জঙ্গি নেত্রী খালেদা জিয়া : শেখ হাসিনা


প্রকাশিত: ১১:২৮ এএম, ০৭ মার্চ ২০১৫

মানিক মোহাম্মদ ও মনির হোসেন সোহরাওয়ার্দী উদ্যান থেকে : বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে জঙ্গি নেত্রী বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শনিবার বিকেলে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আয়োজিত সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।

খালেদা জিয়াকে জঙ্গি নেত্রী উল্লেখ্য করে তিনি বলেন, বিএনপির আন্দােলন সফল হয়নি। এটা সফল হবেও না। আন্দােলন নিয়ে বিএনপি ভাওতাবাজি শুরু করেছে। বিএনপির সহিংস আন্দােলনে সমর্থন না দেয়ায় জনগণকে ধন্যবাদ জানান তিনি।

আত্মবিশ্বাস থাকলে খালেদা জিয়াকে মামলা পরিচালনা করার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আপনি যদি দুর্নীতি না করেন তাহলে কাের্টে গিয়ে কেন মামলার মোকাবেলা করছেন না? মামলা পরিচালনা করলে শাস্তি অনিবার্য তাই খালেদা জিয়া মামলা পরিচালনা করছে না বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার হরতাল-অবরোধ কেউ মানছে না। মানুষ হত্যা করে ক্ষমতায় আসার যেই স্বপ্ন তিনি (খালেদা জিয়া) দেখছেন তা কখনোই পুরণ হবে না।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, নিজের বাসা ছেড়ে অফিসে থাকার রহস্য কি তা জানি না। কার্যালয়ে থেকে তিনি (খালেদা জিয়া) কি বিপ্লব করবেন তিনিই ভালো জানেন।

শেখ হাসিনা বলেন, কার্যালয়ে বসে পেট্রলবোমা দিয়ে মানুষ মারার নির্দেশ দিচ্ছেন। এক প্রকার মানুষ আছেন এসব অপকর্ম তারা চোখে দেখেন না। তারা আবার শিক্ষিত মানুষ। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরাও এই শ্রেণিতে রয়েছেন।

এফবিআইকে ঘুষ দিয়ে সজিব ওয়াজেদ জয়কে হয়রানি করতে গিয়ে আমেরিকাতে বিএনপির এক নেতা ধরে খেয়েছেন বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী। সেই নেতা বিএনপির সহযোগী সংগঠন জাসাসের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত বলেও জানান তিনি।

শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপির চলমান সহিংস কর্মকাণ্ড অনেক সহ্য করেছি। মানুষের জান মাল নিয়ে ছিনিমিনি খেলা আর সহ্য করা হবে না, এসব আর বরদাস্ত করা হবে না। এসব কর্মকাণ্ড যুবদল, ছাত্রদল ও শিবিরের লোকেরা করছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।

তিনি বলেন, যারা রক্ত নিয়ে খেলছে তাদের শাস্তি হবেই হবে। জঙ্গি সন্ত্রাসীদের কোনো ক্ষমা নেই। বাংলাদেশের মানুষ তাদের অধিকার রক্ষা করবেই। সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করে থামিয়ে দিতে পারবেন না।

প্রধানমন্ত্রী অভিযােগ করে বলেন, বোমা মেরে ক্ষমতায় আসার অনেক আশা করেছেন তা পূরণ হয়নি। পরবর্তীতে বিদেশিদের হাত ধরে ক্ষমতায় আসতে চেয়েছিলেন। সেই স্বপ্নও ধুলিসাৎ হয়ে গেছে। ক্ষমতায় বসানোর পরিবর্তে বিদেশিরা বিএনপিকে জঙ্গি ও সন্ত্রাসী কার্যক্রম বন্ধের আহ্বান জানিয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৯৭৫ সালের পর দেশে একের পর এক কু হয়েছে। হাজার হাজার সৈনিককে হত্যা করা হয়েছে। ছাত্রলীগ-যুবলীগের অনেক নেতার লাশ তার পরিবার পায়নি। ২১ বছর এই ভাষণ (৭ মার্চ এর বঙ্গবন্ধু ভাষণ) বাংলাদেশের মানুষ শোনতে পারেনি। জুহুরুল হক হলের ছাত্রলীগ নেতা চুন্নুকে শেখ মুজিবের ভাষণ চালানোর অপরাধে হত্যা করা হয়েছে। আওয়ামী লীগ সব প্রতিকূলতা কাটিয়ে দেশের মানুষকে যখন স্বপ্ন দেখাতে শুরু করেছে তখনই অপশক্তি মাথা ছাড়া দিয়ে উঠেছে।

তিনি আরো বলেন, বিএনপি দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আসেননি, এটা তাদের সিদ্ধান্ত। তারা আসতেও পারে না ও আসতে পারে। নির্বাচনে না এসে যে ভুল করেছেন তার মাসুল বাংলার মানুষ দেবে কেন? ৩৪ দিন অবরোধ দিয়ে ১৫০ মানুষ হত্যা করেছেন। এত কিছু করেও নির্বাচন ঠেকাতে পারেননি। বাংলার মানুষ স্বতস্ফুর্ত অংশ নিয়ে নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে জয়ী করেছে। জঙ্গি কর্মকাণ্ড করে নির্বাচন ঠেকাতে পারেননি। নির্বাচনে জনগণ ভােট দেয়ায় আমরা সরকার গঠন করেছি। বাংলাদের মানুষ শান্তিতে থাকলে জঙ্গি নেত্রী খালেদার অশান্তি শুরু হয়।

পরিশেষে প্রধানমন্ত্রী বলেন, জঙ্গিদের শাস্তি বাংলার মাটিতে হবেই। কেউ তাদেরকে বাঁচাতে পারবে না। এটাই হবে এবারের ৭ মার্চ’র প্রতিজ্ঞা।

সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের আরো কিছু সংবাদ-

# দেশ স্বাধীন হলেও ষড়যন্ত্র থেমে নেই : মতিয়া
# খালেদা জিয়া এবারও হেরে যাবেন : তোফায়েল
# খালেদা জনগণের বিরুদ্ধে চক্রান্ত করছেন : আমু

এমএম/এমএইচ/আরএস/এমএএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।