সুরভি ছড়ানো গোলাপ গ্রাম


প্রকাশিত: ১২:০৩ পিএম, ০২ জানুয়ারি ২০১৭

‘জোটে যদি মোটে একটি পয়সা/ খাদ্য কিনিও ক্ষুধার লাগি’/ দুটি যদি জোটে অর্ধেকে তার/ ফুল কিনে নিয়ো, হে অনুরাগী’- কবি সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত রচিত ‘ফুলের ফসল’ কবিতার কয়েকটি পঙক্তি। আপনি যদি ফুলের অনুরাগী হন- তাহলে একবার ঘুরে আসুন সাদুল্লাপুর। যার অপর নাম গোলাপ গ্রাম।

rose

গোলাপ গ্রাম
গোলাপ ফুল পছন্দ করেন না এমন মানুষ হয়ত খুব কমই আছে। ফুল আমাদের প্রতিদিনের উৎসবের সাথী। এই যে এত এত ফুল আমরা দোকানে দেখি, এই ফুলগুলো কোথা থেকে আসে? আসে এই গোলাপ গ্রাম থেকে। যদি এমন হয় ফুল নয়, পুরো ফুলের বাগানটাই দেখতে পাচ্ছেন চোখের সামনে। তাহলে কেমন হয়?

অবস্থান
এমন দৃশ্য উপভোগ করতে চাইলে আপনাকে যেতে হবে ঢাকার সাভারের সাদুল্লাপুরে। সাভারের তুরাগ নদীর তীরে অবস্থিত সাদুল্লাপুর। এটি গোলাপ গ্রাম নামেও পরিচিত। এখান থেকেই ঢাকার বিভিন্ন স্থানে ফুল যায়।

যা দেখবেন
দিয়াবাড়ি বটতলা ঘাট থেকে সাদুল্লাপুর ঘাটে যেতে যেতে আপনি মুগ্ধ হবেন। বিস্তৃত লাউখেত, লাউয়ের মাচায় বসা অসংখ্য পাখি আপনাকে বিমোহিত করবে। সাদুল্লাপুর নবাবদের বাইগুন বাড়ি নামে খ্যাত। এটি ছিল ঢাকার নবাবদের সংরক্ষিত শিকার কানন। বাইগুন বাড়িতে কাছারি ঘরের ধ্বংসাবশেষ রয়েছে।

rose

খাবার
দুপুরের খাবার সঙ্গে নিয়ে যাওয়াই ভালো। তবে হোটেল আছে, সেখানেও খেতে পারেন। দলবেঁধে গেলে আগে থেকে খাবারের অর্ডার দিয়ে যাবেন। সাদুল্লাপুর ঘাটের বটতলার হাটে মিরচিনি, মুরালি, দই, মিষ্টিসহ অন্যান্য খাবার পাবেন। এছাড়া গরুর দুধের চা ও দুধ মালাইয়ের স্বাদ নিতে পারবেন।

rose

কীভাবে যাবেন
মিরপুর ১ নম্বর মাজার রোড দিয়াবাড়ি ঘাট থেকে সাদুল্লাপুর ঘাটের উদ্দেশ্যে ৩০ মিনিট পরপর ইঞ্জিনচালিত বোট ছাড়ে। অথবা নিজেরা হাতে চালানো বোট নিতে পারেন। এক্ষেত্রে ভাড়া একেক রকম হতে পারে। সাদুল্লাপুর ঘাট থেকে নেমে হাতের ডানপাশ ধরে হেঁটে যেতে পারেন। ১০ থেকে ১৫ মিনিট লাগবে। তবে রিকশাও নিতে পারেন।

সতর্কতা
ঘুরতে গিয়ে ফুলের যেন কোনো ক্ষতি না হয়, সেদিকে লক্ষ্য রাখা উচিত।

এসইউ/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।