শীতে কোথায় ঘুরতে যাবেন?

ভ্রমণ ডেস্ক
ভ্রমণ ডেস্ক ভ্রমণ ডেস্ক
প্রকাশিত: ০১:০৬ পিএম, ১৭ নভেম্বর ২০২৩

দেশের মধ্যেই ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যমণ্ডিত বেশ কিছু স্থান। বছরজুড়েই সেসব স্থানে ভ্রমণপিপাসুদের আনাগোনা দেখা যায়। তবে কয়েকটি স্থান আছে যেখানে শীতে পর্যটকরা বেশি ঘুরতে যান।

আপনিও যদি শীতে পরিবার ও বন্ধুদের সঙ্গে ভ্রমণে যাওয়ার পরিকল্পনা করেন, তাহলে দেশের এই কয়েকটি স্থান থেকে ঘুরে আসতে ভুলবেন না। জেনে নিন শীতে ঘোরার জন্য দেশের সেরা ৫ স্থান সম্পর্কে-

আরও পড়ুন: মালদ্বীপ ভ্রমণে খরচ কমাতে কখন যাবেন?

jagonews24

শ্রীমঙ্গল

চায়ের জন্য বিখ্যাত শ্রীমঙ্গলকে চায়ের রাজধানীও বলা হয়। শীতে শ্রীমঙ্গল গিয়ে ঘুরে আসতে পারেন বেশ কয়েকটি স্থানে। সেখানকার বাইক্কার বিলে গেলে দেখতে পাবেন অতিথি পাখিদের।

এছাড়া ঘুরতে পারবেন লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানে। লাউয়াছড়া উদ্যান ঘুরে যেতে পারেন নয়নাভিরাম মাধবপুর লেক, আদি নীলকণ্ঠ টি কেবিন (সাতরংয়ের চায়ের জন্য বিখ্যাত), সিতেশ বাবুর চিড়িয়াখানা ও চা জাদুঘরে।

jagonews24

পঞ্চগড়

বাংলাদেশের হিমালয় কন্যাখ্যাত জেলা পঞ্চগড়। হিমালয়ের পাদদেশে জেলাটির ভৌগলিক অবস্থান হওয়ায় পঞ্চগড়কে বলা হয় হিমালয় কন্যা। কাঞ্চনজঙ্ঘা বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম পর্বত। প্রতিবছর শীতের সময় বাংলাদেশ থেকে দেখা মেলে এই পর্বতের।

আরও পড়ুন: যে দেশের নাগরিকত্ব মেলে খুব সহজেই

পঞ্চগড় ও তেতুলিয়া থেকে স্পষ্টভাবে দেখা মেলে কাঞ্চনজঙ্ঘার। অক্টোবরের মাঝামাঝি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত দেখা মেলে পর্বতের। শীতের আকাশ মেঘমুক্ত ও পরিষ্কার থাকায় ভেসে ওঠে তুষারশুভ্র হিমালয় ও কাঞ্চনজঙ্ঘা।

তেঁতুলিয়া উপজেলা শহরের সরকারি ডাকবাংলো চত্বর কিংবা জিরো পয়েন্ট থেকে দেখা মেলে পৃথিবীর তৃতীয় বৃহত্তম পর্বতের। পাশাপাশি স্পষ্টভাবে দার্জিলিংয়ের সবুজে ঘেরা পাহাড় শ্রেণীও দেখা যায়।

jagonews24

মারায়ন তং

বান্দরবান জেলার আলীকদম থানার মিরিঞ্জা রেঞ্জে অবস্থিত একটি পাহাড় মারায়ন তং। ত্রিপুরা , মারমা, মুরংসহ বেশকিছু ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠির বসবাস এই পাহাড়ে। ভূ-পৃষ্ঠ থেকে ১৬৪০ ফুট অবস্থায় মারায়ন তংয়ের চূড়া অবস্থিত।

আরও পড়ুন: ইতালির যে ২ শহরে সংসার পাতলেই পাবেন ৩৫ লাখ টাকা

শীতের এই সময় সাদা মেঘে ঢেকে যায় পাহাড়ের চূড়া। আপনার মনে হবে আপনি সাদা মেঘের জমিনের ওপর দাঁড়িয়ে আছেন। চাইলেই এই শীতে ঘুরে আসতে পারেন মারায়ন তং।

jagonews24

চর কুকরি মুকরি

ভোলা জেলার সর্বদক্ষিণে অবস্থিত একটি দ্বীপ কুকরি মুকরি। বর্ষায় ডুবে থাকলেও শীতে এই চর ভেসে ওঠে। বাংলাদেশের অন্যতম সংরক্ষিত বনাঞ্চল ও বৃহৎ বন্যপ্রাণীর অভয়ারণ্য এই দ্বীপ ৷

নাম না জানা অসংখ্যা গাছ ও সারি সারি নারিকেল গাছ সাথে বিশাল বালুময় চর দেখলে আপনার মনে হবে সৈকতে দাঁড়িয়ে আছেন। চাইলে ক্যাম্পিং করে রাত্রিযাপনও করতে পারেন দ্বীপে।

jagonews24

সুন্দরবন

বিশ্বের একক বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ অরণ্য সুন্দরবন। জীববৈচিত্রে সমৃদ্ধ সুন্দরবনের ১ হাজার ৮৭৪ বর্গকিলোমিটার জুড়ে আছে নদীনালা, বিল, রয়েল বেঙ্গল টাইগার’সহ বিচিত্র সব পাখি, চিত্রা হরিণ, কুমির ও সাপসহ অসংখ্য প্রজাতির প্রাণী।

আরও পড়ুন: এক জাহাজে চড়েই শত দেশ ঘুরবেন যেভাবে

এখানে আরও আছে ৩৫০ প্রজাতির উদ্ভিদ, ১২০ প্রজাতির মাছ, ২৭০ প্রাজাতির পাখি, ৪২ প্রজাতির স্তন্যপায়ী, ৩৫ ধরনের সরীসৃপ এবং ৮ টি উভচর প্রাণী। সুন্দরী বৃক্ষের নামানুসারে এই বনের নাম সুন্দরবন রাখা হয়।

শীতকাল সুন্দরবন ভ্রমণের উপযুক্ত সময়। এছাড়াও সুন্দরবন গেলে দেখবেন জামতলা সৈকত, মান্দারবাড়িয়া সৈকত, হীরণ পয়েন্ট, কটকা বিচ ও দুবলার চর।

জেএমএস/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।