বিমানে ভ্রমণের কিছু পরামর্শ
দেশে-বিদেশে ব্যক্তিগত বা দাফতরিক কাজে মাঝে মাঝেই বিমানে ভ্রমণ করতে হয়। বিমানে ভ্রমণ অন্যান্য ভ্রমণের চেয়ে কিছুটা ব্যতিক্রমই বটে। কারো কারো জন্য একেবারে নতুন অভিজ্ঞতা। তাই কিছু নিয়ম-কানুন জেনে রাখা ভালো। আপনাদের জন্য আজ বিমানে ভ্রমণের কিছু পরামর্শ প্রকাশিত হলো-
লাগেজ যথাস্থানে রাখুন
বিমানে উঠে আপনার প্রথম কাজ হচ্ছে- সঙ্গে থাকা লাগেজগুলোতে ঠিকানা লাগানো। এরপর বড় লাগেজগুলো সিটের উপরের লকারে রাখুন। ছোট লাগেজগুলো সামনের সিটের নিচে রাখুন। আসনের মাঝখানে লাগেজ ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রাখলে যাতায়াতে অসুবিধা হতে পারে। তবে তাড়াতাড়ি নেমে পড়বেন ভেবে লাগেজ কখনোই সামনের সারিতে রাখবেন না।
খুব ধীরে কাজ
আপনার সিটটিকে আরামদায়ক করতে পেছনের দিকে যখন ধাক্কা দেবেন; তখন খুব ধীরে কাজটি করবেন। যেন পেছনের আসনের কোনো ব্যক্তির গায়ে আঘাত না লাগে।
অবস্থা বিবেচনা করুন
আপনি হয়তো নতুন পরিবেশে নতুন বন্ধু বানাতে পছন্দ করেন। কিন্তু সবাই যে আপনার কথা শুনতে পছন্দ করবে তা কিন্তু নয়। তাই অন্যের অবস্থাকে বিবেচনা করে তার সঙ্গে সেইভাবে ব্যবহার করুন।
শিশুর কর্মকাণ্ড
সঙ্গে শিশু থাকলে আপনাকে বাড়তি সতর্ক হতে হবে। কারণ অনেকেই শিশুর কর্মকাণ্ডে বিরক্ত হন। তাই অন্য যাত্রীর কাছে আপনার শিশুকে যেতে না দেওয়াই ভালো।
অযথা দাঁড়িয়ে থাকা
আসনের মাঝপথে অযথা দাঁড়িয়ে থাকবেন না। যদি কেউ দাঁড়িয়ে থাকেন এবং এতে যদি আপনার অসুবিধা হয়, তাহলে বিনয়ের সঙ্গে তাকে সরে যেতে বলুন।
কিছুর প্রয়োজন হলে
বিমানে কোনো কিছুর প্রয়োজন হলে এয়ারহোস্টেসকে ডাকুন। তিনিই বিমান ভ্রমণে আপনার সবচেয়ে কাছের মানুষ। তাই নির্দ্বিধায় যেকোনো সমস্যায় এয়ারহোস্টেসের শরণাপন্ন হোন।
নামার সময় করণীয়
বিমান থেকে নামার সময় দেখে নিন লাগেজ ঠিকমতো নিয়েছেন কি না। নামার সময় অযথা দরজার কাছে দাঁড়িয়ে থাকবেন না। অন্যকে তাড়াতাড়ি নামার সুযোগ করে দিন। যদি আপনার সঙ্গে ভারি লাগেজ থাকে তবে আগে অন্যদের নামতে দিন। পড়ে সুযোগ বুঝে নামুন।
এসইউ/জেআইএম