রাজনীতি

স্বামীর মৃত্যুর আশঙ্কা করছেন মেয়র মান্নানের স্ত্রী

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা ও গাজীপুরের মেয়র এম এ মান্নানকে উন্নত চিকিৎসা দেওয়া না হলে তিনি মারা যেতে পারেন বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তার স্ত্রী সাজেদা মান্নান।শনিবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবে এম এ মান্নানের পরিবারের পক্ষ থেকে আয়োজিত অসুস্থ মান্নানের মুক্তির দাবি শীর্ষক এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ আশঙ্কা প্রকাশ করেন।এসময় লিখিত বক্তব্যে সাজেদা মান্নান বলেন, এম এ মান্নান দীর্ঘ দিন যাবৎ হার্ট, কিডনি ও ডয়াবেটিস রোগে আক্রান্ত হয়ে শারীরিকভাবে গুরুতর অসুস্থ। তাকে গ্রেফতারের পর একের পর এক রিমান্ডে নিয়ে নির্যাতনের কারণে আরো বেশি অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। বর্তমানে তিনি শয্যাশায়ী ও মৃত্যুপথযাত্রী। তাই বিদেশে বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের তত্ত্বাবধানে উন্নত চিকিৎসা করানো খবু জরুরি। কারণ উন্নত চিকিৎসা দেওয়া না হলে তার মৃত্যুর আশঙ্কা রয়েছে।তিনি বলেন, গাজীপুর বাসীর আশা এম এ মান্নান দ্রুত মুক্তি ও চিকিৎসা শেষে সুস্থ হয়ে গাজীপুর মানুষের আমানত মেয়রের দায়িত্ব আবারো পালন করবেন। আর এক্ষেত্রে সরকার যাতে কোনো প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি না করে এটাও গাজীপুর বাসী প্রত্যাশা করেন।সাজেদা অভিযোগ করেন, এম এ মান্নান পরিবারকে রাজনৈতিকভাবে হেয়প্রতিপন্ন করে সামাজিকভাবে ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করার অপচেষ্টা করছে সরকার। এই কারণে এম এ মান্নান ও তার ছেলে এম মঞ্জুরুল করিমের নামে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন মামলা দায়ের করেছে সরকার। তিনি অবিলম্বে এই মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করে নেয়ার জন্য সরকারের প্রতি দাবি জানান।তিনি আরো অভিযোগ করেন, ক্ষমতাসীনরা অগণতান্ত্রিক রাষ্ট্র কায়েমের জন্য ধারাবাহিকভাবে মান্নানের নামে একের পর এক ১১ টি ভিত্তিহীন মিথ্যা নাশকতার মামলা দিয়ে গ্রেফতার করেছে। আর তাকে যেদিন গ্রেফতার করা হয় তখন তিনি খুব অসুস্থ ছিলেন। তাই মানবিক বিবেচনায় এম এ মান্নানকে মুক্তি দেওয়া জন্য সরকারের প্রতি দাবি জানান সাজেদা মান্নান।এম এ মান্নান স্ত্রী আরো বলেন, বিচার কার্য সম্পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত কোনো ব্যক্তিকে দোষী সাব্যস্ত করা যায় না। অথচ সাজনো মিথ্যা বিচারধীন মামলা সমাপ্ত হওয়ার পূর্বেই মেয়র পদ থেকে মান্নানকে সাময়িকভাবে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। যা অত্যান্ত ঘৃণিত ও দুঃখজনক।এসময় সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আ স ম হান্নান শাহ, সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, নির্বাহী কমিটির সদস্য হুমায়ুন কবির খান, ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি আব্দুল মোতালেব প্রমুখ।# আইনের মারপ্যাচে মান্নানকে আটক রাখা হয়েছেএমএম/এসকেডি/পিআর

Advertisement