বান্দরবানের মিরিঞ্জা ভ্যালিতে পৌঁছাবেন কীভাবে?
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মিরিঞ্জা ভ্যালির প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দেখে কমবেশি সবাই মুগ্ধ। অনেকেই এখন মিরিঞ্জা ভ্যালি ভ্রমণের পরিকল্পনা করছেন। তবে স্থানটি ঠিক কোথায় কিংবা কীভাবে সেখানে পৌঁছাতে হবে, তা হয় তো অনেকেরই জানা নেই।
মিরিঞ্জা ভ্যালি ও মারাইংছা হিল বান্দরবানের লামা উপজেলায় সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ১৮০০ ফুট উঁচুতে পাহাড়ের বুকে অবস্থিত একটি নতুন পর্যটন স্থান।
পাহাড় আর মেঘের খেলা উপভোগ করার সেরা এক স্থান এটি। প্রকৃতি এই স্থান সাজিয়েছে আপন মনের মাধুরী মিশিয়ে। মিরিঞ্জা ভ্যালি থেকে মাতামুহুরী নদীর সুন্দর দৃশ্যও আপনার নজর কাড়বে।
সেখানে শুধু আপনি প্রকৃতিই উপভোগ করতে পারবেন। বিদ্যুৎ নেই বলে সেখানে রাতও নিবিড়। বর্তমানে মিরিঞ্জা ভ্যালি দারুণ এক আকর্ষণের নাম। সাজেকের মতোই দিন দিন এর কদর বাড়ছে। চাইলে আপনিও ঘুরে আসতে পারে দারুণ আকর্ষণীয় এই স্থান থেকে।
কীভাবে যাবেন?
বান্দরবান শহর থেকে ৮৬ কিলোমিটার ও চকরিয়া থেকে ২৪ কিলোমিটার দূরে লামা উপজেলায় অবস্থিত মিরিঞ্জা ভ্যালি। লামা সদর থেকে মিরিঞ্জা ভ্যালির দূরত্ব আনুমানিক ৭ কিলোমিটার।
দেশের যে কোনো স্থান থেকে কক্সবাজারে যাওয়ার পথে চকরিয়া বাস টার্মিনালে নামতে হবে। সেখান থেকে লামা-আলীকদম পথে জিপ, চান্দের গাড়ি, বাস বা সিএনজিচালিত অটোরিকশায় মিরিঞ্জা ভ্যালি যাওয়া যায়।
বাস কিংবা জিপের ভাড়া ৫০-৬০ টাকা। লামা-আলীকদম সড়কে মিরিঞ্জা বাজারে গাড়ি থেকে নেমে ১০ মিনিট হাঁটলেই মিরিঞ্জা ভ্যালির রিসোর্টগুলো দেখতে পাবেন।
কোথায় থাকবেন ও খাবেন?
মিরিঞ্জা ভ্যালিতে ৪০টিরও বেশি জুম ঘর ও রিসোর্ট আছে। প্রতিটি জুম ঘরের জন্য ভাড়া ২-৬ হাজার টাকা। এখানে এখন বিদুৎ নেই, তবে সোলার প্যানেলের সাহায্যে প্রয়োজনীয় বিদুৎ পাওয়া যায়। পর্যটকদের মোবাইল ফোন ও অন্যান্য ডিভাইস চার্জ করতে জেনারেটর চালানো হয় অনেক রিসোর্টে।
জুম ঘর ছাড়াও সেখানে তাবুতে থাকার ব্যবস্থা আছে। খাবারের প্যাকেজসহ তাবুর ভাড়া জনপ্রতি ৮০০-১০০০ টাকা। যেহেতু বর্তমানে স্থানটি বেশ জনপ্রিয়তা লাভ করেছে, তাই যেতে চাইলে আগেই কোন রিসোর্ট বুকিং দিয়ে যাওয়া ভালো হবে। না হলে থাকার জায়গা পাওয়া কষ্টসাধ্য হতে পারে।
মিরিঞ্জা ভ্যালির রিসোর্টগুলোতে তিনবেলা প্যাকেজ খাবারের ব্যবস্থা করা হয়। এর মধ্যে সকালে ডিম-খিচুড়ি কিংবা মুরগির মাংস। দুপুরে সাদা ভাত, ডাল, মুরগি এবং সবজি ও সালাদ।
এছাড়া রাতে বারবিকিউ, চিকেন, কাবাব ও পরোটার ব্যবস্থা আছে। তিনবেলা খাবারের প্যাকেজের মূল্য ৭০০-১০০০ টাকা। এছাড়া পর্যটকরাও চাইলে রান্না করে খেতে পারবেন।
জেএমএস/জিকেএস