সন্ধ্যার আলোয় ইন্ডিয়া গেটের অনন্য রূপ


প্রকাশিত: ০৬:৪৯ এএম, ২৯ মার্চ ২০১৭

ইন্ডিয়া গেট ভারতের ঐতিহ্যবাহী স্থাপনাগুলোর মধ্যে একটি। লাল ও সাদা বেলেপাথর এবং গ্র্যানাইট পাথরে নির্মিত এ বিশাল স্থাপনাটি মূলত ভারতের জাতীয় স্মৃতিসৌধ। প্রথম বিশ্বযুদ্ধ ও তৃতীয় ইঙ্গ-আফগান যুদ্ধে নিহত ৯০ হাজার ভারতীয় সেনা জওয়ানদের স্মৃতি রক্ষার্থে এ সৌধটি নির্মিত হয়।

ভারতের রাজধানী নতুন দিল্লির একেবারে কেন্দ্রস্থলেই অবস্থিত এ স্মৃতিসৌধের সৌন্দর্য দেশি-বিদেশি পর্যটকদের কাছে ভীষণ উপভোগ্য। সন্ধ্যার পর আলোর ঝলকানিতে গেটের সামনের সড়কটিও আলোকিত হয়ে ওঠে। এ যেন সন্ধ্যার বাতিঘর।

India

ইন্টারনেটে পাওয়া তথ্যানুযায়ী, ইন্ডিয়া গেট প্যারিসের আর্ক দে ত্রিম্ফের আদলে ১৯৩১ সালে নির্মিত। এর নকশা করেন স্যার এডউইন লুটিয়েনস। পূর্বে এ স্মৃতিসৌধের নাম ছিল ‘অল ইন্ডিয়া ওয়ার মনুমেন্ট’। একসময় পঞ্চম জর্জের একটি মূর্তিও ছিল এ স্মৃতিসৌধের ছাউনি তলায়। তবে সেই মূর্তিটি অন্যান্য মূর্তির সঙ্গে দিল্লির করোনেশন পার্কে সরিয়ে ফেলা হয়েছে। স্বাধীনতার পর ইন্ডিয়া গেটে ভারতীয় সেনাবাহিনীর ‘অনামা সৈনিকদের সমাধি’ হিসেবে পরিচিত ‘অমর জওয়ান জ্যোতি’ স্থাপিত হয়েছে।

India

প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত ইন্ডিয়া গেট দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত রাখা হয়। ইন্ডিয়া গেটের নিখুঁত নির্মাণশৈলী আর সন্ধ্যার আলোকসজ্জা দেখতে অসংখ্য দর্শনার্থী আসেন এখানে। সূর্যাস্তের সময়ের দৃশ্য এবং সন্ধ্যার পর যখন গেট এবং এর আশপাশের সব বাতি জ্বালিয়ে দেওয়া হয় তখন এক অনন্য রূপে সাজে ইন্ডিয়া গেট। ইন্ডিয়া গেটের চমৎকার আলোকসজ্জার আলো ছড়িয়ে পড়ে সামনের সড়কেও। মূলত গেটের এ দৃশ্যটি দেখার জন্যই বিকেল থেকে ভিড় বাড়তে থাকে। কেউ গেটের ফোঁকর দিয়ে অস্ত যাওয়া লাল সূর্যের স্থিরচিত্র ক্যামেরায় ধারণ করেন। কেউ আবার গেটের সামনে বসে বন্ধু-স্বজনদের সঙ্গে আড্ডায় মেতে ওঠেন।

সারাদিনের ব্যস্ততার পর শেষ বিকেলে পরিবার-পরিজন নিয়ে কিছুটা সময় কাটানো এবং সন্ধ্যায় আলোর ঝলকানি যেন দর্শনার্থীদের মাঝে বাড়তি আনন্দ যোগ করে। অনেকের মতে, কেউ দিল্লি এসে ইন্ডিয়া গেট না ঘুরলে নাকি তার ভ্রমণ অসম্পূর্ণ রয়ে যায়।

India

কোনো ধরনের টিকিট ছাড়াই দর্শনার্থীরা ইন্ডিয়া গেটের সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারেন। তবে এখানে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর যথেষ্ঠ নিরাপত্তা ব্যবস্থা রয়েছে। কোনো দর্শনার্থীর সঙ্গে ক্যামেরা না থাকলেও কোনো সমস্যা নেই। কেননা ইন্ডিয়া গেটে রয়েছেন অসংখ্য ভ্রাম্যমাণ ফটোগ্রাফার।

ইন্ডিয়া গেট ছাড়াও দিল্লি শহরে রয়েছে আরও বেশকিছু দর্শনীয় স্থান। এগুলোর মধ্যে লক্ষ্মী-নারায়ণ মন্দির, কুতুব মিনার, রেড ফোর্ট বা লাল কেল্লা, হুমায়ূণ টম্ব অন্যতম। দিল্লি ট্যুরিজম বোর্ডের মাধ্যমেও এসব স্থান ঘুরতে পারবেন পর্যটকরা। তবে এর জন্য আগে থেকেই অনলাইনে ট্যুরিজম বোর্ডের টিকিট বুক করতে হবে।

এসইউ/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।