অবসরে বোয়াইল্যা ঝরনায়


প্রকাশিত: ০৭:১৮ এএম, ২২ নভেম্বর ২০১৫

মিরসরাইয়ের বোয়াইল্যা ঝরনা পর্যটকদের মনকে আকৃষ্ট করছে প্রতিদিন। ঝরনাটি দেখে সব মানুষের মনই ভালো হয়ে যায়। অবসরে বিনোদনের জন্য সবাই মিলে ঘুরে আসতে পারেন।  

বৈশিষ্ট্য ও উপকরণ
পাহাড়ের শরীর বেয়ে অর্ধগোলাকৃতিভাবে ঝরে পড়ছে দুধসাদা ঝরনার পানিরাশি। বর্ষার সময় ঝরনার পানি বেশি থাকে। এসময় এর সৌন্দর্য থাকে দ্বিগুন। দূর থেকে শুধু এর একাংশই দেখা যায়। ঝরনার আগে লম্বা একটা সুরঙ্গপথ আছে। প্রায় বুক সমান পানি আর পাথুরে পথ।

মিরসরাই থেকে বোয়াইল্যা যেতে ঝিরিপথ আর ঝিরিপথের ক্যাসকেডগুলো সত্যিই উপভোগ্য। মূল ট্রেইলটা দুই ভাগে ভাগ হয়ে গেছে। ডানদিকের ট্রেইলে বোয়াইল্যা এবং বাম দিকের ট্রেইল ধরে হাটলে উঠান ঝরনা এবং বাউস্যা ঝরনা।

Jorna

শুধু বোয়াইল্যা দেখে ফিরে না এসে উঠান এবং বাউস্যা দেখে আসাটাই বুদ্ধিমানের কাজ। কারণ এমন সুযোগ প্রতিদিনই আসবে না।

কীভাবে যাবেন
মিরসরাই থেকে অটোরিকশা নিয়ে রেলক্রসিং পার হয়ে সামান্য একটু এগুলেই যান্ত্রিক যাত্রা শেষ। এরপর কেবলই হাঁটা। গ্রামীণ পরিবেশ পার হয়েই ঝিরিপথ। পুরো ট্রাকিংয়ের ৯০ শতাংশ সময়ই ঝিরিপথ ধরে পা ভিজিয়েই হাঁটতে হবে। সুতরাং ট্রাকিংয়ের সময় গ্রিপওয়ালা স্যান্ডেল পরাই ভালো। ঘণ্টা দুই হাঁটলেই বোয়াইল্যা।

থাকার ব্যবস্থা
মিরসরাইতে থাকার কোনো হোটেল নেই। সীতাকুণ্ডে ২টা বোডিং আছে, যার মান খুব একটা ভালো নয়। আর আছে ফায়ার সাভির্সের একটি ডাকবাংলো। ডাকবাংলোতে থাকতে পারলে ভালো হয়। তবে সীতাকুণ্ড থেকে মিরসরাই প্রায় ১৪ কিলোমিটার। সুতরাং সবচেয়ে ভালো হয় গাইডের সাথে কথা বলে স্থানীয় কোনো বাড়িতে আশ্রয় নেওয়া। টাকার বিনিময়ে এখানে থাকা যায়।

এসইউ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।