‘ভয়ঙ্কর সুন্দর’ এসব স্থানে আছে মৃত্যুফাঁদ!
ভ্রমণপিপাসুরা সব সময় বিশ্বের বিভিন্ন ট্যুরিস্ট স্পটগুলোর সন্ধানে থাকেন। অনেকেই গা ছমছমে স্থানগুলোয় যেতে পছন্দ করেন। যদিও জীবনের ঝুঁকি রয়েছে এমন স্থানে। তবুও অ্যাডভেঞ্চার যারা পছন্দ করেন; তারাই এর প্রকৃত মজা বোঝেন।
বিশ্বের ভয়ঙ্কর কিছু ট্যুরিস্ট স্পটে আছে মৃত্যুফাঁদ। যদি আপনি আগে থেকে সেসব স্থান সম্পর্কে না জেনে ঘুরতে যান; তাহলে মৃত্যুঝুঁকি থেকেই যাবে! এজন্য ঘুরতে যাওয়ার আগে পছন্দের স্থানগুলো সম্পর্কে জেনে যাবেন।
তেমনই কয়েকটি ‘ভয়ঙ্কর সুন্দর’ স্থান সম্পর্কে জেনে নিন-
দ্য দানাকালি ডেজার্ট: ইথিওপিয়ার ইরট্রিয়া সীমান্ত লাগোয়া স্থানটি হলো দ্য দানাকালি ডেজার্ট। এর তাপমাত্রা প্রায় ৫০ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড। সেখানকার বাতাস বিষাক্ত। কারণ অনবরত লাভা নির্গত হচ্ছে। এমন ঝুঁকিপূর্ণ স্থানেও পর্যটকদের ভিড়। তবে সেখানে কেউই একা যেতে পারবেন না। সঙ্গে গাইড নিতে হবে।
ইয়োসেমাইট ন্যাশনাল পার্কস হাফ ডোম: ক্যালিফোর্নিয়ার স্থানটিতে উঠতেই না-কি সময় লাগে টানা একদিন। পাথর বেয়ে অনেক উপরে উঠতে হয়। অনেকেই পা পিছলে পড়ে মৃত্যুবরণ করেছেন। এ পাথরের পাহাড়ের শেষ ৪০০ ফুট পার হওয়া খুবই বিপজ্জনক। কারণ সেখানকার পাথর থাকে পিচ্ছিল। এখন পর্যন্ত ৬০ জন প্রাণ হারিয়েছেন স্থানটিতে।
এলিফ্যান্ট কিংডম: থাইল্যান্ডের এ স্থানটিতে সবাই যায় কুমিরকে মাংস খাওয়াতে। বুঝতেই পারছেন, কতটা বিপজ্জনক স্থানটি। সেখানে লঞ্চ বা নৌকায় চড়ে অনেকেই দূর থেকে ছুঁড়ে কুমিরকে মাংস দেন। অনেকবার এমন হয়েছে, কুমির লাফিয়ে পড়েছে নৌকা বা লঞ্চের উপর।
মাদিদি ন্যাশনাল পার্ক: বলিভিয়ার মাদিদি ন্যাশনাল পার্কে আছে বিষাক্ত সব গাছ। এসব গাছের সংস্পর্শে এলে যে কেউ মুহূর্তের মধ্যেই অসুস্থ হয়ে পড়তে পারেন। এমনকি মৃত্যুও ঘটতে পারে। ওইসব বিষাক্ত গাছের কাঁটা শরীরে লাগলেই শুরু হবে পচন। নানা রকম রোগ ও সংক্রমণ দেখা দিতে পারে।
স্কেলিগ মাইকেল: আয়ারল্যান্ডের এ স্থানটি একেবারেই নির্জন। এ দ্বীপে নেই কোনো মানুষের কোলাহল। এ দ্বীপ দেখতে অনেক সুন্দর। সমুদ্রের ধার ঘেঁষে পাহাড় উঠে গেছে। তবে সেখানে যেতে চাইলেই সমস্যা দেখা দেয়। হাজার বছরের পুরোনো ধাপগুলো এতটাই পিচ্ছিল, একটু অসাবধান হলেই মৃত্যু নিশ্চিত!
ভ্যালি অব ডেথ: রাশিয়ার কামচাতয় আছে এ মৃত্যুনগরী। ভূ-পৃষ্ঠ ফুঁড়ে ঝরনার মতো ঊর্ধ্বমুখী পানির ধারা পড়ে স্থানটিতে। যা বেশ দৃষ্টিনন্দন। এ পানির ধারার সঙ্গে সেখানে ছড়িয়ে পড়ে বিষাক্ত গ্যাসও। আর এ বিষাক্ত বাতাস পুরো এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। যা মানুষের স্বাস্থ্যের উপর মারাত্মক প্রভাব ফেলে।
বিকিনি আটোল: মার্শাল দ্বীপপুঞ্জ প্রশান্ত মহাসাগরের একাধিক দ্বীপের সমন্বয়ে গঠিত একটি দ্বীপ রাষ্ট্র। এটি ওশেনিয়া অঞ্চলে অবস্থিত। মার্শাল দ্বীপপুঞ্জেরই একটি স্থান হলো বিকিনি আটোল। এ নাম শুনে অনেকেই মনে করতে পারেন হয়তো সেখানে নারীদের বিচরণ।
মোটেও তা নয় বরং সেখানে গেলে আপনার শরীরে বাসা বাঁধতে পারে ক্যান্সারের জীবাণু। কারণ ৪০ ও ৫০ এর দশকে সেখানে ঘটেছিল এক মারাত্মক পরমাণু বিস্ফোরণ। যা ঘটিয়েছিলেন এক মার্কিন সেনা। আজও সেখানকার তেজষ্ক্রিয় বিকিরণের মাত্রা মারাত্মক।
ব্রাইটসাইড/জেএমএস/এসইউ/এমকেএইচ