গারো পাহাড়ের পাদদেশে


প্রকাশিত: ০৯:৫০ এএম, ১০ নভেম্বর ২০১৫

অপার লীলাভূমি আর প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর নেত্রকোনায় রয়েছে গারো পাহাড়ের ক্ষুদ্র নৃ-তাত্ত্বিক জনগোষ্ঠীর বসতি। যাদের রয়েছে নিজস্ব সংস্কৃতি। জেলার দুর্গাপুর উপজেলায় এলেই আপনার মন কেড়ে নেবে এ এলাকার প্রকৃতি ও পরিবেশ।

বসবাস
ভারতের মেঘালয় রাজ্যের গারো পাহাড়ের পাদদেশ দুর্গাপুর উপজেলায় আদিবাসীরাই বেশি বসবাস করে। সুসং দুর্গাপুর ও এর আশপাশের উপজেলা কলমাকান্দা, পূর্বধলা, হালুয়াঘাট এবং ধোবাউড়ায় রয়েছে গারো, হাজং, কোচ, ডালু, বানাই জনগোষ্ঠীর প্রায় ২০ হাজার লোকের বসবাস।

কালচারাল একাডেমি
গারো পাহাড়ের এই আদিবাসীদের সংস্কৃতিকে টিকিয়ে রাখতে স্থাপিত হয়েছে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর কালচারাল একাডেমি। যেখানে তারা তাদের সংস্কৃতি চর্চা করে নিয়মিত। তাদের ঐতিহ্যকে সংরক্ষণ, উন্নয়ন এবং চর্চার জন্যই ১৯৭৭ সালে সুসং দুর্গাপুরে সরকারি উদ্যোগে গড়ে তোলা হয় ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী কালচারাল একাডেমি।

Garo-pahar

জাদুঘর
এ অঞ্চলে বসবাসকারী ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর জীবনযাত্রার নানা নিদর্শন সংরক্ষিত একটি জাদুঘর রয়েছে এখানে। এদের জীবন ধারা যেমন বৈচিত্র্যময়, তেমনি বৈচিত্র্যময় এদের সংস্কৃতিও। এখানে প্রায় সারা বছরই বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

কীভাবে আসবেন
ঢাকার মহাখালী বাস টার্মিনাল থেকে সুসং দুর্গাপুরের উদ্দেশ্যে রাতে বেশ কিছু বাস ছেড়ে আসে। ভাড়া পড়বে ৩৫০ টাকা। রাত ১২ টায় মহাখালী টার্মিনাল থেকে নৈশকোচ ছেড়ে যায় বিরিশিরির উদ্দেশ্যে। এ বাস আপনাকে ভোরে সুসং দুর্গাপুর নিয়ে পৌঁছাবে। আগে থেকে যোগাযোগ করে টিকিট বুকিং দিয়েও রাখতে পারেন। আবার ঢাকা ফেরার জন্য দুর্গাপুরের আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের সামনে থেকে রাত ১১টায় এবং সাড়ে ১১টায় দুটি নৈশকোচ ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। আপনি এখান থেকে টিকিট সংগ্রহ করে যেতে পারেন।

তবে ইচ্ছা করলে ময়মনসিংহ হয়েও আসতে পারেন। এনা পরিবহনের বাস মহাখালী থেকে ময়মনসিংহের মাসকান্দা বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত আসে। এনা’র ভাড়া ২২০ টাকা। সেখান থেকে রিক্শায় ময়মনসিংহ সেতু। এছাড়া ঢাকা থেকে শেরপুর এবং ফুলবাড়িয়ার কিছু বাসে ময়মনসিংহ সেতু পর্যন্ত আসতে পারবেন। ভাড়া ১২০-১৫০ টাকা।

Garo-pahar

থাকার স্থান
থাকার জন্য সুসং দুর্গাপুরে ভালো এবং মাঝারি মানের বেশকিছু গেস্ট হাউজ রয়েছে। সেখানে আপনি মান অনুযায়ী ২৫০-১০০০ টাকার মধ্যে নিরাপদে থাকতে পারবেন।

খাওয়া-দাওয়া
খাওয়ার জন্য এখানে রয়েছে মাঝারি মানের কিছু হোটেল। হোটেল খলিফা, হোটেল নিরালা, হোটেল চম্পা, হোটেল শান্ততে আপনি মোটামুটি সুলভ মূল্যেই খেতে পারবেন। এছাড়া আপনি যে গেস্ট হাউজে থাকবেন সেখানে বললেও তারা খাবারের বাবস্থা করবে।

এসইউ/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।