মাধুরী দীক্ষিতের নামে জনপ্রিয় এই লেক দেখতে কোথায় যাবেন?
পাহাড়-পর্বত, নদী-নালা, মরুভূমি-সমভূমিতে পরিপূর্ণ ভারতের প্রকৃতি। তবে সেখানে এমন একটি হ্রদ আছে যার নামকরণ হয়েছে বলিউড ডিভা মাধুরী দীক্ষিতের নামে।
সেই ৯০ এর দশকে অরুণাচল প্রদেশের একটি অচেনা পাহাড়ি গ্রামে ছবির শুটিংয়ে গিয়েছিলেন বলিউডের জনপ্রিয় নায়িকা মাধুরী দীক্ষিত। ছবির নাম কয়লা। সহ অভিনেতা ছিলেন শাহরুখ খান।
আরও পড়ুন: কেন বিয়ে হয় না পাহাড়ি এই গ্রামের সুন্দরী নারীদের?
সিনেমা হিট না করলেও তার গানগুলো ছিল সুপারহিট। বিশেষ করে মাধুরী দীক্ষিতের নাচের দৃশ্যগুলো দর্শকের মন কেড়েছিল। আর অরুণাচলের যেই হ্রদকে কেন্দ্র করে মাধুরীর নাচের দৃশ্যগুলো ছিল সেই হ্রদের নামই পরে বদলে যায়। লোকমুখে হ্রদের নাম হয়ে ওঠে মাধুরী হ্রদ।
সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ১৫ হাজার ২০০ ফিট উপরে অবস্থিত অরুণাচল প্রদেশের অপূর্ব সুন্দর হ্রদটির প্রকৃত নাম সঙ্গেতসর হ্রদ। হ্রদটি অবস্থিত অরুণাচল প্রদেশের তাওয়াং জেলায়।
এখানেই এক সময় নিজের সিনেমার একটি গানে নাচ করেছিলেন স্বয়ং মাধুরী দীক্ষিত। তারপর থেকে এই হ্রদের নাম পরিবর্তিত হয়ে হয় মাধুরী লেক। অনেকে বলেন যে, সৌন্দর্যের কারণেও এই হ্রদকে মাধুরী নামে ডাকা হয়।
আরও পড়ুন: ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক যেন এক পর্যটন স্পট
সঙ্গেতসর হ্রদটি থেকে ভারত-চিন সীমানা খুব কাছেই। এই হ্রদের পাশে দাঁড়িয়ে চারপাশ দেখলে মুগ্ধ হয়ে যান সকলে। ভূমিকম্পের ফলে পাথর পড়ে এই প্রাকৃতিক হ্রদের সৃষ্টি হয়। তবে এসব স্থানে ঘুরতে গেলে ভারতীয় সেনাবাহিনীর অনুমতি লাগে।
সঙ্গেতসর হ্রদের উচ্চতা সমুদ্রপৃষ্ঠ প্রায় ১৫ হাজার ২০০ ফিট। স্থানীয়দের মতে, বর্তমান অবস্থান থেকে এই হ্রদ কিছুটা দূরে অবস্থিত ছিল। কথিত আছে যে, হ্রদটি টেকটোনিক প্লেটের স্থানান্তরের কারণে তার স্থান থেকে সরে গেছে।
এর ফলে সেখানকার দেবদারু অরণ্যের একটা বড় অংশ জলের নীচে তলিয়ে গেছে। আজও গাছের উপরের অংশগুলেকে অদ্ভুতভাবে পানির উপরিভাগে ছড়িয়ে থাকতে দেখা যায়।
আরও পড়ুন: মালদ্বীপ ভ্রমণে খরচ কমাতে কখন যাবেন?
সঙ্গেতসর হ্রদের সৌন্দর্য হিমালয়ের সৌন্দর্যের চেয়ে কম কিছু নয়। লেকের চারদিকে আছে দেবদারু গাছ। এখানকার পাহাড়েরর প্রতিচ্ছবি হ্রদের জলে স্পষ্ট পড়ে, তাতে তার সৌন্দর্য আরও বেড়ে যায়।
কীভাবে যাবেন?
ভারত-চিন সীমান্তের কাছে অবস্থিত সঙ্গেতসর হ্রদ দেখতে হলে জেলা প্রশাসকের কাছ থেকে অনুমতি নিতে হবে। অরুণাচলের তাওয়াং থেকে এই হ্রদে পৌঁছাতে সময় লাগে ২ ঘণ্টার মতো। তবে সেখানে শুধু ভারতীয়রাই যেতে পারে।
সূত্র: মেক মাই ট্রিপ/টাইমস অব ইন্ডিয়া
জেএমএস/এমএস