আন্দামান দ্বীপপুঞ্জে যা কিছু দেখে অবাক বনে যাবেন!

ভ্রমণ ডেস্ক
ভ্রমণ ডেস্ক ভ্রমণ ডেস্ক
প্রকাশিত: ১২:১৬ পিএম, ২১ জুন ২০২৪
ভারতের আন্দামান দ্বীপপুঞ্জে ঘুরতে যাওয়ার শখ অনেকের মনেই

ভারতের আন্দামান দ্বীপপুঞ্জে ঘুরতে যাওয়ার শখ অনেকের মনেই আছে। তবে সবার তো আর সামর্থ্য হয় না বিদেশে ঘুরতে যাওয়ার! তবে আপনি যদি এরই মধ্যে সেখানে ঘুরতে যাওয়ার পরিকল্পনা করেন তাহলে অবশ্যই কয়েকটি স্থান ঘুরে আসতে ভুলবেন না।

বঙ্গোপসাগরের তীরবর্তী এই দ্বীপপুঞ্জ অবসর সময় কাটানোর সেরা গন্তব্য হতে পারে। চলুন তবে জেনে নেওয়া যাক আন্দামান দ্বীপপুঞ্জ ভ্রমণে কী কী করবেন ও কোথায় কোথায় ঘুরবেন-

স্কুবা ডাইভিং

আন্দামান দ্বীপপুঞ্জ হচ্ছে স্কুবা ডাইভিংয়ের জন্য বিশ্বের সেরা জায়গাগুলোর একটি। সবুজাভ পানি, বর্ণিল প্রবাল শৈবালসমূহ ও সমৃদ্ধ সামুদ্রিক জীবন উপভোগ করতে স্কুবা ডাইভিংয়ের বিকল্প নেই।

এজন্য একজন গাইডের প্রয়োজন হবে আপনার, তারপর স্কুবা গিয়ার পরে মাছের মতো সাঁতরে সমুদ্রের তলদেশে বিচরণ করুন। সাঁতারে একটু বিরতি দিয়ে সাগরতলে কিছুক্ষণ হাঁটাহাঁটিও করতে পারবেন। এজন্য সঠিক পোশাক পরতে হবে।

বারাতাং দ্বীপের চুনাপাথরের গুহা

বারাতাংয়ের গুহাসমূহে যাতায়াতের জন্য ফেরির ব্যবস্থা আছে। খেয়াল করে সঠিক জুতা পরে যান। কারণ গুহার ফ্লোরে খাঁজকাটা পিলার ও পাথর আছে। সংকীর্ণ মেঝেতে আয়েশি ভঙ্গিতে হাঁটা তেমন সহজ নয়।

তোতা দ্বীপ

অ্যাডভেঞ্চারপ্রেমীদের জন্য এসব গুহা সত্যিই দারুণ। পাখি দেখার শখ থাকলে যেতে পারেন তোতা দ্বীপে। সূর্যাস্তের সময় অসংখ্য পাাখি কিচিরমিচির করে তাদের আবাসস্থলে ফেরে।

আরও পড়ুন

জেলে যান

সেখানকার বিখ্যাত সেলুলার জেল দেখতেও যেতে পারেন। অনেক বলিউড সিনেমায় ভিলেনদেরকে (কখনো নায়কদেরকে) কালাপানির জেলে বন্দি করা হয়েছে।

বাস্তবে ব্রিটিশরা ভারতের অনেক স্বাধীনতাকামী যোদ্ধাদেরকে এই জেলে বন্দি করে রেখেছিলেন। সেলুলার জেল পরিদর্শন করে ইতিহাসের শিক্ষা নিন। কারাগারটির নির্মাণ কাজ শেষ হয় ১৯০৬ সালে।

চিদিয়া তপু ভ্রমণ

এটি ‘বার্ড আইল্যান্ড’ বা পাখির দ্বীপ নামেও পরিচিত। এই নাম হয়েছে বিভিন্ন প্রজাতির পাখির ব্যাপক বৈচিত্র্যের কারণে। এই সৈকতের সূর্যোদয় ও সূর্যাস্তের দৃশ্য এককথায় নজরকাড়া।

ব্যারেন দ্বীপের আগ্নেয়গিরি

সমগ্র ভারতের একমাত্র সক্রিয় আগ্নেয়গিরি এটি। যতো অ্যাডভেঞ্চারপ্রেমী এটি দেখতে যান তারা এই আগ্নেয়গিরি-দর্শনের কথা সহজে ভুলতে পারেন না। মানব-সৃষ্ট কারণে ব্যারেন দ্বীপ বসবাসের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।

জেএমএস/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।