পাকিস্তানে স্কুলে তালেবান হামলায় নিহত ১৩০
পাকিস্তানের পেশোয়ারে একটি স্কুলে জিহাদী সংগঠন তালেবানের হামলায় অন্তত ১৩০ জন নিহত হয়েছে। সেনাবাহিনী নিয়ন্ত্রিত ওই স্কুলে তালেবানের গুলিতে নিহতদের মধ্যে অন্তত ১০০ শিক্ষার্থী রয়েছে। আহত হয়েছে আরও অনেকে। শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ ৫০০ জনকে জিম্মি করে রেখেছেন তালেবান যোদ্ধারা। স্কুলে তালেবান হামলাকে বর্বর হত্যাকাণ্ড বলে অভিহিত করে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী তিন দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করেছেন।
বিভিন্ন বার্তা সংস্থার সূত্রের বরাত দিয়ে এ খবর দিয়েছে ডন ডটকম। এতে বলা হয়, মঙ্গলবার দুপুরে পেশোয়ারের আর্মি পাবলিক স্কুলে হামলা করেন তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তানের (টিটিপি) যোদ্ধারা। টিটিপি এরই মধ্যে হামলার দায় স্বীকার করেছে।
টিটিপির মুখপাত্র মুহাম্মদ খোরাসানি বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেছেন, উত্তর ওয়াজিরিস্তানে সেনা অভিযানের প্রতিশোধ নিতেই আর্মি স্কুলে এই হামলা চালানো হয়েছে। তিনি বলেন, ‘স্কুলের ভেতর ছয় তালেবান যোদ্ধা প্রবেশ করেছে।’
ওই ছয় জিহাদীর মধ্যে আত্মঘাতী হামলায় প্রস্তুত তালেবান সদস্যও আছে উল্লেখ করে খোলাসানি বলেন, ‘স্কুলের শিক্ষার্থীদের নয়, সেনাসদস্যদের গুলি করার হুকুম দেওয়া হয়েছে।’
পরীক্ষা চলাকালে নিষ্পাপ শিশুদের ওপর অতর্কিতে গুলিবর্ষণ করে তালেবান যোদ্ধারা। স্থানীয় লেডি রিডিং হাসপাতাল সূত্র জানিয়েছে, এরই মধ্যে অন্তত ১৭ শিক্ষার্থী নিহত হয়েছে। নিহতদের মধ্যে একজন সেনাসদস্যও রয়েছেন।
হামলায় আহত হয়েছেন আরও ৪০ জন। এদের মধ্যে ৯ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। ধারণা করা হচ্ছে, স্কুলের ভেতর শিক্ষক-শিক্ষকসহ প্রায় ৫০০ জন জিম্মি ছিলেন। হামলার কিছুক্ষণের মধ্যেই পুলিশ ও নিরাপত্তাবাহিনীর সদস্যরা স্কুলটির চারপাশে অবস্থান নিয়েছেন। পরিস্থিতি সামাল দিতে বিশেষ অভিযান চালানো হচ্ছে বলে জানায় ডন।
সর্বশেষ পাওয়া খবরে বলা হয়েছে, আটকা পড়া শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে অনেককে এরই মধ্যে বের করে আনা হয়েছে। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফ, পাকিস্তান তেহরিক-ই ইনসাফের (পিটিআই) চেয়ারম্যান ইমরান খান হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন।