আগরতলা টু রাজস্থান : কিছু অভিজ্ঞতা-কৃতজ্ঞতা


প্রকাশিত: ১১:১০ এএম, ০৯ এপ্রিল ২০১৬

দীর্ঘদিন ধরেই ভাবছিলাম ভারতের রাজস্থান রাজ্যের পূণ্যস্থান আজমীর শরীফে ‘জগৎবিখ্যাত ওলি’ খাজা গরীবে নেওয়াজ মাঈনুদ্দিন চিশতীর মাজারে যাবো। কিন্তু সময়-সুযোগ না হয়ে ওঠায় যেতে কিছুটা বিলম্ব হয়েছে। অবশেষে আজমীর শরীফ যাওয়ার জন্য মনস্থির করলাম, না এবার যাবোই আজমীর। যাওয়া-আসার টিকিট ও থাকার ব্যবস্থা করে দেয়ার জন্য ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের রাজধানী আগরতলায় থাকা আমার খুব ঘনিষ্ঠ ও পরম শ্রদ্ধেয় মনোজ চৌধুরী দা’র স্মরণাপন্ন হলাম।

মনোজ দা ভারতের রাষ্ট্রীয় ‘ইউকো ব্যাকের’ আগরতলা জেলা আদালত শাখার বিশের সহকারী পদে কর্মরত রয়েছেন। মনোজ দা আমাকে আজমীর যাওয়ার জন্য অনলাইনেই প্লেন ও ট্রেনের টিকিট কেটে দিলেন।

Photo

৩০ মার্চ দুপুর ১২.৩৫ মিনিটে ইন্ডিগো এয়ারের একটি বিমানে কলকাতা যাওয়ার টিকিট কাটলাম। যেহেতু ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহর থেকে স্থলপথেই প্রথমে আমাকে আগরতলা যেতে হবে তাই ২৯ তারিখ বিকেলেই চলে গেলাম আগরতলা। সেদিন রাত্রীযাপনের জন্য মনোজ দা আগে থেকেই আগরতলা বিমানবন্দরের অদূরে আমার জন্য ‘রয়েল গেস্ট হাউজ’- এ একটি রুমে বুকিং দিয়ে রেখেছিলেন। বিকেলে মনোজ দার সঙ্গে দেখা করে চলে গেলাম হোটেলে। কাপড়ের ব্যাগটা রেখে সন্ধ্যায় একটু আগরতলা শহরে ঘুরে রাতে আবারও হোটেলে ফিরে গেলাম। ব্যাংকের কাজ শেষে রাত ৯টার দিকে মনোজ দা আসলেন হোটেলে। যেহেতু প্রথমবারের মতো বিমান জার্নি করছি তাই আমাকে একটু ‘ব্রিফ’ করলেন মনোজ দা।

পরদিন ৩০ মার্চ সকাল ৮টার দিকে ঘুম থেকে ওঠে বিমানবন্দর যাওয়ার জন্য রেডি হচ্ছিলাম। সকাল ৯টার দিকে মনোজ দা ফোন দিয়ে বিমানবন্দরে যাওয়ার জন্য হোটেল ছেড়ে দিতে বলেন। সাড়ে ৯টার দিকে হোটেলের সামনে থেকে অটোরিকশাযোগে বিমানবন্দরের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করলাম। আধা ঘণ্টার মধ্যে বিমানবন্দর পৌঁছে গেলাম। মনোজ দা আগেই বলে দিয়েছিলেন বিমান্দরে ঢুকেই প্রথমে ইন্ডিগো এয়ারের কাউন্টারে গিয়ে বোর্ডিং পাসটা নিয়ে নিতে। তাই প্রথমে গিয়েই ইন্ডিগোর কাউন্টারে গেলাম। কিন্তু কাউন্টার থেকে বলা হলো সাড়ে ১০টার পর কাউন্টার খোলা হবে। তাই আধা ঘণ্টা অপেক্ষার পর আবারও কাউন্টারে গিয়ে বোর্ডিং পাসটা নিয়ে নিলাম। এরপর সিকিউরিটি চেকিং এর পালা। সিকিউরিটি চেকিং শেষে আবারও বিমানের জন্য অপেক্ষা। কলকাতার নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসু বিমানবন্দর থেকে সোয়া ১২টার দিকে আগরতলা বিমানবন্দরে এসে পৌঁছালো ইন্ডিগোর সেই বিমান। অবশেষে সাড়ে ১২টার দিকে বিমানে ওঠে বসলাম। মিনিট পাঁচেকের মধ্যেই কলকাতার উদ্দেশ্যে বিমান ছেড়ে গেল আগরতলা বিমানবন্দর।

Pic

দুপুর ১.১০ মিনিটের দিকে আমাদের বিমান পৌঁছালো কলকাতার নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসু বিমানবন্দরে। সেখান থেকে সোজা চলে গেলাম আমার বন্ধু মৃনময় গোল্দারের নিউ ব্যারাকপুরের বাসায়। যেহেতু প্রথমবারের মতো আজমীর শরীফ যাচ্ছি তাই মনে কিছুটা ভয় হচ্ছিল। আমার ভয় কাটাতে বন্ধু মৃনময় তার এক কাকার মাধ্যমে আমাকে আজমীর শরীফের এক খাদেমের সঙ্গে ফোনে আলাপ করিয়ে দিলেন। মৃনময়ের বাসায় রাত্রীযাপন করে পরদিন ৩১ মার্চ দুপুর ১.১০ মিনিটে কলকাতার শিয়ালদহ রেলওয়ে স্টেশন থেকে ‘অনন্যা এক্সপ্রেস’ ট্রেনে চড়ে আজমীর জংশনের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করলাম।

ট্রেনে আমার সফরসঙ্গী কেউ বাঙালি না হওয়ায় তাদের সঙ্গে খোশ-গপ্পটা খুব একটা জমে ওঠেনি। একা-একা জার্নি তার উপর কিছুক্ষণ পর পর সিগন্যালের কারণে গন্তব্যহীন স্টেশনের আশ-পাশে ট্রেনের দাঁড়িয়ে পড়ায় বিরক্তবোধ করছিলাম। বিলম্বের কারণে টানা ৩১ ঘণ্টার ট্রেন জার্নি ৩৯ ঘণ্টায় পরিণত হয়। ট্রেনে শুয়ে-বসে মনে মনে ভাবছিলাম কখন আজমীর পৌঁছাবো। অবশেষে নির্ধারিত সময়ের সাড়ে ছয় ঘণ্টা পর ১ এপ্রিল দিবাগত রাত তিনটার দিকে আজমীর জংশনে পৌঁছালো আমাদের ট্রেন। যেহেতু স্টেশনের রিটায়ারিং রুমে আমার থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছিল তাই খুব একটা চিন্তা হচ্ছিল না। ট্রেন থেকে নেমে সোজা স্টেশনের অনুসন্ধান রুমে গিয়ে দায়িত্বরত কর্মকর্তাকে রিটায়ারিং রুমের বুকিং স্লিপটা দেখিয়ে চাবিটা নিয়ে রুমে ঢুকে পড়লাম।

Pic

পরদিন ২ এপ্রিল সকাল ৮টার দিকে ঘুম থেকে ওঠে গোসল সেরে মাজারের খাদেম জাহিদ হাশমী ভাইকে ফোন করে চলে গেলাম মাজারের উদ্দেশ্যে। আজমীর রেলওয়ে জংশন থেকে মাজারের দূরত্ব অটোরিকশাযোগে ৫/৭ মিনিটের। তাই অটোরিকশা করেই চলে গেলাম মাজারে। মাজারে ঢুকার পর মনের ভয়টা এক নিমিশেই কেটে গেল। এরপর মাজারের একটি দোকান থেকে কিছু ফুল ও চাদর কিনে জাহিদ ভাইয়ের সহযোগিতায় চলে গেলাম ‘খাজা বাবার’ মাজারের ভেতরে। মাজার জিয়ারত শেষে জাহিদ ভাইয়ের সঙ্গে আধাঘণ্টা বসে মাজার সংক্রান্ত নানা বিষয়ে কথা বললাম। পরে জাহিদ ভাইয়ের কাছ থেকে বিদায় নিয়ে চলে এলাম স্টেশনের রিটায়ারিং রুমে। এরপর যোহরের নামাজ পড়ার উদ্দেশ্যে রুম থেকে বেরিয়ে পড়লাম। যেহেতু সেখানে নামাজ শুরু হয় বাংলাদেশ সময় আড়াইটার দিকে তাই আবারো খাজা বাবার মাজারের ভেতরে কিছুটা সময় কাটালাম। এরপর যোহরের নামাজ পড়ে আবার রুমে চলে আসলাম। বিকেলে ঘুরতে বেরিয়েছিলাম রাজস্থান শহরে। তবে গরমের তীব্রতা এতটাই বেশি ছিল যার ফলে আধাঘণ্টার মধ্যেই আমাকে ফের রুমে চলে আসতে হয়েছে। যাই হোক, পরদিন ৩ এপ্রিল সকাল ৮টার মধ্যে রুম ছাড়তে হলো আমাকে। কারণ সকাল ৮টা অবধি রুম বুকিং ছিল। তাই বাধ্য হয়েই ট্রেন ছাড়ার আগ পর্যন্ত প্রথম শ্রেণির বিশ্রামাগারে অপেক্ষা করতে হয়েছে আমাকে। অবশেষে দুপুর ১২.৫০ মিনিটে কলকাতার শিয়ালদহ রেলওয়েস্টেশনের উদ্দেশ্যে আজমীর জংশন ছাড়লো ‘আজমারী-শিয়ালদহ এক্সপ্রেস’ ট্রেন। এই ট্রেনে বেশ কয়েকজন বাঙালি ছিল, তাদের সঙ্গে বাংলা ভাষায় খোশ-গপ্প করতে করতেই শিয়ালদহ এসেছি। তবে এই ট্রেন জার্নিতে আমাকে বেশি আনন্দ দিয়েছে দিল্লি রাজ্যের আগ্রার বাসিন্দা ‘হ্যানা’ নামের ছোট্ট একটি মেয়ে।

হ্যানার সেই মায়াবী মুখটা এখনো আমার চোখে ভাসছে। তার দুই চোখ ছিল মায়ায় ভরা। শুধু আমাকেই নয় দুই মিনিট পর পর মায়ের কাছে জানতে চাওয়া হ্যানার ‘মাম্মা হাম কালকাত্তা কাব পহচেঙ্গে..?’ প্রশ্নটি ট্রেনের পুরো কামরার যাত্রীদেরকেই আনন্দ দিয়েছিল। এই ট্রেনটি অবশ্য আগের ‘অন্যন্যা এক্সপ্রেস’ ট্রেনের মতো সাড়ে ছয় ঘণ্টা বিলম্ব করেনি, কিন্তু নির্ধারিত সময়ের চেয়ে পৌনে দুই ঘণ্টা বিলম্বে ৪ এপ্রিল সন্ধ্যা পৌনে ছয়টায় শিয়ালদহ স্টেশনে পৌঁছায়। তবে আগের জার্নিটার মতো এই জার্নিতে বিরক্ত বোধ করিনি, এর কারণ হয়তো হ্যানা নামের ছোট্ট সেই মেয়েটি..!

Pic

সন্ধ্যায় শিয়ালদহ স্টেশনে নেমে আবারও অনুসন্ধান রুমে গিয়ে রিটায়ারিং রুমের বুকিং স্লিপটা দেখিয়ে চাবি নিয়ে রুমে ঢুকে পড়লাম। তবে শিয়ালদহ স্টেশনের রুমটা আজমীর জংশনের রুম থেকে একটু স্যাঁত-স্যাঁতে হওয়ায় কোনোরকমে রাতটা কাটিয়ে ৫ এপ্রিল সকালেই স্টেশন থেকে লোকাল ট্রেনে চড়ে আমার বন্ধু মৃনময়ের নিউ ব্যারাকপুরের বাসায় চলে গেলাম। কলকাতায়ও ভীষণ গরম পড়েছে। তবে গরমের মধ্যেই দুপুর হওয়ার কিছুটা সময় আগে জাগো নিউজের সহকারী বার্তা সম্পাদক সোহাগ ভাইয়ের দেয়া একটি অ্যাসাইনমেন্টে বাসা থেকে বন্ধু মৃনময় আর তার ভাগ্নি গুনগুনকে নিয়ে বের হতে হয়। ঘণ্টা খানেক পর নিউজের ছবি ও তথ্য সংগ্রহ শেষে আবার বাসায় এসে নিউজ তৈরি করতে বসে পড়লাম। নিউজ তৈরি শেষে বন্ধু মৃনময় বলল কালতো (৬ এপ্রিল) তুমি চলে যাবে তাই কলকাতা শহরটা একটু ঘুরে আসি চলো। আমিও বললাম ঠিক আছে, চলো তাহলে। তবে ব্যস্ত কলকাতা শহরের ‘ট্রাফিক জ্যাম’ আর প্রচণ্ড গরমের কারণে শুধুমাত্র হাওড়া ব্রিজ দেখেই বাসায় ফিরে এলাম। বাসায় এসে অ্যাসাইমেন্টের নিউজটা ঢাকা অফিসে পাঠিয়েই অফিসকে জানিয়ে দিলাম। এরপর ফেসবুকে সহকর্মী ও কলকাতার খ্যাতিমান সাংবাদিক সুব্রত আচার্য দা কলকাতা থেকে করা আমার একটি প্রতিবেদন দেখে ফোন করে সাধুবাদ জানিয়ে চায়ের নিমন্ত্রণ দিলেন তার বাসায়। সন্ধ্যার পর মৃনময়কে নিয়ে বাসা থেকে বের হলাম কিছু কেনাকাটার উদ্দেশ্যে।

Pic

কেটাকাটা শেষে চায়ের নিমন্ত্রণ রক্ষার্থে গেলাম সুব্রত দার সোধপুরের বাসায়। কিছুক্ষণ কথা হলো ব্যক্তিগত বিষয়ে এরপর পেশাগত নানান বিষয়ে সুব্রত দার জিজ্ঞাসা- জানতে চাওয়া। জানতে চাইলেন বাংলাদেশি মিডিয়ার নানান খবরা-খবর। সুব্রত দা বাংলাদেশি মিডিয়া সময় টেলিভিশন, কালের কণ্ঠ ও রেডিও টুডেতে কাজ করেন কলকাতা থেকে। চা-নাস্তা খাওয়ার ফাঁকেই চলে আমাদের আড্ডা। ঘণ্টা খানেক আড্ডা দিয়ে রাত সাড়ে ১০টার দিকে বের হলাম সুব্রত দার বাসা থেকে।

Pic

এরপর স্থানীয় মধ্যমগ্রাম চৌরাস্তা থেকে কলকাতার ঐতিহ্যবাসী রসগোল্লা কিনে বাসায় ফিরলাম। বন্ধু মৃনময়ের বাসায় কাটানো দুইটা দিন ছিল আমার জন্য অনেক স্মৃতিময়। মৃনময়ের ছোট্ট ভাগ্নি গুনগুন আমাকে তার আপন মামার মতোই মনে করেছিল। শুধু মৃনময় কিংবা গুনগুন নয় বাসার সবাই আমার এমন যত্ন নিলেন যাতে করে মনে হয়েছে আমি যেন তাদের পরম আত্মীয়.! আমারও তাদেরকে খুব আপনই মনে হয়েছিল, তাইতো বন্ধৃ মৃনময়-গুনগুন আর বাড়ির সব লোকদের ছেড়ে চলে আসতে কিছুটা কষ্টই হয়েছে আমার।

৬ এপ্রিল সকাল ১০টায় এয়ার ইন্ডিয়ার ফ্লাইট ছিলো আমার। তাই সকাল সাড়ে ৮টার মধ্যেই বন্ধু মৃনময়কে নিয়ে চলে আসলাম নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসু বিমানবন্দরে। ভেতরে ঢুকার পরও মৃনময় বাইরে থেকে আমাকে হাত নেড়ে বিদায় জানাচ্ছিল, আমিও কাঁচের ভেতর থেকে হাত নেড়ে বন্ধুকে বিদায় জানাচ্ছিলাম। সেই সময়টা খুব খারাপ লেগেছিল আমার। বন্ধুকে ছেড়ে আসতে কিছুতেই মন চাইছিলো না। বন্ধুর বাড়িতে একটা দিন আরও বেশি থাকার ইচ্ছা ছিল তবে বিমানের টিকিট কনফার্ম করে রাখায় থাকা সম্ভব হয়নি। তাছাড়া অফিস থেকে নেয়া আমার আটদিনের ছুটিও শেষ হয়ে গিয়েছিল। তাই আমাকে দেশে ফিরতেই হবে।

Pic

বিমানবন্দরের আনুষাঙ্গিক কাজ শেষে বিমানে ওঠে বসলাম। বিমান নির্ধারিত সময়ের পাঁচ মিনিট আগেই এসে পৌঁছালো আগরতলায়। বিমানবন্দর থেকে অটোরিকশা নিয়ে সোজা চলে গেলাম মনোজ দার ব্যাংকে। এরপর আগরতলা শহরে ঘণ্টা খানেক ঘুরাফেরার পর মনোজ দা আমাকে মালপত্রসহ আগরতলা চেকপোস্ট পর্যন্ত আসার জন্য একটা রিকশায় ওঠিয়ে দিলেন। অবশেষে মধুর কিছু স্মৃতি নিয়ে বিকেল ৪টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাসায় এসে পৌঁছাই। আমার এই জার্নিটাকে নিরাপদ ও নির্বিঘ্ন করতে মনোজ দা ও বন্ধু মৃনময় সর্বাত্মক সহযোগিতা করেছেন।

৩০ মার্চ ট্রেনে ওঠার পর থেকে ৬ এপ্রিল আগরতলা আসার আগ পর্যন্ত ঘণ্টা দুয়েক পরপর মনোজ দা আর বন্ধু মৃনময় আমাকে ফোন করে কোনো সমস্যা হচ্ছে কি না, খাওয়া-দাওয়া করেছি কিনা জানতে চেয়েছেন। মনোজ দা ও বন্ধু মৃনময়ের প্রতি চির কৃতজ্ঞ আমি।

এমএএস/এবিএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।