দক্ষিণাঞ্চলের মিনি কক্সবাজার

ভ্রমণ ডেস্ক
ভ্রমণ ডেস্ক ভ্রমণ ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৬:৩৭ এএম, ১৪ জানুয়ারি ২০১৭

বঙ্গোপসাগরের মোহনায় ছোট ফেনী নদীর ওপর নির্মিত মুছাপুর ক্লোজার পরিচিতি পেয়েছে বাংলাদেশের আরেক ‘মিনি কক্সবাজার’ হিসেবে। এই ক্লোজার দক্ষিণাঞ্চলের মানুষদের অন্যতম পছন্দের গন্তব্য হিসেবে সুপরিচিত হয়ে উঠছে।

অবস্থান
মুছাপুর ক্লোজার নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার মুছাপুর ইউনিয়নে নির্মিত। প্রথম দেখাতে মনে হবে সৈকত। কিছুক্ষণ পরে ভুল ভাঙবে। খুঁজে পাবেন নদীপাড়ে সাগরের আবহ। তাই এ ক্লোজারের নাম দেয়া হয়েছে ‘মিনি কক্সবাজার’।
clooser

নির্মাণ
মুছাপুর নদীর তীরে ২৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত হয়েছে এই ক্লোজার। এর অাগে ২০০৯ সাল থেকে কয়েক দফা বাজেট বরাদ্দ দিয়ে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এবং পানি উন্নয়ন বোর্ডের চেষ্টায় ক্লোজারটি নির্মাণ সম্ভব হয়।

clooser
বৈশিষ্ট্য
প্রতিদিন মাইক্রো, অটোরিকশা, পিকআপ ভ্যানসহ নিজস্ব মোটরবাইকে চড়ে আনন্দ-উল্লাসে ক্লোজার ও ক্লোজার সংলগ্ন মুছাপুর ফরেস্ট দেখতে পারনে বিনোদনপ্রেমী হাজারো মানুষ। কেউ স্বপরিবারে কেউবা আবার বন্ধুদের বিশাল বহর নিয়ে এখানে ঘুরতে অাসতে পারেন।

যা দেখবেন
এখানে আছে নদীর নৈসর্গিক দৃশ্য, নৌকা ভ্রমণের অসাধারণ আনন্দ-অভিজ্ঞতা, সকালের শান্ত মনোরম প্রাকৃতিক পরিবেশ, রাখাল ও মাঝির গান, পাখির কলতান, জেলেদের উৎসব, গরু-মহিষ-ভেড়াসহ বিভিন্ন প্রজাতির পশু-পাখির সৌন্দর্য ও বিকেলের হিমেল হাওয়া, ক্লোজারে অাছড়ে পড়া ঢেউ, জোয়ার-ভাটা, ফরেস্টের ভিতরের প্রাকৃতিক দৃশ্য।
clooser

অসুবিধা
প্রতিদিন ফেনী, নোয়াখালী ও লক্ষ্মীপুর থেকে হাজার হাজার পর্যটক ভিড় জমান এখানে। রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকেও ছুটে আসছেন অনেকেই। তবে সমস্যা হচ্ছে নিরাপত্তা ও যাতায়াতের। পর্যটকদের রাস্তা সংকীর্ণতার কারণে যানজটের তিক্ত অভিজ্ঞতায় পড়তে হয়। গাড়ি পার্কিংয়ের ভালো ব্যবস্থা নেই। যদিও দর্শনার্থীদের নিরাপত্তায় অস্থায়ী পুলিশ ক্যাম্প রয়েছে।

clooser
যেভাবে যাবেন
নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের বসুরহাট পৌরসভা থেকে বাংলাবাজার। সেখান থেকে চৌধুরীবাজার পার হয়ে ২ কিলোমিটার রাস্তা হয়ে চার রাস্তার মোড় দিয়ে পূর্বদিকে জনতা বাজার, এরপর দক্ষিণে ১.৫ কিলোমিটার রাস্তা অতিক্রম করে একটু পূর্বে গেলেই মুছাপুর ক্লোজার।

এসইউ/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।