যে দেশের নেই কোনো রাজধানী
বিশ্বের সব দেশেই রাজধানী আছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের রাজধানীর নাম কমবেশি সবারই জানা। তবে এমন একটি দেশ আছে এই বিশ্বে যার নেই কোনো রাজধানী। দেশটির নাম নাউরু। ছোটো বড় দ্বীপ নিয়ে গঠিত এই দেশকে বিশ্বের ক্ষুদ্রতম দ্বীপ রাষ্ট্রও বলা হয়।
দেশটি দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরের মাইক্রোনেশিয়ায় অবস্থিত। এটি নোরু নামেও পরিচিত। প্রায় ২১ বর্গ কিলোমিটার জুড়ে বিস্তৃত বিশ্বের ক্ষুদ্রতম স্বাধীন প্রজাতন্ত্রিক রাষ্ট্র এটি।
আরও পড়ুন: শীতে মিরসরাই ভ্রমণে ঘুরে আসুন একসঙ্গে ৫ স্পট
এটি বিশ্বের একমাত্র গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্রী দেশ যার এখনও কোনো রাজধানী নেই। ১৯০৭ সাল থেকে নাউরুতে ফসফেট খনন করা শুরু হয়। যা এখনও চলছে।
এত অল্প জনসংখ্যা সত্ত্বেও এখানকার মানুষের মধ্যে দক্ষতার অভাব নেই। কম জনসংখ্যা থাকা সত্ত্বেও এই দেশটি কমনওয়েলথ এবং অলিম্পিক গেমসে অংশগ্রহণ করে আসছে। এই দেশের সরকারি মুদ্রা অস্ট্রেলিয়ান ডলার এবং এই অঞ্চলের অধিবাসীদের বলা হয় নাউরুয়ান।
ইতিহাস অনুযায়ী, প্রায় ৩০০০ বছর আগে মাইক্রোনেশিয়ান ও পলিনেশিয়ানরা এই দেশে দ্বারা বসতি স্থাপন করেন। এদেশে জনসংখ্যা ধীরে ধীরে বেড়েছে তবে সংখ্যাটি অন্যান্য দেশের তুলনায় অনেক কম।
আরও পড়ুন: বরফে ঢাকা পাহাড়ি গ্রাম দেখতে ঘুরে আসুন লাচুং
জানলে অবাক হবেন, এই দেশের আয়ের প্রধান উৎস ফসফেট খনি। কথিত আছে, স্থানটি ঐতিহ্যগতভাবে ১২টি উপজাতি দ্বারা শাসিত ছিল। যার প্রভাব দেখা যায় এদেশের পতাকাতেও।
১৯৬০-৭০ সাল থেকেই এই দেশের আয়ের উৎস ফসফেট খনি। তবে অতিরিক্ত শোষণের কারণে এই আয়ের উৎসও শেষ হয়ে যায়। বর্তমানে এখানে প্রচুর পরিমাণে নারকেল উৎপন্ন হয়।
আরও পড়ুন: যে দেশের পুরুষরা ঘরের দেওয়ালে স্ত্রীর ছবি টাঙিয়ে রাখতে বাধ্য
নাউরুর সৌন্দর্য মনোমুগ্ধকর হলেও সেখানে পর্যটকের ভিড় বিশেষ হয় না। আর এ কারণেই এর সৌন্দর্য ও স্নিগ্ধতা অটুট আছে। এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০১১ সালে এই দ্বীপ রাষ্ট্রে মাত্র ২০০ জন পর্যটক গিয়েছিলেন।
বিদেশিদের ভিড় কম বলেই এখানকার মানুষ স্বাচ্ছন্দ্যে ও সুখে জীবনযাপন করেন। ২০১৮ সালের আদমশুমারি অনুসারে, এখানকার জনসংখ্যা ছিল মাত্র ১১ হাজারের কাছাকাছি। আজও এই দেশ সম্পর্কে খুব কম মানুষই হয়তো খোঁজ খবর রাখেন।
সূত্র: ব্রিটানিকা
জেএমএস/এমএম