মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষা বাতিলের পরিকল্পনা নেই!
মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষা বাতিলে স্বাস্থ্য অধিদফতরের কোন পরিকল্পনা নেই। সারাদেশে সুষ্ঠুভাবে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এখন চলছে দ্রুততম সময়ে পরীক্ষার ফল প্রকাশের জোর প্রস্তুতি। শনিবার বিকেলে জাগো নিউজের সঙ্গে আলাপকালে স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিচালক (চিকিৎসা শিক্ষা ও জনশক্তি উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. এ বি এম আবদুল হান্নান এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, একটি কুচক্রি মহল সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করতে প্রশ্নপত্র ফাঁসের দাবি তুলছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের বিভ্রান্ত করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে।
তিনি প্রশ্ন করে বলেন, পরীক্ষা কেন বাতিল হবে? পরীক্ষার আগে থেকে স্বাস্থ্য অধিদফতরে অনিয়ম রোধে কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছিল। প্রশ্নপত্র ফাঁসের ব্যাপারে কারও কাছে কোন তথ্য থাকলেও কন্ট্রোল রুমে টেলিফোন করে জানাতে অনুরোধ জানানো হয়েছিল। কিন্তু কই, পরীক্ষার আগে তো কেউ প্রশ্নপত্র ফাঁস হওয়ার খবর জানায়নি।
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার রাতে মহাখালী ডিওএইচএস থেকে নগদ ৩৮ হাজার ও এক কোটি ২১ লাখ টাকার চেকসহ চারজন এবং শুক্রবার পরীক্ষার দিন আগারগাঁও থেকে ইউজিসির কর্মকর্তাসহ আরো চারজনকে গ্রেফতার করে র্যাব। এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সবাই শুধু প্রশ্নত্র ফাঁসের কথা বলছে, কই র্যাবের কেউ তো প্রশ্নপত্র নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদফতরের সঙ্গে যোগাযোগ করে জব্দকৃত ও পরীক্ষার প্রশ্নপত্র একই তা বলেনি।
প্রশ্নপত্র বাইরে বের হওয়ার কোনো সুযোগ রয়েছে কিনা এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, পরীক্ষার দিন কর্তব্যরত হল সুপার ও ইনভিজিলেটর প্রতিটি কেন্দ্রে মোট শিক্ষার্থী হিসাব করে প্রত্যেক পরীক্ষার্থীকে একটি প্রশ্নপত্র ও উত্তরপত্র (ওএমআর শিট) প্রদান করেন। পরীক্ষা শেষে সেগুলো আবার মিলিয়ে তবেই পরীক্ষার্থীকে হল থেকে বের হতে দেয়া হয়। সুতরাং পরীক্ষার প্রশ্নপত্র বাইরে যাওয়ার সুযোগ নেই।
তবে কিভাবে প্রশ্নপত্র বাইরে গেল জানতে চাইলে তিনি বলেন, এখনও পর্যন্ত আমি প্রশ্নপত্র দেখিনি। তবে আগেই বলেছি একটি কুচক্রী মহল সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করতে উঠে পড়ে লেগেছে। এদের মধ্যে কেউ হয়তো সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে প্রশ্নপত্র বাইরে বের করেছে বলে তিনি মন্তব্য করেন তিনি।
উল্লেখ্য, শুক্রবার সকাল ১০টা থেকে ১১টা পর্যন্ত স্বাস্থ্য অধিদফতরের অধীনে অভিন্ন প্রশ্নপত্রে রাজধানীসহ সারাদেশে সরকারি বেসরকারি মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।
চলতি বছর রেকর্ডসংখ্যক ৮৪ হাজারেরও বেশি পরীক্ষার্থী অংশ নেন। রাজধানী ঢাকায় তিনটি মেডিকেল ও একটি ডেন্টাল কলেজসহ মোট চারটি ও ঢাকার বাইরের ১৯টি কলেজের বিভিন্ন কেন্দ্রে পরীক্ষা গ্রহণ করা হয়।
# মেডিকেলের প্রশ্ন ফাঁসে অত্যাধুনিক ডিভাইস
# ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার ফল
# মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষা পুনরায় গ্রহণের আহ্বান
# মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষা বাতিলে তিন সচিবকে লিগ্যাল নোটিশ
এমইউ/এএইচ/পিআর