দেশজুড়ে

জনসেবাকে প্রাধান্য দিতে হবে : অর্থমন্ত্রী

অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছেন, বঙ্গবন্ধু রাজনীতিতে জনসেবামূলক কাজ হিসেবে বেছে নিয়েছিলেন। আজীবন জনগণের পাশে থেকে জনসেবামূলক কাজ করে গেছেন। তাই সেচ্ছাসেবক লীগের নেতাকর্মীদের জনসেবাকে প্রাধান্য দিয়ে কাজ করে যেতে হবে এবং নেতৃত্ব তৈরি করে যেতে হবে।অর্থমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ সভানেত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা সবসময় জনসেবামূলক কাজকে প্রাধান্য দিয়ে থাকেন। কাজেই আমাদেরকে জনগণের কল্যাণে গণমানুষের কল্যাণে কাজ করে যেতে হবে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ সিলেট জেলা ও মহানগর শাখা আয়োজিত সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।মুহিত আরো বলেন, এতো এতো সংগঠন দেখে আমার খুব খারাপ লাগতো। ভাবতাম এতো সংগঠনের কি প্রয়োজন আছে। তবে হ্যাঁ সংগঠনের প্রয়োজন রয়েছে। কারণ এসব সংগঠন সাংগঠনিক ভিত্তিকে মজবুত করে। তবে সেজন্য সাংগঠনিক ক্ষমতা নয়, প্রয়োজন দূরদর্শী নেতৃত্বের। সে নেতৃত্ব ধাপে ধাপে তৈরি করতে হবে। সেজন্য দূরদর্শিতা প্রয়োজন।দীর্ঘ একযুগ পর আওয়ামী লীগের স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন স্বেচ্ছাসেব কলীগের সম্মেলন উপলক্ষে সকাল থেকেই বৈরি আবহাওয়া উপক্ষো করে মিছিল সহকারে নেতাকর্মীরা দলে দলে সম্মেলনস্থল সিলেট রেজিস্ট্রারি মাঠে আসতে থাকেন। নির্ধারিত সময়ের আগেই মাঠ লোকে লোকারণ্য হয়ে ওঠে। জায়গা সংকুলান না হওয়ায় নেতাকর্মীদের অনেকেই সম্মেলনের আশপাশে থেকে বক্তব্য শুনতে দেখা গেছে। নেতাকর্মীদের ভিড় ঠেলাঠেলি একসময় ক্ষোভে রূপ নেয়। আংশিক ভেঙে যায় মঞ্চের টেবিল। ক্ষোভে প্রধান অতিথি অর্থমন্ত্রী সম্মেলনস্থল ত্যাগ করলেও পরে তিনি আবার নেতাকর্মীদের মাঝে ফিরে আসেন।বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার অক্লান্ত পরিশ্রমে দেশ যখন এগিয়ে যাচ্ছে। তখন বিরোধী শক্তি দেশবিরোধী কার্যকলাপে লিপ্ত রয়েছে। তারা এদেশকে একটি অশান্ত রাষ্ট্রে পরিণত করতে চায় এ থেকে নেতাকর্মীদের সজাগ থাকতে হবে।সম্মেলন বক্তা হিসেবে স্বেচ্ছাসেবক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক পঙ্কজ দেবনাথ এমপি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার যখন ক্ষমতায় এসে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার শুরু করেছে তখন স্বাধীনতা বিরোধীচক্র একের পর এক ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে।এই সিলেটে এমসি কলেজ হোস্টেলে জামাত-শিবির দেশবিরোধী কার্যক্রম করে যাচ্ছিল উল্লেখ করে বলেন শিবির আওয়ামী সংগঠনের নেতাকর্মীদের নির্যাতন করতো। আর যখন জনতা মিলে এর প্রতিরোধ করলো তখন ক্ষোভে ক্রোধে এমসি কলেজের হোস্টেল পুড়লো, আর দোষ পড়লো ছাত্রলীগের ওপর। তাই নেতাকর্মীদের সবসময় সজাগ থাকতে হবে।স্বেচ্ছাসেবক লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদ্ক ও জেলা শাখার সভাপতি সুব্রত পুরকায়স্থের সভাপতিত্বে ও সিলেট মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি অ্যাডভোকেট শেখ মখলু মিয়ার পরিচালনায় সম্মেলনের প্রথম পর্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ, সংসদ সদস্য মাহমুদুস সামাদ কয়েছ, ইমরান আহমদ ও হবিগঞ্জ-সিলেটের নারী আসনের সংসদ সদস্য আমাতুল কিবরিয়া কেয়া চৌধুরী।## এবার রাবিশ বলে অনুষ্ঠানস্থল ত্যাগ করলেন মুহিতছামির মাহমুদ/বিএ

Advertisement