পিন্টুর ময়নাতদন্ত শেষ : স্বজনদের কাছে লাশ হস্তান্তরের অপেক্ষা
বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ও ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি নাসির উদ্দিন আহমেদ পিন্টুর লাশের ময়নাতদন্ত কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে দিয়ে শেষ হয়েছে। রোববার সন্ধ্যা ৭টার দিকে লাশের ময়নাতদন্ত শেষ হয়। বর্তমানে পিন্টুর লাশ মর্গেই রয়েছে। আর মর্গের আশেপাশে রাজশাহী, নাটোর, বগুড়াসহ বিভিন্ন জেলা থেকে আগত বিএনপির নেতাকর্মীরা অবস্থান নিয়েছেন।
বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব মিজানুর রহমান মিনুর পক্ষে মর্গের সামনে আছেন উনার সহধর্মীণি সালমা শাহাদতসহ মহিলা দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেত্রীরা। মর্গের সামনে সব ধরনের অপৃতিকর ঘটনা এড়াতে বিপুল পরিমাণ পুলিশ ও কারারক্ষী অবস্থান নিয়েছে।
এদিকে, বিএনপি নেতা পিন্টুর লাশ গ্রহণ করতে তার ভাই নাসিম উদ্দিন আহম্মেদ রিন্টু, শ্যালক মোহাম্মদ অপু, পিন্টুর সাবেক পিএস রফিক আহমেদ ডলার, সাবেক ছাত্রনেতা রুহুল আমিন অকিল, ঢাবি ছাত্রদলের সাবেক সহ-সভাপতি নয়ন হোসেন ও পিন্টুর বন্ধু সাবেক ছাত্রনেতা মোহাম্মদ টিটু রাজশাহীর উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন। বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে তারা রাজশাহীর উদ্দেশে রওনা হন।
এর আগে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের প্রধান ড. কফিল উদ্দিনের নেতৃত্বে ও ম্যাজিস্ট্রেট শিমুল আক্তারের উপস্থিতিতে বিএনপি নেতা নাসির উদ্দিন আহমেদ পিন্টুর মরদেহর সুরতহাল রিপোর্ট শেষে ময়নাতদন্ত শেষ হয়েছে।
এখন পিন্টুর স্বজনরা রাজশাহীতে এসে পৌঁছালে তার লাশ পরিবারের সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করা হবে বলে জানিয়েছেন রাজশাহীর কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার শফিকুল ইসলাম খান।
তবে নগরীর আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আরএমপি’র পক্ষ থেকে বিশেষ কোনো ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে আরএমপির কমিশনার মো. শামসুদ্দিন জাগো নিউজকে জানান, এখন পর্যন্ত নগরীর আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। তবে শহরের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়স্ত্রণে প্রয়োজনে অতিরিক্ত পুলিশ নগরীর গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে মোতায়েন করা হবে।
এদিকে, রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের প্রধান প্রফেসর ড. কফিল উদ্দিন জানান, পিন্টুর মরদেহের ময়নাতদন্ত শেষ হয়েছে। রিপোর্ট হাতে না পাওয়া পর্যন্ত তিনি এ বিষয়ে কোনো ধরনের মন্তব্য করতে রাজি হননি।
এর আগে লাশের ময়নাতদন্তের আগে রামেক হাসপাতালের ডা. শফিকুল ইসলাম স্বাক্ষরিত একটি কাগজ নগরীর রাজপাড়া থানায় গিয়ে পৌঁছালে থানার ডিউটি অফিসার এসআই তসলিমা সেটি গ্রহণ করেছেন। পরে তিনি পিন্টুর মারা যাওয়ার বিষয়টি ইউডি মামলা রুপে থানায় লিপিবদ্ধ করেছেন বলে নিশ্চিত করেন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মেহেদী হাসান।
মহানগর বিএনপির একটি সূত্রের মাধ্যমে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ও নগর বিএনপির সভাপতি মিজানুর রহমান মিনু দাবি করেছেন, বিএনপি নেতা পিন্টুকে পরিকল্পিতভাবে বিভিন্ন ধরনের মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন করে মেরে ফেলা হয়েছে। পরে তাকে লোক দেখানো চিকিৎসার নামে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এর আগে গত ২০ এপ্রিল বিএনপি নেতা পিন্টুকে কাশিমপুর কারাগার থেকে রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে আনা হয়েছিল।
## বিএনপি নেতা নাসির উদ্দিন পিন্টু মারা গেছেন
এমএএস/আরআই