মহাকাশ থেকেও দেখা যায় যে স্থান
পৃথিবীর বিভিন্ন স্থানে অবাক করা দর্শনীয় স্থান আছে। যা দেখতে দেশ-বিদেশের মানুষেরা ছুটে যান নির্দিষ্ট গন্তব্যে। আকাশ থেকে পৃথিবী দেখার সাধও এখন যে কেউ সহজেই পূরণ করতে পারেন।
হেলিকপ্টার থেকে শুরু করে ড্রোন উড়িয়ে কিংবা আকাশে ভেসে নিচের দুনিয়ার দৃশ্য উপভোগ করা সম্ভব। তবে মহাকাশ থেকেও কি পৃথিবীর কোনো স্থান দেখা যায়?
আরও পড়ুন: নতুন বছরে সঙ্গীকে নিয়ে ঘুরে আসুন নীলগিরি
আসলে পৃথিবীর অস্তিত্ব মহাবিশ্বে একটি দাগের মতো! তবে জানলে অবাক হবেন, পৃথিবীর কিছু আশ্চর্যজনক স্থান মহাকাশ থেকেও দৃশ্যমান।
পৃথিবীকে প্রদক্ষিণকারী মহাকাশ স্টেশনগুলো থেকে অবিশ্বাস্য কয়েকটি দর্শনীয় স্থানের ছবি ধরা পড়েছে। যেসব ছবি প্রকাশ করেছে নাসা।
গিজার গ্রেট পিরামিড
মিসরের গিজার পিরামিড এক রহস্যের নাম। সেখানকার বিভিন্ন বিষয় নিয়ে যুগ যুগ ধরে চলছে গবেষণা। অবাক করা বিষয় হলো, মহাকাশ থেকেও দেখা যায় গিজার পিরামিড।
আরও পড়ুন: ভারতের যে ৫ স্থানে বেশি ভিড় করেন পর্যটকরা
ইতিহাস থেকে জানা যায়, প্রায় সাড়ে ৪ হাজার বছর আগে প্রাচীন মিশরীয়রা এই পিরামিড নির্মাণ করেন। ২০০১ সালে নাসার মহাকাশচারীরা প্রথম মহাকাশ থেকে গিজার পিরামিডের ছবি তোলে।
হিমালয়
প্রায় ২০ হাজার ফুট উচ্চতার ১০০টিরও বেশি পর্বতচূড়া ২৬ হাজারেও বেশি উচ্চতার ১৪টি পর্বতচূড়াসহ হিমালয় পর্বতমালা গঠিত। এই পর্বতমালা পৃথিবীর সৌন্দর্য্যকে মহিমান্বিত করে।
বিশ্বের অনেক পর্বতারোহীই এ পর্যন্ত হিমালয় জয় করেছেন, আবার অনেকে ব্যর্থ হয়েছেন এমনকি কেউ কেউ মৃত্যুবরণও করেছেন।
আরও পড়ুন: মেঘালয় ভ্রমণে কোন কোন স্পট ঘুরে দেখবেন?
জানেন কি, পৃথিবীর এই বিস্ময়কর পর্বতমালার দৃশ্য দেখা যায় মহাকাশ থেকেও। স্যাটেলাইটের ছবিতে ধরা পড়েছে হিমালয়ের তুষার-ঢাকা পর্বতচূড়াগুলো।
গ্র্যান্ড ক্যানিয়ন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র
পর্যটকদের কাছে বিস্ময়কর এক স্থান হলো যুক্তরাষ্ট্রের এই গ্র্যান্ড ক্যানিয়ান। পুরো গ্র্যান্ড ক্যানিয়নের সাক্ষী হওয়া কারও পক্ষেই সম্ভব নয়। এজন্য পাড়ি দিতে হবে ৪৪৬ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের গিরিখাত।
তবে আপনি যদি মহাকাশে যান তাহলে সেখান থেকেই পুরো গ্র্যান্ড ক্যানিয়ান দর্শন করতে পারবেন। মহাকাশ থেকে গ্র্যান্ড ক্যানিয়ন একটি সর্পিল নদীর মতো দেখায়।
আরও পড়ুন: ঢাকার আশপাশে কোথায় গিয়ে দেখবেন সরিষা ক্ষেত?
আমাজন নদী
নীল নদের পরে আমাজন হলো বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম নদী। যদিও কখনো কখনো এটিই দীর্ঘতম হিসেবে বিবেচিত হয়। দক্ষিণ আমেরিকার ৯টি দেশের মধ্য দিয়ে ৬ হাজার ৪০০ কিলোমিটার জুড়ে বিস্তৃত আমাজন নদী।
এর দূরত্ব রোম থেকে নিউ ইয়র্ক সিটির সমান বলে মনে করা হয়। স্যাটেলাইটও এই নদীর পুরো ছবি ক্যাপচার করতে পারেনি।
গ্রেট ব্যারিয়ার রিফ, অস্ট্রেলিয়া
এটি বিশ্বের সাতটি প্রাকৃতিক আশ্চর্যের মধ্যে একটি। যা মহাকাশ থেকে দৃশ্যমান। ২৬০০ কিলোমিটারেরও বেশি জায়গা জুড়ে বিস্তৃত এটি। প্রায় ২৫০০ পৃথক প্রাচীর ও ৯০০ টিরও বেশি দ্বীপ নিয়ে গঠিত।
আরও পড়ুন: শীতের রাতে ক্যাম্পিং করতে যান বাঁশবাড়িয়া সমুদ্রসৈকত
দর্শনীয় প্রবাল পলিপ ও অসংখ্য গ্রীষ্মমণ্ডলীয় সামুদ্রিক প্রজাতির আবাসস্থল হলো গ্রেট ব্যারিয়ার রিফ। এর সাইকেডেলিক রং মহাকাশ থেকেও দেখা যায়।
পাম আইল্যান্ড, দুবাই
দুবাইয়ের পাম দ্বীপপুঞ্জ দেখতে বিশ্বের নানা স্থান থেকে পর্যটকরা সেখানে ভিড় করেন। সংযুক্ত আরব আমিরাতের উপকূলে অবস্থিত এই আইল্যান্ড।
বিশ্বের সবচেয়ে উচ্চাভিলাষী প্রকৌশল প্রকল্পগুলোর মধ্যে এটি একটি বলে প্রমাণিত। সেখানে পাম জেবেল আলি, পাম জুমেইরা ও দেইরা কৃত্রিম দ্বীপ আছে।
আরও পড়ুন: ঢাকার আশপাশে কোথায় গিয়ে দেখবেন সরিষা ক্ষেত?
তবে পাম জুমেইরা হলো বিশ্বের বৃহত্তম কৃত্রিম দ্বীপ। আর অবাক করা বিষয় হলো, এটি মহাকাশ থেকেও দেখা যায়।
টেমস নদী, যুক্তরাজ্য
লন্ডনের টেমস নদী দেখতে লাখ লাখ পর্যটকরা ভিড় করেন সেখানে। এটি বিশ্বের একটি জনপ্রিয় ও বিখ্যাত নদী।
প্রায় ১৪ হাজার ২৫০ ফুট বর্গ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যসহ টেমস নদীটি প্রায় ২৯ কিলোমিটার প্রশস্ত। জানেন কি, মহাকাশ থেকে টেমস নদীও দেখা যায়।
সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া
জেএমএস/এমএস