যেতে পারেন মেঘনা ভিলেজে
ঘুরে বেড়ানোর শখ সকলেরই। সময়-সুযোগ পেলে কার না ঘুরতে মন চায়। জীবনের নানা ব্যস্ততার কারণে দীর্ঘ ভ্রমণ সম্ভব না হলেও ২-১ দিনের জন্য ঘুরে আসা যায় অনায়াসেই। যদি ঘুরতে ইচ্ছে হয় তো যেতে পারেন মেঘনা ভিলেজ রিসোর্টে।
অবস্থান
মুন্সিগঞ্জ জেলার গজারিয়া উপজেলার মেঘনা ব্রিজ থেকে এক কিলোমিটার দূরে অবস্থিত মেঘনা ভিলেজ রিসোর্ট।
বৈশিষ্ট্য
মেঘনা ভিলেজ রিসোর্টটি গ্রামের মতোই সবুজ শ্যামল। এখানে থাকা-খাওয়া এবং বিনোদনের সব ব্যবস্থাসহ রয়েছে এসি-ননএসি উভয় প্রকার কটেজ। আর এখানকার প্রতিটি ঘর একটু ভিন্নভাবে তৈরি করা হয়েছে, যা দেখতে অনেকটাই নেপালি কটেজের মতো। এখানে রয়েছে একটি বড় সবুজ মাঠ। যেখানে ইচ্ছে করলেই খেলাধুলায় মেতে ওঠা যায়। রয়েছে ফুটবল, ক্রিকেট, ব্যাডমিন্টনসহ প্রচলিত বিভিন্ন খেলার সামগ্রী। রাতে আরাম কেদারায় বসে চাঁদ দেখতে চাইলে সেই ব্যবস্থাও রয়েছে।
রিসোর্ট ভাড়া ও অন্যান্য
কর্পোরেট হাউজ রিজার্ভ পিকনিক (২টি ননএসি কটেজ ও পিকনিক জোনসহ) ৪৫,০০০ টাকা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের রিজার্ভ পিকনিক (২টি ননএসি কটেজ ও পিকনিক জোনসহ) ৩৫,০০০ টাকা, বার-বি-কিউ (৪০ জন পর্যন্ত) ৬০,০০০ টাকা, পুকুরে মাছ শিকার ১ কেজি রুই ৩০০ টাকা, তেলাপিয়া ৫০ টাকা প্রতিটি, পুকুরপাড়ে মাছের বার-বি-কিউ ২৫ টাকা, নন-হলিডে ডিসকাউন্ট ২৫%।
যাতায়াত ভাড়া
ঢাকা থেকে কুমিল্লা অথবা দাউদকান্দিগামী বাসের ভাড়া ৫০-৭০ টাকা। যাত্রাবাড়ী থেকে ট্যাক্সি ক্যাব করে ১,০০০ টাকা। অটোরিকশায় ভাড়া ৩০০ টাকা। এছাড়া রিসোর্টের নিজস্ব পরিবহনে আসা-যাওয়ায় সর্বসাকুল্যে ভাড়া ১,৫০০ টাকা।
যেতে হবে যেভাবে
ঢাকার যাত্রাবাড়ী থেকে যেতে হবে কাঁচপুর ব্রিজ। সেখান থেকে সোজা সোনারগাঁ হয়ে মেঘনা ব্রিজ। মেঘনা বিজ্র পার হয়ে বালুকান্দি বাসস্ট্যান্ড থেকে এক কিলোমিটার বামে গেলেই মেঘনা রিসোর্ট ভিলেজ।
এসইউ/আরআইপি