যে রেস্টুরেন্টে খেতে ৪ বছর অপেক্ষা করতে হয়

ভ্রমণ ডেস্ক
ভ্রমণ ডেস্ক ভ্রমণ ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৪:০৪ পিএম, ১৯ অক্টোবর ২০২৪
এই রেস্টুরেন্টের খাবারের মেনু শুনতে চমকে উঠবেন!

বিশ্বের বিভিন্ন দেশে আছে বিখ্যাত সব রেস্টুরেন্ট। আর সেসব রেস্টুরেন্টে সব সময়ই ভিড় লেগে থাকে। এর মূল কারণ হলো খাবারের বিশেষত্ব। জানলে অবাক হবেন, বিশ্বের এমন একটি রেস্টেুরেন্ট আছে যেখানে মধ্যাহ্নভোজের জন্য খাবার টেবিল বুক করতে গেলে অপেক্ষা করতে চার চারটি বছর। যারা এই রেস্টুরেন্টের খাবারের স্বাদ গ্রহণ করতে চান, তারা ৪ বছর ধরেই অপেক্ষা করেন।

যুক্তরাজ্যে এমন একটি রেস্টেুরেন্ট আছে, যেখানে টেবিল বুক করতে চাইলে কম করে চার বছর পর আগে থেকে প্রস্তুত নিতে হয়। যুক্তরাজ্য বা ইউনাইটেড কিংডমের সেন্ট্রাল ব্রিস্টলেতে অবস্থিত রেস্তোরাঁটির নাম ‘দ্য ব্যাংক টাভের্ন’। গ্রাহকদের দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করানোর ক্ষেত্রে রেস্টেুরেন্ট নিয়ে একটি সমীক্ষা করেছিল বিজনেস পেমেন্ট প্রোভাইডার ডোজো। সেই সমীক্ষায় সবাইকে পেছনে ফেলে দিয়ে এক নম্বরে জায়গা করে নিয়েছে এটি।

রেস্টুরেন্টটি কিন্তু বেশ ছোট। বর্তমানে এখানে শুধু রবিবারের দুপুরের খাবারের জন্য টেবিল বুক করতেই অপেক্ষা করতে হয় চার বছর। এখানকার খাবারের মেনু শুনতে চমকে উঠবেন। একমাস বয়সী গরুর মাংস, মধু ও রোজমেরিতে ভাজা ভেড়ার পা, স্লো কুকড্ শুয়োরের মাংস, আলুর তরকারি, ডাল ও রুটি পরিবেশন করা হয়। যদিও রেস্টেুরেন্টটি তার রবিবারের স্পেশাল মেনুর জন্য বেশি বিখ্যাত।

সানডে স্পেশাল মেনুতে থাকে গ্রিক স্কুইড বল, মসুরের ডাল, ম্যাপেল সিরাপ গ্লেজ ও বেলি পর্ক পরিবেশন। ডেজার্টে থাকে রাস্পবেরি দই পানা কোটা, গুজবেরি স্পঞ্জের সঙ্গে স্ট্রবেরি ও সাদা চকলেট। লাঞ্চ প্লেটের দাম কত? যেমন নাম, তেমনই দাম। এই রেস্টেুরেন্টে গত কয়েক বছরে এতটাই বিখ্যাত হয়ে উঠেছে যে এখানকার খাবারের দামও অনেকটা বেশি।

থ্রি-কোর্ট লাঞ্চের জন্য জনপ্রতি খরচ পড়বে ৩০০০ টাকা। দুই কোর্সের খাবারের জন্য খরচ পড়বে ২৫০০ টাকা। এখানে দুপুরের খাবার খেতে গেলে দুপুর ১২-৪টার মধ্যে যেতে হবে। রেস্টেুরেন্টেটি তৈরি হয়েছিল ১৮০০ খ্রিস্টাব্দে। এরপর থেকে সেখানে একাধিক দাঙ্গা ও দুটি বিশ্বযুদ্ধ ঘটে গেছে।

বলাবাহুল্য এর আঁচ লেগেছিল এই রেস্টেুরেন্টে। যদিও সবকিছু সামলে আজও এই রেস্টেুরেন্ট আগের মতোই মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে। লন্ডন থেকে প্রায় আড়াই ঘণ্টা দূরত্বে অবস্থিত রেস্টেুরেন্টটির ট্যাগলাইন, ‘আ স্মল পাব উইথ আ বিগ হার্ট’। প্রায় ২০০ বছরের পুরোনো এই রেস্টেুরেন্টে খাবার খাওয়ার ইচ্ছে থাকলে চার বছরের ধৈর্য্য ধরতে হবে। কারণ এখান সব টেবিল এখন ভর্তি আছে।

সূত্র: দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস

জেএমএস/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।