বিরল রোগে আক্রান্ত ৫ মাসের কন্যাকে বাঁচাতে মা-বাবার আকুতি
ধীরে ধীরে মৃত্যুর দিকে এগিয়ে যাচ্ছে ফুটফুটে শিশু তাহিয়া আমিন খান তাকি। তাকে বাঁচাতে একের পর এক হাসপাতালে ছুটেছেন বাবা আল-আমিন। চিকিৎসার জন্য সব অর্থ শেষ করে এখন নিঃস্ব। কিন্তু মেয়ে আর সুস্থ হয়ে ওঠেনি।
বর্তমানে অর্থের অভাবে মেয়ের চিকিৎসা করাতে পারছেন না জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী আল-আমিন। ফলে তাকে চেয়ে চেয়ে দেখা ছাড়া আর কিছুই করার নেই।
চিকিৎসকরা বলছেন, পাঁচ মাস বয়সী তাহিয়া জন্মগতভাবে বিরল রোগ বিলিয়ারি অ্যাট্রেসিয়ায় (লিভারের জটিল রোগ) আক্রান্ত। তাকে বাঁচাতে হলে লিভার ট্রান্সপ্লান্ট, বা লিভার প্রতিস্থাপন করতে হবে। এ জন্য যেতে হবে ভারতের চেন্নাইয়ের রেলা ইনস্টিটিউটে।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) শিশু সার্জারি বিভাগের অধ্যাপক ডা. এ কে এম জাহিদ হোসেন জানান, লিভার ট্রান্সপ্লান্ট করলে তাহিয়াকে বাঁচানো সম্ভব। নয়তো তাকে বেশিদিন বাঁচানো যাবে না।
শিশুর বাবা আল-আমিন জানান, মেয়ের চিকিৎসার জন্য ঢাকার নানা হাসপাতালে ঘুরেছেন তিনি। শুধু অর্থ ব্যয় ছাড়া কোনো কাজ হয়নি। এখন প্রায় নিঃস্ব তিনি। ভারতে তাকে নিয়ে চিকিৎসা করাতে হলে প্রায় ৫০-৬০ লাখ টাকার মতো খরচ হবে।
তিনি বলেন, এই টাকা কোনোভাবেই এখন আর তার পক্ষে যোগাড় করা সম্ভব না। তাই মেয়ের চিকিৎসার জন্য বাধ্য হয়ে হাত পেতেছেন মানুষের কাছে। হৃদয়বান-বিত্তবানদের সাহায্যের জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন বাবা আল-আমিন ও মা মৌসুমি খানম।
এ জন্য যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে তাহিয়ার বাবা আল আমিনের মোবাইল ০১৭১৯-৬৫৯২৫৩ নম্বরে। বরগুনার তালতলীর উপজেলার জাকির তবক গ্রামে বসবাস করেন আল আমিন।
জেডএইচ/এএসএম