পশ্চিমবঙ্গের ৫ রাজবাড়িতে রাতযাপন
ভারতের পশ্চিমবঙ্গে ছড়িয়ে ছিটিয়ে অাছে বহু ঐতিহ্যবাহী জমিদার বাড়ি। আর সেখানে থাকা-খাওয়াসহ রাত কাটানোর সুব্যবস্থাও রয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের এমন ৫টি রাজবাড়ি নিয়ে আজকের আয়োজন-
বালাখানা রাজবাড়ি
নদীয়ার কৃষ্ণনগর থেকে ১১.৫ কিলোমিটার দূরে নবদ্বীপ ঘাট সড়কের ওপর অবস্থিত এই রাজবাড়ি। এর প্রধান আকর্ষণ ৪ ফুট উঁচু পালঙ্ক। যেখানে সিঁড়ি বেয়ে ওঠার ব্যবস্থা রয়েছে। এখানে থাকার জন্য ঘরপিছু খরচ ৩ হাজার ৫০০ টাকা।
কাশিমবাজার রাজবাড়ি
মুর্শিদাবাদের বহরমপুর থেকে ২.৯ কিলোমিটার এগোলেই কাশিমবাজার সড়কেই কাশিমবাজার রাজবাড়ি। রাজবাড়ির ৩টি ঘরকে বর্তমানে থাকার জন্য ভাড়া দেওয়া হয়। প্রতিটি ঘরের ভাড়া ১ হাজার ৩৫০ টাকা।
বাওয়ালি রাজবাড়ি
কলকাতা থেকে ৩৩.৪ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত বাওয়ালি রাজবাড়ি। ট্রেনে যেতে হলে বজবজ স্টেশনে নেমে যাওয়া যায়। বজবজে নেমে রিকশাতে কয়েক মিনিটে পৌঁছে যাওয়া যায়। রাজবাড়ির ৪টি ঘরে পর্যটকদের থাকার জন্য ব্যবস্থা করা আছে। প্রতিটি ঘরের জন্য খরচ ৭ হাজার ৫০০ টাকা।
ইটাচুনা রাজবাড়ি
দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়ে থেকে দেড়ঘণ্টার রাস্তা এগোলেই এই রাজবাড়ি। হুগলীর চুঁচুড়া থেকে ১৯ কিলোমিটার গেলেই হালসুই মোড়ের কাছে যেতে হয়। বাঁ দিকে গেলেই ইটাচুনা গ্রাম। এছাড়াও হাওড়া থেকে বর্ধমান মেন লাইনে যেতে খন্যান স্টেশনে নেমে রিকশায় যাওয়া যায়। রাজবাড়িতে বিখ্যাত মদনমোহনের মন্দির ছাড়াও দেখার অনেক কিছুই আছে। পর্যটকদের থাকার জন্য ১৪টি ঘরের ব্যবস্থা রয়েছে। প্রতিটি ঘরের ভাড়া ১ হাজার ৫০০ টাকা থেকে শুরু।
সাইনো হেরিটেজ
দার্জিলিং থেকে ২৮ কিলোমিটার দূরে পাহাড়ের কোলে সাইনো হেরিটেজ গেস্ট হাউস অবস্থিত। এখানে ‘বনফায়ার’র আকর্ষণের পাশাপাশি রয়েছে বাড়ির বারান্দা থেকে পাহাড়ি প্রকৃতিকে দুচোখ মেলে দেখার সুযোগ। রয়েছে ক্যান্ডেল লাইট ডিনারের রাজকীয় ব্যবস্থা। প্রতিটি ঘরের ভাড়া ১ হাজার ৬০০ টাকা।
এসইউ/আরআইপি