পর্তুগালের ডেভিল’স ব্রিজে লুকিয়ে আছে যে রহস্য

ভ্রমণ ডেস্ক
ভ্রমণ ডেস্ক ভ্রমণ ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৩:০৩ পিএম, ১২ আগস্ট ২০২৪

দু’পাশে পাহাড়। মাঝে রহস্যময় এক সেতু। সেটি দেখতেও বেশ নজরকাড়া। একটু অদ্ভুত বটে। একপাশের পাহাড়ের কিছুটা ঢালুতে ঝরনাধারা বয়ে চলছে। প্রাকৃতিক সৌন্দর্য যেন উপচে পড়ছে স্থানটি থেকে।

এমন সৌন্দর্য দেখতে প্রকৃতিপ্রেমীরা ভিড় করেন পর্তুগালের পন্টে দা মিসারেলায়। স্থানটি মূলত জনপ্রিয় ‘পন্টে দা মিসারেলা’ ব্রিজটির কারণে। পর্তুগালের মন্টেলেগ্রি ও ভেইরা ডি মিনহোর সীমানায় অবস্থিত সেতুটি। বিশ্বজুড়ে এটি পরিচিত ডেভিল’স ব্রিজ নামে।

কেন এটি ডেভিল’স ব্রিজ নামে পরিচিত?

জানা যায়, মধ্যযুগে তৈরি রহস্যময় এক সেতু পন্টে দা মিসারেলা। লোকমুখে প্রচলিত আছে, এই সেতু নাকি খারাপ কোনো আত্মা বা ডেভিলই তৈরি করেছে। সেখানকার খরস্রোতা রাবাগাও নদীর ওপর পাথর দিয়ে তৈরি এই সেতুর রহস্য আজও সমাধান করা যায়নি।

পর্তুগালের ডেভিল’স ব্রিজে লুকিয়ে আছে যে রহস্য

নানা ধরনের অদ্ভুত ঘটনার কারণে রাতে ভূতুড়ে এই সেতুর আশপাশে কেউই যাওয়ার সাহস পান না। লোকমুখে শোনা যায়, এই সেতুতে দাঁড়ালে নিঃসন্তান নারী অলৌকিকভাবে গর্ভবতী হন। এমনকি সেতুতে দাঁড়িয়ে পেছনে তাকানো মৃত্যুরও কারণ হতে পারে! এসব কারণেই সেতুটির নাম ডেভিল’স ব্রিজ।

আরও পড়ুন

মন্টেলেগ্রি ও ভেইরা ডি মিনহো এলাকায় এসব ভৌতিক কাহিনি খুবই প্রচলিত। তাই রাত হলে কেউ আর সেতুর দিকে যান না। একমাত্র যে নিঃসন্তান নারীরা সন্তান কামনায় মাঝরাতে ওই সেতুতে যান।

পর্তুগালের ডেভিল’স ব্রিজে লুকিয়ে আছে যে রহস্য

স্থানীয়দের বিশ্বাস, সেতুতে অপেক্ষা করলে নিঃসন্তান দম্পতির কোলে সন্তান আসে। তবে ব্রিজ অদৃশ্য হয়ে যাওয়ার কোনো ঘটনা আজও ঘটেনি। এটি শুধুই কুসংস্কার।

জানা যায়, ১৯ শতকের গোড়ার দিকে উপদ্বীপ যুদ্ধের সময় ফরাসি সৈন্যরা ব্রিটিশ বাহিনীর কাছ থেকে পালানোর জন্য সেতুটি ব্যবহার করেছিল।

বর্তমানে ব্রিজটি দর্শনার্থীদের কাছে বেশ জনপ্রিয়। বিশেষ করে গরমে সেখানকার জলপ্রপাত, সবুজ ঘন জঙ্গল ও খরস্রোতা নদীর সৌন্দর্য উপভোগ করতে অনেক দর্শনার্থীই ভিড় করেন।

সূত্র: আটলাস অবসকিউর

জেএমএস/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।