ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

ব্লগার অনন্ত হত্যাকাণ্ড : দুই সহোদর ৭ দিনের রিমান্ডে

প্রকাশিত: ০৫:২৮ পিএম, ২৮ আগস্ট ২০১৫

ব্লগার অনন্ত বিজয় দাশ হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে আটক দুই সহোদরকে ৭ দিনের রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ। শুক্রবার রাত নয়টায় সিআইডি’র অর্গানাইজড ক্রাইম বিভাগের বিশেষ পুলিশ সুপার মির্জা আবদুল্লাহ হেল বাকী এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান। এর আগে বৃহস্পতিবার গভীররাতে উপজেলার কানাইঘাট থেকে তাদের আটক করা হয়।

রিমান্ডে নেওয়া দুই সহোদর হলেন- কানাইঘাটের পূর্ব পালজুর গ্রামের হাফিজ মইনুদ্দিনের ছেলে মান্নান ইয়াহিয়া ওরফে মান্নাম রাহী ও তার ভাই মোহাইমিন নোমান ওরফে এএএম নোমান।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, শুক্রবার দুপুরে মহানগর হাকিম আদালত-১ এ তাদের হাজির করা হয়। এ সময় মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা আবদুল মান্নান ১৫ দিনের রিমান্ড আদেন করেন। শুনানি শেষে তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন মহানগর হাকিম আদালত-১ এর বিচারক শাহিদুল করিম।

এছাড়া একই ঘটনায় আরো ৫ জনকে শোন-অ্যারেস্ট দেখানো হয়েছে বলে পুলিশ কমিশনারের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।

সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার গভীররাতে জেলার কানাইঘাট থেকে ওই দুজনকে আটক করা হয়। ঢাকায় ব্লগার রাজিব হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় কয়েক মাস আগে সিলেটের মুন্সিপাড়া থেকে গ্রেফতার হওয়া জঙ্গি ফারাবির সূত্র ধরেই তাদের দুজনকে আটক করা হয়।

এছাড়া গত ৭ জুন আলোচিত এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় গ্রেফতার করা হয় স্থানীয় এক পত্রিকার ফটো সাংবাদিক ইদ্রিছ আলীকে। রিমান্ড শেষে এখন জেলহাজতে রয়েছেন ইদ্রিছ।

ইদ্রিছ আলীর বিষয়ে সংবাদ সম্মেলনে সিআইডির বিশেষ সুপার মির্জা আবদুল্লাহ হেল বাকীর বলেন, ইদ্রিছ আলীকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তার কাছ থেকে পাওয়া তথ্য-উপাত্ত আমরা পর্যালোচনা করছি। তবে নির্দোষ প্রমাণিত হলে চার্জশিট থেকে তাকে বাদ দেয়া হবে। আর জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া গেলে অভিযুক্ত করা হবে।

সংবাদ সম্মেলনে এ সময় মহানগর পুলিশের কমিশনার মো. কামরুল আহসান, অতিরিক্ত কমিশনার এসএম রুকন উদ্দিন, উপ-কশিমনার (সদর দফতর) মো. রেজাউল করিম, র‌্যাব -৯ এর সহকারী পরিচালক মাঈন উদ্দিন চৌধুরী, এসএমপির অতিরিক্ত উপ-কমিশনার রহমতউল্লাহ উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, গত ১২ মে সিলেট নগরের সুবিদবাজারে নিজ বাসা থেকে বেরিয়ে কর্মস্থলে যাওয়ার পথে কুপিয়ে হত্যা করা হয় ব্লগার অনন্ত বিজয় দাশকে। হত্যাকাণ্ডের পরপরই অনন্তর বড়ভাই রত্মেশ্বর দাশ বাদি হয়ে শাহপরাণ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।মামলাটি বর্তমানে সিআইডির ক্রাইম অর্গানাজড টিম তদন্ত করছে।

# অনন্ত হত্যা মামলায় দুইজন গ্রেফতার

ছামির মাহমুদ/আরএস