কেসপারের দেহে সফল অস্ত্রোপচার : আইসিইউ সাপোর্টে চিকিৎসাধীন!
চার বছর বয়সী শিশু সাদমান কেসপারের দেহে সফল অস্ত্রোপচার হয়েছে। বর্তমানে সে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের পোস্ট অপারেটিভ ওয়ার্ডে ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন রয়েছে।
কেসপারের বাবার বন্ধু নিরব শুক্রবার দুপুর দেড়টায় জাগো নিউজকে এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, দুপুর সাড়ে ১২টায় সর্বশেষ খবরে চিকিৎসকরা তাদের জানিয়েছেন যে, আইসিইউতে কেসপারের শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল রয়েছে।
তবে বিকেল পৌনে ৩টায় বোর্ডের একজন সদস্য জাগো নিউজকে জানান, কেসপারকে কৃত্রিম শ্বাস-প্রশ্বাস দেয়া হচ্ছে। তবে তার প্রয়োজনীয় অক্সিজেন পেতে কিছুটা সমস্যা হচ্ছে। চিকিৎসকরা সার্বক্ষণিকভাবে শারীরিক অবস্থা পর্যবেক্ষণ করছেন।
জানা গেছে, বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে হঠাৎ বিএসএমএমইউ’র শিশু সার্জারি বিভাগে চিকিৎসাধীন কেসপারের শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। মেডিকেল বোর্ডের সদস্যদের জরুরি সিদ্ধান্তক্রমে তার দেহে অস্ত্রোপচার হয়। সফল অস্ত্রোপচারের পর তাকে পোস্ট অপারেটিভ ওয়ার্ডে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে তার শ্বাসকষ্ট শুরু হলে ওই ওয়ার্ডেই আইসিইউ সাপোর্টের ব্যবস্থা করা হয়।
বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের সমন্বয়ে গঠিত ৮ সদস্যের মেডিকেল বোর্ড প্রধান অধ্যাপক ডা. শফিকুল হকের ব্যক্তিগত সহকারী ও বোর্ড সদস্য ডা. এম শাহিনুর জানান, দ্বিতীয় দফায় অস্ত্রোপচারের পর কেসপারের শরীরে রক্তক্ষরণের কারণ ও অবস্থান শনাক্ত করা সম্ভব হয়েছে। খাদ্যনালীতে ‘মেকলস ডাইভার্টিকুলাম’ নামে শরীরের একটা অংশ (অ্যাপেনডিসাইটিসের মতো অপ্রয়োজনীয় একটা অংশ) শনাক্ত হলে তা কেটে ফেলা হয়।
এর আগে প্রথম দফায় চট্টগ্রামের একটি বেসরকারি হাসপাতালে কেসপারের পেটে অস্ত্রোপচার হলেও রক্তক্ষরণ কী কারণে এবং কোথা থেকে হচ্ছে তা শনাক্ত করতে পারেননি চিকিৎসকরা। অস্ত্রোপচারের পর ৩৬ ঘণ্টা রক্তক্ষরণ বন্ধ থাকলেও পরবর্তীতে আবারো রক্তক্ষরণ শুরু হলে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিএসএমএমইউতে স্থানান্তর করা হয়। বুধবার ভর্তির পর পরই শিশু সার্জারি বিভাগের অধ্যাপক ডা. শফিকুল হককে প্রধান করে ৮ সদস্যের মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়।
বিএসএমএমইউ’র উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কামরুল হাসানের পিএস আমিনুল ইসলাম পলাশ জাগো নিউজকে বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে তিনি শিশুটির শরীর থেকে রক্তক্ষরণের মর্মস্পর্শী ঘটনাটি জানতে পারেন। সেখানে কেসপারের বাবা অপুর কোনো বন্ধু বা সহকর্মীদের কোনো একজন কমেন্ট লিখেছিলেন বিএসএমএমইউতে এনে ভর্তি করিয়ে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের দেখাতে। প্রতি উত্তরে অন্য একজন লিখেছিলে বিএসএমএমইউতে এনে লাভ নেই, রাজনৈতিক তদবির ছাড়া ভর্তি হওয়া যায় না।
এসব কথা জানতে পেরে তিনি কেসপারের বাবা ও ফুফুর সাথে যোগাযোগ করে ভর্তির ব্যবস্থা করেন। বিবেকের তাড়নায় শিশু কেসপারকে রোগমুক্ত করতেই তিনি চিকিৎসার উদ্যোগ নিয়েছেন বলে জানান।
# অনবরত রক্তক্ষরণ : জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে শিশু সাদমান কেসপার
# রক্তরক্ষণ আপাতত বন্ধ : কেসপারের শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল
# শারীরিক অবস্থার অবনতি : কেসপারকে আইসিইউতে স্থানান্তর
# বিএসএমএমইউর আইসিইউতে চিকিৎসা না পেয়েই কেসপারের মৃত্যু!
এমইউ/একে