১০ রুপিতেই ত্রিপুরা দর্শন!
বাংলাদেশের পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের ঐতিহ্যবাহী ও দর্শনীয় সকল স্থাপনাগুলোর হুবহু নকল করে রাজ্যের রাজধানী আগরতলার মালঞ্চনিবাস এলাকায় গড়ে তোলা হয়েছে হেরিটেজ পার্ক। আগরতলা শহর থেকে মাত্র ১৫ মিনিটের পথ পাড়ি দিলেই দর্শনার্থীরা পৌঁছে যাবেন হেরিটেজ পার্কে। মাত্র ১০ রুপি দিয়ে প্রবেশ করেই উপভোগ করতে পারবেন ছায়া-সুনিবিড় আর সবুজে ঘেরা হেরিটেজ পার্কের অপরূপ সৌন্দর্য।
পুরো পার্ক জুড়েই রয়েছে ত্রিপুরা রাজ্যের ঐতিহাসিক ও দর্শনীয় সব স্থাপনার প্রতিকৃতি। আকার-আকৃতিতে ছোট হলেও দেখতে একেবারেই আসল এই প্রতিকৃতিগুলো।
প্রতিকৃতিগুলোর মধ্যে রয়েছে, ত্রিপুরার ঐতিহ্যবাহী উজ্জ্বয়ন্ত প্যালেস (রাজবাড়ি), নীড়মহল, উনুকোটি, ত্রিপুশ্বেরী মন্দির, বুদ্ধমন্দির, মহামুনি প্যাগোডা, গেদু মিঞার মসজিদ, আগরতলা রেলস্টেশন, পিলাকসহ ত্রিপুরা রাজ্যের অসংখ্য ঐতিহাসিক ও দর্শনীয় স্থাপনার প্রতিকৃতি।
ত্রিপুরা বন বিভাগের উদ্যোগে নির্মিত এই হেরিটেজ পার্ক ২০১২ সালের ৩০ নভেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেন ত্রিপুরা রাজ্যের মূখ্যমন্ত্রী শ্রী মানিক সরকার। প্রতিদিন ভারতের অন্যান্য রাজ্যসহ বিভিন্ন দেশ থেকে দর্শনার্থীরা এসে ভীড় জমান হেরিটেজ পার্কে। পার্কের নান্দনিক স্থাপনাগুলোর সৌন্দর্য দেখে অভিভূত হন দর্শনার্থীরা।
পার্কে আসা কয়েকজন দর্শনার্থী জাগো নিউজকে জানান, মাত্র ১০ রুপি দিয়ে পার্কে প্রবেশ করে তারা পুরো ত্রিপুরা রাজ্যের দর্শনীয় স্থান ও স্থাপনাগুলোর প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারছেন। অনেকেই প্রাকৃতিক মনোরম দৃশ্যে ভরপুর হেরিটেজ পার্কে বন্ধু-বান্ধবদের নিয়ে পার্কের ছাউনি তলায় বসে আড্ডায় মেতে উঠেন।
পার্কের সৌন্দর্য উপভোগের ফাঁকে দেখা হয়ে গেল হেরিটেজ পার্কের সাবেক তত্ত্বাবধায়ক ও বাংলাদেশি বংশোভূত অমল দেব রায়ের সঙ্গে। তিনি জাগো নিউজের এই প্রতিবেদককে জানান, ত্রিপুরা রাজ্যে অসংখ্য ঐতিহাসিক ও দর্শনীয় স্থান রয়েছে। কিন্তু সময়-সুযোগের অভাবে অনেকেই সে সকল স্থানে যেতে পারেন না। তাদের কথা চিন্তা করেই হেরিটেজ পার্ক নির্মাণ করা হয়েছে।
পার্কটি উদ্বোধনের পর প্রথমে বিনা পয়সায় পার্কে প্রবেশের ব্যবস্থা ছিল। কিন্তু পবর্তীতে পার্কের রক্ষণাবেক্ষণ ও নিরাপত্তার স্বার্থে প্রবেশ মূল্য ১০ রুপি নির্ধারণ করা হয়। এছাড়া প্রতি মাসে মাত্র ৫০ রুপির বিনিময়ে পার্কে প্রতিদিন সকাল ৬টা থেকে ৮টা পর্যন্ত দুই ঘণ্টা দর্শনার্থীরা মর্নিং ওয়াক করতে পারেন বলেও জানান তিনি।
এসএস/এমএস