ভ্রমণের জন্য কীভাবে অর্থ সঞ্চয় করবেন?

ভ্রমণ ডেস্ক
ভ্রমণ ডেস্ক ভ্রমণ ডেস্ক
প্রকাশিত: ০২:৫৫ পিএম, ২৩ আগস্ট ২০২৪
ভ্রমণের জন্য যতটা সম্ভব সঞ্চয় করুন

ভ্রমণের শখ সবার মনেই থাকে, তবে অর্থের টানাটানিতে অনেকেই দেশে-বিদেশে ঘুরতে যেতে পারেন না। তবে আপনি যদি ভ্রমণপিপাসু হন, তাহলে ভ্রমণের জন্য যতটা সম্ভব সঞ্চয় করুন।

কীভাবে তা করবেন, তার জন্যও সুষ্ঠু পরিকল্পনা প্রয়োজন। দৈনন্দিন খরচ বাঁচিয়ে যেমন সাশ্রয় করা যায়, তেমনই উপযুক্ত বিনিয়োগেও বাড়তি টাকা হাতে আসতে পারে। কীভাবে ভ্রমণের জন্য টাকা জমাবেন জেনে নিন-

সঞ্চয় করুন

দেশের মধ্যেই ভ্রমণে চান না নাকি বিদেশে, কত দিনের ভ্রমণ পরিকল্পনা, কত জন যাবেন, কোন সময় যাবেন, তার উপর নির্ভর করে খরচ। যেখানে যেতে চাইছেন, সে জায়গা সম্পর্কে জানুন। তারপর খরচের প্রাথমিক লক্ষ্যমাত্রা স্থির করে নিন। সে অনুযায়ী কতদিন সঞ্চয় করবেন তা পরিকল্পনা করুন।

মাসিক বাজেট

প্রথমেই হিসাব করুন, আপনার মাসের খরচ কতটা হচ্ছে। বাসা ভাড়া, বিদ্যুত-ইন্টারনেট বিল, গ্যাস, ফোন খরচ, সন্তানের পড়াশোনা, মুদিখানা ইত্যাদি খাতে কত টাকা খরচ হচ্ছে তা বুঝে তবেই সঞ্চয় করুন ভ্রমণের জন্য।

আরও পড়ুন

অপ্রয়োজনীয় খরচ

দৈনন্দিন জীবনে এমন অনেক কিছুই আমরা কিনে ফেলি বা খরচ করি, যেটা হয়তো না হলেও চলত। অনেকেই প্রয়োজনের অতিরিক্ত পোশাক কেনেন। আবার কেউ কেউ অতিরিক্ত ধূমপান করেও অর্থ খরচ করেন। একটু চেষ্টা করলে এসব খাত থেকে খরচ কমিয়ে সঞ্চয় করতে পারবেন ভ্রমণের জন্য।

পরিকল্পনা অনুযায়ী সঞ্চয় করুন

কোথায় বেড়াতে যাবেন, কত খরচ পড়ব সে সম্পর্কে ধারণা থাকলে সঞ্চয়েও সুবিধা হবে। কত টাকা ভ্রমণের জন্য প্রয়োজন, তা বুঝে নিয়ে মাসে মাসে সঞ্চয় করুন।

বিনিয়োগ

অর্থ বাঁচিয়ে শুধু ঘরে রাখলেই চলবে না। সঠিক খাতে বিনিয়োগ প্রয়োজন। তবে পুরোটাই ঝুঁকিপূর্ণ বিনিয়োগে ঢেলে দিলে, বছর শেষে ভ্রমণের ইচ্ছাও জলে যেতে পারে। ঝুঁকিহীন বা কম ঝুঁকিপূর্ণ খাতে বিনিয়োগ করতে পারেন।

আগাম বুকিং দিন

বিমানের টিকিট আগে কাটলে কিছুটা খরচ কম হয়। ঘর আগাম বুকিং করলে অনেক সময়ই খরচ কমে যায়। তাই সঞ্চয়ের পাশাপাশি সঠিক সময়ে বেড়ানোর জন্য বুকিং সেরে রাখুন। অনেক সময় ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারেও ছাড় পাওয়া যায়। এ রকম সুযোগ থাকলে, তা নেওয়ার চেষ্টা করুন।

জেএমএস/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।