বেসরকারি মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজ মালিকদের জন্য সুখবর
বেসরকারি মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজের মালিকদের জন্য সুখবর। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বিদেশি কোটায় আসন বৃদ্ধি করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। এ লক্ষ্যে চলতি বছর সকল বেসরকারি মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজের মালিকরা তাদের মোট আসনের ৫০ ভাগ আসনে বিদেশি শিক্ষার্থী ভর্তি করতে পারবেন।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিচালক (চিকিৎসা শিক্ষা ও জনশক্তি উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. এ বি এম আবদুল হান্নান বৃহস্পতিবার বিকেলে এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জাগো নিউজকে বলেন, বাংলাদেশ প্রাইভেট মেডিকেল কলেজ অ্যাসোসিয়েশনের (বিপিএমসিএ) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে।
বিপিএমসিএ মহাসচিব ও কুমিল্লা ইস্টার্ন মেডিকেল কলেজের মালিক শাহ মো. সেলিম জাগো নিউজের এ প্রতিবেদকের সঙ্গে আলাপকালে বলেন, এদেশের বেশ কিছু বেসরকারি মেডিকেল কলেজ বিদেশি শিক্ষার্থীদের কাছে দারুণ চাহিদার। গত বছর পর্যন্ত শতকরা ৪০ ভাগ আসনে বিদেশি শিক্ষার্থী ভর্তির কোটা নির্ধারিত থাকায় চাহিদা স্বত্ত্বেও ভর্তিচ্ছু সবাইকে তারা ভর্তি করতে পারেননি।
তিনি জানান, দেশীয় শিক্ষার্থী ভর্তির ক্ষেত্রে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় নির্ধারিত ১০০ নম্বরের ভর্তি পরীক্ষায় ৪০ নম্বর পাওয়ার বাধ্যবাধকতা থাকায় বিগত বছরে অনেক মেডিকেল কলেজে বিপুল সংখ্যক আসন শূন্য ছিল। ভর্তিযোগ্য নম্বর কমানোর জন্য তারা বার বার আবেদন জানালেও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সাড়া দেয়নি।
আসন শূন্য থাকায় অধিকাংশ বেসরকারি মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজ নিদারুন আর্থিক সংকটে পড়ে। প্রয়োজনীয় অবকাঠামো নির্মাণ, শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতনভাতা পরিশোধসহ প্রতি মাসে বিপুল অঙ্কের টাকা খরচ হয়। তবে সে তুলনায় শিক্ষার্থী না পাওয়ায় তারা ঋণগ্রস্ত হয়ে পড়ে। সার্বিক পরিস্থিতি তুলে ধরে তারা সম্প্রতি বিদেশি শিক্ষার্থীদের ভর্তিকোটা বৃদ্ধির আবেদন জানায়।
বিপিএমসিএ থেকে প্রাপ্ত এক পরিসংখ্যানে দেখা যায়, গত বছর ৫৫টি মেডিকেল কলেজে মোট ৪ হাজার ৯৭৫টি আসনের মধ্যে সাধারণ আসনের সংখ্যা ছিল দুই হাজার ৩৪২টি। সাধারণ আসনে এক হাজার ৬৭৭টি আসন এবং বিদেশি কোটায় ৯৫৬টি আসন শূন্য ছিল।
বিপিএমসিএ মহাসচিব শাহ মো. সেলিম জানান, বিদেশি শিক্ষার্থীদের বাংলাদেশের বিভিন্ন মেডিকেল কলেজে ভর্তির ব্যাপারে উদ্বুদ্ধ করতে ইতোমধ্যেই মেডিকেল কলেজের মালিকরা প্রতিবেশী দেশ ভারত, নেপালসহ একাধিক দেশ সফর করেছেন।
# মেডিকেলে ভর্তিচ্ছুকদের আবেদনে ৪৪ বছরের রেকর্ড ভঙ্গ
একে/এমআরআই