ক্যাম্পাস

মেডিকেলে ভর্তিচ্ছুকদের আবেদনে ৪৪ বছরের রেকর্ড ভঙ্গ

স্বাধীনতাত্তোর সকল রেকর্ড ভঙ্গ করে চলতি বছর সরকারি-বেসরকারি মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজে ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহনের জন্য সর্বোচ্চ সংখ্যক আবেদনপত্র জমা পড়েছে।বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্ত ৭১ হাজার ৩৩৫ জন ভর্তিচ্ছুর আবেদনপত্র জমা পড়েছে। আবেদনপত্র জমা দেয়ার সময় শেষ হতে এখনো ৬দিন বাকি রয়েছে। আগামী ১ সেপ্টেম্বর রাত ১২টা পর্যন্ত আবেদনপত্র জমা দেয়া যাবে।স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিচালক (চিকিৎসা শিক্ষা ও জনশক্তি উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. এ বি এম আবদুল হান্নান এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ইতিপূর্বে মেডিকেল কলেজের ভর্তি পরীক্ষায় এত বেশী সংখ্যক আবেদনপত্র জমা পড়েনি। শেষ পর্যন্ত আবেদনপত্রের সংখ্যা ৮৫ হাজার থেকে ৯০ হাজার ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে  ধারণা করা হচ্ছে।জাগো নিউজের অনুসন্ধানে জানা গেছে, বছর পাঁচেক আগেও ভর্তি পরীক্ষার আবেদনপত্রের সংখ্যা ছিল ৫০ হাজারেরও কম। ওই সময় সরকারি ও বেসরকারি মেডিকেল কলেজের সংখ্যাও কম ছিল।স্বাস্থ্য অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, ২০১১-২০১২ শিক্ষাবর্ষে ৪৮ হাজার, ২০১২-২০১৩ শিক্ষাবর্ষে ৫০ হাজার, ২০১৩-২০১৪ শিক্ষাবর্ষে ৬৮ হাজার, ২০১৪-২০১৫ শিক্ষাবর্ষে ৬৯ হাজার আবেদনপত্র জমা পড়ে। অথচ চলতি বছর বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত ৭১ হাজার ৩৩৫টি আবেদনপত্র জমা পড়েছে।স্বাস্থ্য অধিদফতরের অধীনে রাজধানীসহ সারাদেশে আগামী ১৮ সেপ্টেম্বর সকাল ১০টা থেকে ১১টা পর্যন্ত ১০০ নম্বরের নৈব্যক্তিক প্রশ্নপত্রে চলতি বছরের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।গত বছরের মতো এবারও সরকারি ও বেসরকারি উভয় মেডিকেল কলেজের ভর্তি পরীক্ষার প্রাকযোগ্যতা হিসেবে ১০০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষায় কমপক্ষে ৪০ নম্বর পাওয়ার নিয়ম চালু থাকায় চলতি বছর ভর্তিচ্ছুদের সংখ্যা কমে যেতে পারে ধারণা করা হচ্ছিল। কিন্তু সবার ধারণা পাল্টে দিয়ে ইতোমধ্যেই সকল রেকর্ড ভঙ্গ করে সর্বাধিক আবেদনপত্র জমা পড়েছে।এর নেপথ্যের কারণ অনুসন্ধানে জানা গেছে, বিগত বছরগুলোতে মেডিকেল কলেজে ভর্তি পরীক্ষা বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় বিশেষত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরে অনুষ্ঠিত হতো। এবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা ৯ অক্টোবর থেকে শুরু হচ্ছে। আর মেডিকেল কলেজের ভর্তি পরীক্ষা ১৮ আগস্ট অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।এবার ভর্তি পরীক্ষার তারিখ আগে হওয়ায় যারা বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষা দেবে তাদের প্রায় সকলেই মেডিকেল কলেজের ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে। মূলত এ কারণেই আবেদনপত্রের সংখ্যা বেড়েছে।# বেসরকারি মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজ মালিকদের জন্য সুখবরএমইউ/একে/এমআরআই

Advertisement