মাধবকুণ্ডের ঝর্ণাতলে
মাধবকুণ্ড ঝর্ণাতলে দাঁড়িয়ে যেকোনো ভ্রমণপিপাসুর মন কবি হয়ে উঠবে। প্রাকৃতিকভাবে সৃষ্ট এ পাহাড়ি ঝর্ণাধারা ও তার চারপাশের অপরূপ সবুজ প্রকৃতি সব শ্রেণির পর্যটকের হৃদয় হরণ করবে।
অপরূপ মাধবকুণ্ড
গঙ্গাসাড়া নামক পাহাড়ি ছড়ার প্রায় ২০০ ফুট উপর থেকে যুগ যুগ ধরে গড়িয়ে পড়ছে অবিরাম জলরাশি। একেই বলে মাধবকুণ্ড জলপ্রপাত। এ ঝর্ণা বিভিন্ন সম্প্রদায়ের কাছে তীর্থস্থান হিসেবেও সুপরিচিত।
অবস্থান
সিলেটের মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জ উপজেলার কাঁঠালতলী থেকে ১৫ কিলোমিটার দূরে মাধবকুণ্ড। শহর থেকে যেতে হবে রিকশায় অথবা অটোরিকশায়।
যা দেখবেন
এ ঝর্ণাধারায় সৃষ্ট কুণ্ডের পাশেই স্থাপন করা হয়েছে শিবমন্দির। এ শিবমন্দিরকে কেন্দ্র করে প্রতিবছর চৈত্রের মধুকৃষ্ণ ত্রয়োদশীতে স্নানে আসেন শত শত পূণ্যার্থী। এখানে পাহাড়ের গায়ে ঘন গাছপালা, পাথরের সাজ, সুনিপুণ মাটির স্তরবিন্যাস, বৈচিত্র্যময় শিলাগঠন, পাহাড়ের উঁচু থেকে ঝিরিঝিরি ছন্দে নেমে আসে পানির রেশমি লহর। পানি পড়ার স্থানটিতে তৈরি হয়েছে একটি ছোট্ট লেক। সেখানে রয়েছে নৌকার ব্যবস্থা।
সতর্কতা
ঝর্ণার একেবারে কাছে যাওয়া মোটেই সমীচীন নয়, যেকোনো সময় ঘটে যেতে পারে দুর্ঘটনা। কেননা লেকটি গভীর।
বিশ্রাম
এখানে একটানা ৩-৪ ঘণ্টা কাটানোর পর জলপ্রপাতের অনতিদূরেই পর্যটন কর্পোরেশনের ছোট রেস্ট হাউজে বিশ্রাম নিতে পারেন। চারদিকে বাগানঘেরা রেস্টহাউসে বসে চা অথবা হালকা নাশতা করে শরীরটাকে একটু চাঙা করে নিয়ে ফেরার জন্য রওনা হতে পারেন।
যেভাবে যাবেন
ঢাকা থেকে সরাসরি মাধবকুণ্ডে যাওয়ার কোনো পরিবহন নেই। বাসে মৌলভীবাজার নেমে সেখান থেকে বড়লেখার গাড়িতে করে কাঁঠালতলী নামতে হবে। সেখান থেকে লোকজন কম হলে রিকশায় আর বেশি হলে অটোরিকশায় মাধবকুণ্ড পৌঁছতে হবে। রিকশা ভাড়া ৭০-৮০ টাকা, অটোরিকশা ভাড়া জনপ্রতি ৬০-৭০ টাকা।
এছাড়া ঢাকার কমলাপুর রেলস্টেশন থেকে সিলেটের ট্রেনে কুলাউড়া জংশনে নামতে হবে। সেখান থেকে বড়লেখাগামী বাসে চড়ে কাঁঠালতলী আসতে হবে। অথবা রেলস্টেশন থেকে সরাসরি অটোরিকশা ভাড়া করেও যেতে পারেন।
থাকা-খাওয়া
কুলাউড়া বা মৌলভীবাজারের যেকোনো হোটেলে উঠতে হবে। কারণ কাঁঠালতলীতে ভালো হোটেল নেই। বিস্কুট বা হালকা স্ন্যাক্স ও খাবার পানি সঙ্গে নিতে পারেন। মূল স্পটের কাছেই খাওয়া-দাওয়ার জন্যও কিছু হোটেল রয়েছে। দামের দিক থেকে তেমন কোনো ঝামেলা নেই।
এসইউ