জুলাইয়ে ভারত ভ্রমণে ঘুরে আসতে পারেন ৬ পাহাড়ে
পাহাড়ের সৌন্দর্য দেখতে কার না ভালো লাগে! আপনিও যদি পাহাড়প্রেমী হন, তাহলে ভারত ভ্রমণে ঘুরে আসতে পারেন ৬ পাহাড়ে। ভারতে এমন কিছু পাহাড়ি শহর আছে, যেখানে গিয়ে প্রচণ্ড গরমেও শীতল আবহাওয়া, মনোরম প্রাকৃতিক দৃশ্য ও নির্মল পরিবেশ উপভোগ করতে পারবেন।
দার্জিলিং, পশ্চিমবঙ্গ
দার্জিলিং ‘পাহাড়ের রানি’ হিসেবে পরিচিত। সেখানে গেলে আপনি দেখতে পাবেন হিমালয়ের মনোরম দৃশ্য, বিস্তৃত চা বাগানসহ প্রকৃতির অপার সৌন্দর্য। বিশেষ করে জুলাই মাসে সেখানকার আবহাওয়া বেশ ভালো থাকে। মৃদু তাপমাত্রা ও বৃষ্টি উপভোগ করতে চাইলে এ সময় দার্জিলিং ভ্রমণে যেতে পারেন।
সেখানে সূর্যোদয়ের দৃশ্য দেখতে চাইলে যেতে পারেন টাইগার হিল ভিউপয়েন্টে। এছাড়া ঘুরে দেখতে পারেন হিমালয়ান মাউন্টেনিয়ারিং ইনস্টিটিউট ও পদ্মজা নাইডু হিমালয়ান জুওলজিক্যাল পার্কে। ভাগ্য ভালো থাকলে হিমালয়ের বিরল বন্যপ্রাণী, তুষার চিতাবাঘওও দেখতে পাবেন।
লেহ-লাদাখ, জম্মু ও কাশ্মীর
জম্মু ও কাশ্মীরের ট্রান্স-হিমালয়ান অঞ্চলে অবস্থিত লেহ-লাদাখ। সেখানকার বৌদ্ধ মঠ, পরিষ্কার নীল আকাশ ও নির্মল হ্রদের সৌন্দর্য বিশ্বজুড়ে জনপ্রিয়। এ কারণে প্রতিবছর বিশ্বের লাখ লাখ মানুষ ভিড় করেন লেহ-লাদাখে।
বিশেষ করে জুলাই মাস হলো লেহ-লাদাখের পর্যটন মৌসুম। এ সময় সেখানকার আবহাওয়াও বেশ ভালো থাকে। দর্শনার্থীরা থিকসি ও হেমিসের মতো প্রাচীন মঠগুলো সহজেই ঘুরে দেখতে পারেন।
এমনকি খারদুং লা’র মতো মনোরম পাহাড়ি পথ দিয়ে গাড়ি চালাতেও পারেন। সবচেয়ে মনোমুগ্ধকর হলো সেখানকার নীল রঙের প্যাংগং লেক।
আরও পড়ুন
গ্যাংটক, সিকিম
পূর্ব হিমালয় রেঞ্জে অবস্থিত গ্যাংটক হলো সিকিমের রাজধানী। সেখানকার সংস্কৃতি ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্য সবাইকে মুগ্ধ করে। এ কারণেই পর্যটকরা সেখানে ছুটে যান। বিশেষ করে জুলাইয়ের মনোরম আবহাওয়া সিকিমের সৌন্দর্য আরও বাড়িয়ে তোলে।
সেখানে আপনি রুমটেক ও এনচির মতো মঠগুলো ঘুরতে পারবেন। একই সঙ্গে স্থানীয় বাজারে কেনাকাটা ও সেখানকারী খাবারের অভিজ্ঞতার জন্য এমজি মার্গে যেতে পারে। তাশি ভিউপয়েন্ট ও গণেশ টোকের মতো স্পট থেকে কাঞ্চনজঙ্ঘা রেঞ্জের মনোরম দৃশ্য উপভোগ করার সময় হলো জুলাই মাস।
মুন্নার, কেরালা
বিস্তৃত চা বাগান, কুয়াশাচ্ছন্ন পাহাড় ও প্রচুর উদ্ভিদ-প্রাণীর জন্য বিখ্যাত হলো মুন্নার। জুলাই মাসে মুন্নার যেন এক সবুজ স্বর্গে রূপান্তরিত হয়। বৃষ্টি হওয়ায় চা বাগানগুলো ঝলমল করে।
একই সঙ্গে আট্টুকাল ও লাক্কামের মতো জলপ্রপাতগুলো পূর্ণযৌবনা হয়ে ওঠে। এ সময় মুন্নার ভ্রমণে আরও দেখতে পারেন নীলগিরি তাহর, ইরাভিকুলাম ন্যাশনাল পার্ক ইত্যাদি।
কুর্গ, কর্ণাটক
‘ভারতের স্কটল্যান্ড’ নামে পরিচিত, কুর্গ কুয়াশাচ্ছন্ন পশ্চিমঘাটের মধ্যে অবস্থিত একটি মনোরম পাহাড়ি স্টেশন। জুলাই মাসে সেখানকার সৌন্দর্য দ্বিগুণ বেড়ে যায় বৃষ্টিপাতের কারণে। এছাড়া সেখানকার শীতল তাপমাত্রা, কফির বাগান, মসলা বাগান সবই পর্যটকদেরকে মুগ্ধ করে।
এছাড়া অ্যাবে ফলস ও ইরুপু জলপ্রপাতের সৌন্দর্যও আপনাকে বিমোহিত করবে। চাইলে আপনি তাদিয়ানদামলের মতো চূড়ায় ট্র্যাকিং অভিযানে যেতে পারেন, বাইলাকুপে তিব্বতীয় বৌদ্ধ স্বর্ণ মন্দিরেও ঢুঁ মারতে পারেন।
আলমোড়া, উত্তরাখণ্ড
আলমোড়া উত্তরাখণ্ডের কুমায়ুন অঞ্চলে অবস্থিত। সেখানকার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও হিমালয় দৃশ্যের টানেই পর্যটকরা ছুটে যান। বিশেষ করে জুলাই মাসে সেখানকার তাপমাত্রা বেশ শীতল থাকে।
আলমোড়া ভ্রমণে দর্শনার্থীরা জাগেশ্বর ও কাসার দেবীর মতো প্রাচীন মন্দিরগুলো ঘুরে দেখতে পারেন। এছাড়া ব্রাইট এন্ড কর্নার ও জিরো পয়েন্টের মতো কাছাকাছি ভিউপয়েন্টগুলোতে ভ্রমণ করতে পারেন।
সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া
জেএমএস/জিকেএস