যা আহমেদের ব্লগকে মনোনয়ন দেয়া হয়। শনিবার দ্য বব্স-এর বিচারকরা বার্লিনে এক বৈঠকে চূড়ান্ত বিজয়ীদের নির্ধারণ করেন। প্রতিযোগিতার অত্যন্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ‘সামাজিক পরিবর্তন` বিভাগে দীর্ঘ আলোচনা এবং ভোটাভুটির পর মুক্তমনা ব্লগকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। আগামী জুন মাসে জার্মানির বন শহরে অনুষ্ঠিতব্য গ্লোবাল মিডিয়া ফোরামে এক অনুষ্ঠানের মুক্তমনা ব্লগার রাফিদা বন্যা আহমেদ এই পুরস্কার গ্রহণ করতে পারেন।
এদিকে, ডয়চে ভেলের দ্য বব্স অ্যাওয়ার্ড জয়ের খবরে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছে মুক্তমনা ব্লগ সাইটের মডারেটর টিম। এক বিবৃতিতে তারা জানিয়েছেন, ‘‘ডয়চে ভেলের অত্যন্ত সম্মানজনক অনলাইন অ্যাক্টিভিজম অ্যাওয়ার্ড ‘দ্য ববস` পাওয়ায় আমরা অত্যন্ত আনন্দিত এবং গর্বিত। যাঁরা মুক্তমনাকে এই পুরস্কারের জন্য মনোনিত করেছেন, তাদের সবার প্রতি আমাদের আন্তরিক ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা রইলো।”
উল্লেখ্য, ২০০৯ সালে ডয়চে ভেলের দ্য বব্স প্রতিযোগিতায় বাংলা ভাষা যোগ করা হয়। এরপর এখনও পর্যন্ত পাঁচজন বাংলাভাষী ব্লগার এই প্রতিযোগিতায় জুরি অ্যাওয়ার্ড জয় করেছে।
## ব্লগার অভিজিৎ হত্যার দায় স্বীকার আল কায়েদার
আরএস/আরআইপি