মাত্র ২৪ ঘণ্টার জন্য বিয়ে হয় যেখানে

ভ্রমণ ডেস্ক
ভ্রমণ ডেস্ক ভ্রমণ ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৫:২০ পিএম, ২১ নভেম্বর ২০২৪
ছবি- ছেলেরা তাদের একক পরিচয় মুছে ফেলতে একদিনের জন্য বিয়ে করে

বিয়ে একটি সামাজিক রীতি। যদিও বিভিন্ন ধর্মে বিয়ের নিয়ম রীতি আলাদা। শুধু ধর্মই নয়, বিভিন্ন দেশেও বিয়ের নিয়ম কানুন বিভিন্ন রকম। এ বিষয়ে প্রত্যেক দেশের নিজস্ব আইন আছে। তবে রীতি নীতি যেমনই হোক না কেন, বিয়ে হলো দু’জন মানুষের মধ্যকার একটি সামাজিক বন্ধন।

বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে অদ্ভুত সব বিবাহ-রীতি প্রচলিত আছে। একই রকম আজব নিয়ম আছে আমাদের প্রতিবেশী চিনের বিভিন্ন প্রান্তেও। এই যেমন চিনের একটি স্থান আছে যেখানে বিবাহ মাত্র ২৪ ঘণ্টার জন্য বৈধ থাকে।

মিডিয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, চিনে দারিদ্র্যের কারণে যারা বিয়ের সময় পুত্রবধূদের উপহারও অর্থ দিতে পারেন না, তাদের বিয়ে হয় না। এমন পরিস্থিতিতে সেখানকার ছেলেরা এক অনন্য পদ্ধতিতে বিয়ে করে। আর সেভাবেই তারা বিবাহিত হওয়ার তকমা পায়।

যে আজব বিয়ের কথা হচ্ছে সেটি হয় চিনের হুবেই প্রদেশে। প্রধানত এই প্রদেশের গ্রামাঞ্চলে একদিনের বিয়ে হয়। সেখানে বিয়ে হয় মাত্র ২৪ ঘণ্টার জন্য। এ ধরনের বিয়ের তাৎপর্য হলো, এক্ষেত্রে কোনো বড় অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় না বা কোনো অতিথির জন্য খাবার ও পানীয়েরও ব্যবস্থা করা হয় না। এই বিয়ে হয় অত্যন্ত গোপনভাবে। তবে রিপোর্ট অনুযায়ী, গত ৬ বছরে এই প্রবণতা দ্রুত হারে বেড়েছে।

তবে কেন একদিনের বিয়ে কেন?

রীতি অনুযায়ী চিনের হুবেই প্রদেশে বিয়ের জন্য ছেলের পরিবার ও ছেলেকে অনেক টাকা খরচ করতে হয়। এমন পরিস্থিতিতে বেশিরভাগ ছেলে বাধ্য হয়েই বিয়ে করে না। অন্যদিকে আবার চিনে অবিবাহিত ছেলেদের মরে যাওয়াকে একেবারেই শুভ বলে মনে করা হয় না। এই কারণেই ছেলেরা তাদের একক পরিচয় মুছে ফেলতে একদিনের জন্য বিয়ে করে।

চিনের কিছু অঞ্চলে এমন প্রথাও আছে যেখানে কোনো পুরুষ অবিবাহিত থাকলে মৃত্যুপথেও তার বিয়ে দেওয়া হয়। তবে এই বিয়ের পর বিবাহিত মেয়েদের কী হয়? আসলে যে মেয়েরা একদিনের জন্য কনে সাজেন তাদেরকে অনেক টাকা দেওয়া হয়। বর্তমানে চিনে একদিনের বিয়ের ব্যবসা ব্যাপক হারেই চলছে।

সূত্র: সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট

জেএমএস/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।