ঈদে সিলেটের কোথায় কোথায় ঘুরবেন

ভ্রমণ ডেস্ক
ভ্রমণ ডেস্ক ভ্রমণ ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৪:৪৬ পিএম, ২৪ মে ২০১৮

এবার ঈদ আর বর্ষা পাশাপাশি। বর্ষার রিমঝিম ছন্দের তালে তালে ঈদের ছুটিতে ঘুরে আসতে পারেন সিলেটে। সিলেটে বেশকয়েকটি স্থান রয়েছে দেখার মতো। নয়নাভিরাম সেসব স্থানে গেলে ঈদের আনন্দে বাড়তি কিছু যোগ হবে। তাহলে আসুন জেনে নেই সিলেটের কোথায় কোথায় ঘুরবেন-

রাতারগুল
বাংলাদেশের একমাত্র জলাবন হচ্ছে রাতারগুল। সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার ফতেহপুর ইউনিয়নের গুয়াইন নদীর দক্ষিণে এর অবস্থান। শহর থেকে প্রায় ২৬ কিলোমিটার দূরে এর অবস্থান। এখানে পানির মধ্যে ভাসা সবুজ গাছ, মাথার ওপর তার ছায়া, সুনীল আকাশ, নৌকায় রাতারগুল ঘুরে বেড়ানোর সুযোগ রয়েছে। এখানে সাপ, বানর, মাছরাঙা, পানকৌড়ি, কানাবক, সাদাবক, ঘুঘুসহ নানা জাতের অসংখ্য পাখি রয়েছে। তাই দলবেঁধে রাতারগুল যাওয়াই ভালো।

জাফলং
সিলেটের সীমান্তবর্তী এলাকায় জাফলং অবস্থিত। এর অপর পাশে ভারতের ডাওকি অঞ্চল। ডাওকি অঞ্চলের পাহাড় থেকে ডাওকি নদী জাফলং দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। মূলত পিয়াইন নদীর অববাহিকায় জাফলং অবস্থিত।

in-pic-(1)

বিছনাকান্দি
সুউচ্চ পাহাড়। পাহাড়ের বুক চিড়ে নেমে আসা বিশাল ঝরনা। নিচে সারি সারি পাথরের ওপর ছিটকে পড়ছে ঝরনার স্বচ্ছ জল। পাহাড়, মেঘ, আকাশ আর স্বচ্ছ জলের জলকেলি মিলিয়ে বিছনাকান্দি মুগ্ধতার এক অনন্য রূপ।

লোভাছড়া
যেন হাত দিয়েই ছোঁয়া যায় মেঘ! লোভাছড়া চা বাগানে সবুজকুঁড়ি, চা শ্রমিকদের জীবন, ক্বিন ব্রিজ, পাল তোলা নৌকা, নদী তীরের জীবন- এসবের দেখা মেলে লোভাছড়া গেলে।

পাংথুমাই
পেছনে ভারতের মেঘালয় রাজ্য। বয়ে চলা পিয়াইন নদীর মিতালিতে গোয়াইনঘাট উপজেলার পশ্চিম জাফলং ইউনিয়নের পাংথুমাই গ্রাম। গ্রামের পাশেই বড়হিল নামক মায়াবী ঝরনা।

মালনিছড়া
সিলেট শহরের উপকণ্ঠেই মালনিছড়া চা বাগান। মাত্র ১৫-২০ মিনিটেই শহর থেকে এ চা বাগানে যাওয়া যায়।

in-pic-(1)

লাক্কাতুড়া
লাক্কাতুড়া চা বাগানেই দেশের প্রথম গ্রিন গ্যালারির ক্রিকেট স্টেডিয়াম। নগরীর জিন্দাবাজার, চৌহাট্টা, আম্বরখানা যেকোনো স্থান থেকেই যাওয়া যায় এ চা বাগানে।

যেভাবে যাবেন
ঢাকার কমলাপুর ও ক্যান্টনমেন্ট রেলস্টেশন থেকে ট্রেনে করে সিলেট যাওয়া যায়। এছাড়া বিভিন্ন পরিবহনের বাস নিয়মিতই যায় ঢাকা থেকে।

কোথায় থাকবেন
সিলেটে থাকার জন্য ভালো ব্যবস্থা রয়েছে। এখানে উন্নতমানের হোটেল রয়েছে। এছাড়া কিছুটা কম ভাড়ার হোটেলও পাবেন।

এসইউ/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।