এক বিকেলে ঘুরে আসুন ঢাকার কাছের সারিঘাট
ঢাকার যাত্রাবাড়ী বা তার আশপাশে যারা আছেন; তারা ঘুরে আসতে পারেন সারিঘাট থেকে। ঢাকা শহরের যান্ত্রিকতা থেকে সরে কিছুটা প্রাকৃতিক ছোঁয়ার জন্য জায়গাটি মন্দ নয়। সবুজে ঘেরা পরিবেশ আর সাথে নৌকা ভ্রমণ। এখানকার সবুজ শান্ত নিরিবিলি পরিবেশ যে কারো ভালো লাগবে। হারিয়ে যাবেন গ্রামবাংলার চিরচেনা প্রকৃতির মাঝে। যে কেউ সময় করে আসতে পারেন, ভালো লাগবে।
ঢাকার যেকোনো জায়গা থেকে প্রথমে যাত্রাবাড়ী যাবেন। সেখান থেকে জুরাইন রেলগেট বাস বা লেগুনায়। ভাড়া ১০-১৫ টাকা। জুরাইন রেলগেট থেকে পোস্তগোলা ব্রিজের ওপারে যাবেন। ভাড়া ১০-১৫ টাকা। নামার পর পোস্তগোলা ব্রিজের ঢালেই অটোরিকশা অথবা সিএনজি পাবেন। সারিঘাট যেতে ভাড়া পড়বে জনপ্রতি ১০ টাকা।
যদি চার-পাঁচজনের টিম হয়, তাহলে সরাসরি সিএনজি ভাড়া নিতে পারেন সারিঘাট পর্যন্ত। ভাড়া পড়বে ১২০-১৮০ টাকা। যদি জুরাইন থেকে সিএনজি ভাড়া করেন, তাহলে ১০০-১২০ টাকা। অবশ্যই দামাদামি করে নেবেন। ঢাকা শহরের যেকোনো জায়গা থেকে জুরাইন রেলগেট। জুরাইন রেলগেট থেকে সরাসরি রিজার্ভ সিএনজিতে সারিঘাট গেলে ভালো হয়।
সবুজ প্রকৃতিতে কিছুটা সময় কাটালে ভালো লাগবে। কেউ চাইলে কায়াকিং এবং নৌকা ভ্রমণও করতে পারেন। চাইলে গোসলও করতে পারেন, পানি খুবই পরিষ্কার। কায়াকিং ৭৫ টাকা জনপ্রতি ৩০ মিনিটের জন্য। নৌকা ভ্রমণ ১০০-১৫০ টাকা। তবে ওঠার আগে দরদাম করে নেয়াই ভালো।
কায়াকিং হচ্ছে ভ্রমণ করার জন্য একধরনের ছোট নৌকা, যা বৈঠা বা লগি ব্যবহার করে চালানো যায়। হালকা কিন্তু ব্যাল্যান্সড নৌকায় কায়াক ক্লাবের নিজস্ব লাইফ জ্যাকেট পরে উঠলে আপনার হাতে ধরিয়ে দেওয়া হবে বৈঠা। ব্যস! এবার আপনি নিজেই মাঝি! ইচ্ছেমতো ঘুরতে পারবেন পানি দেখতে দেখতে। কায়াকিং চালাতে বেগ পেতে হয় না একেবারেই। কেবল নৌকা ডানে ও বামে নেওয়ার কৌশল রপ্ত করলেই নির্ভেজাল আনন্দে ঘুরতে পারবেন।
তবে সাঁতার না জানলে অবশ্যই লাইফ জ্যাকেট পরে নিয়েন। এর জন্য কোনো অতিরিক্ত চার্জ দিতে হবে না। তাছাড়া এখন যেহেতু করোনার সময়। তাই সবারই নিচের বিষয়গুলো খেয়াল রাখা উচিত-
* কায়াকিং শুরুর আগে এবং শেষে স্যানিটাইজার দিয়ে হাত জীবাণুমুক্ত করে নেবেন।
* বাড়তি সতর্কতা হিসেবে অতিরিক্ত লোক সমাগম এড়িয়ে চলার চেষ্টা করবেন।
* শুক্রবার বিকেল ছাড়া অন্য যেকোনো দিন আসার চেষ্টা করতে পারেন।
শুক্রবার অনেক মানুষের সমাগম হয়। শুক্রবার না যাওয়াই ভালো। মনে রাখবেন, চিপস ও বিরিয়ানির প্যাকেট বা খাবারের উচ্ছিষ্টাংশ ফেলে পরিবেশ নষ্ট করবেন না। সচেতনতা শুরু হোক নিজের থেকেই। হ্যাপি ট্রাভেলিং। সময় পেলে এখনই ঘুরে আসুন।
এসইউ/এএ/এমকেএইচ