মহামায়ায় গিয়ে যা দেখবেন

মামুনূর রহমান হৃদয়
মামুনূর রহমান হৃদয় মামুনূর রহমান হৃদয় , ফিচার লেখক
প্রকাশিত: ১২:৩১ পিএম, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩

যান্ত্রিক শহরে কাজের চাপ থেকে খানিকটা রেহায় পেতে চাইছিল আলভী। পরিকল্পনা করলেন ঢাকার বাইরে কোথাও ঘুরতে যাবেন। শেষমেষ ঠিক করলেন মহামায়া ইকোপার্ক যাবেন। যা চট্টগ্রামের মীরসরাইয়ে অবস্থিত।

রাজধানীর ঢাকা থেকে চট্রগ্রামগামী যে কোনো আন্তঃনগর ট্রেনে ফেনী স্টেশনে নামতে হবে। শ্রেণীভেদে ট্রেন ভাড়া একেক রকম। সেখান থেকে লোকাল বাসে ৩০-৪০ টাকায় মীরসরাইয়ের ঠাকুরদিঘী বাজার যাওয়া যাবে।

আরও পড়ুন: ঢাকার কাছেই ঘুরে আসুন শাপলার রাজ্যে

এরপর সিএনজি করে মহামায়া ইকোপার্ক। দিকনির্দেশনা মতে আলভী পৌঁছে ৩০ টাকায় টিকেট কেটে মহামায়া ইকোপার্কের ভেতর প্রবেশ করলেন।

তিনি দেখতে পেলেন ছোট-বড় সবুজ পাহাড়ের মাঝে মুগ্ধতা ছড়াচ্ছে লেকের স্বচ্ছ পানি। লেকটি কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে ইকোপার্ক। পাহাড়ের কোলঘেঁষে আঁকাবাঁকা লেকটি দেখতে ক্যানভাসে আঁকা ছবির মতোই সুন্দর।

মহামায়ায় গিয়ে যা দেখবেন

এই অপরূপ সৌন্দর্যের অধিকারী লেকের নাম মহামায়া লেক। আর পুরো পার্কটিকে একত্রে মহামায়া ইকোপার্ক বলা হয়।

আরও পড়ুন: খাগড়াছড়ি ভ্রমণে ঘুরে আসুন ‘মানিকছড়ি ডিসি পার্কে’

বাংলাদেশের ২য় বৃহত্তম এ কৃত্রিম এই লেকটির আয়তন প্রায় ১১ বর্গ কিলোমিটার। পাহাড়ি ঝরনা আর স্বচ্ছ পানি এ লেকের অন্যতম প্রধান আকর্ষণ। আর জলাধারের মাঝ থেকে দূরের মাটিতে তাকালে মনে হবে সবুজের চাদর বিছিয়ে রাখা আছে।

মহামায়ায় গিয়ে যা দেখবেন

যান্ত্রিক শহরের ব্যস্ততা কমিয়ে প্রকৃতির মাঝে হারানোর জন্য শান্ত ও কোলাহলমুক্ত সুন্দর পর্যটনকেন্দ্র এটি। এখানে আসলে বন্ধুদের সঙ্গে নিয়ে ডিঙ্গি নৌকায় ঘণ্টায় ২০০ টাকায় চরে ঘুরতে পারেন মহামায়া লেকের নীল জলরাশির মাঝে।

হারিয়ে যেতে পারেন পাহাড়ের আঁকাবাঁকা পথের অপরূপ সৌন্দর্যের মায়ায়। চাইলে নিরিবিলি স্থানে বসে বড়শি দিয়ে মাছও ধরতে পারেন।

মহামায়ায় গিয়ে যা দেখবেন

আরও পড়ুন: এ সময় শ্রীমঙ্গল ভ্রমণে কী দেখবেন, কোথায় থাকবেন?

আরও আছে বিকেলে পশ্চিম আকাশে ডুবতে থাকা সূর্য। যার সৌন্দর্য লেখায় ফুটিয়ে তোলা সহজ নয়। দেশের পাশাপাশি অনেক বিদেশি পর্যটকও আসেন মহামায়া ইকোপার্কের রূপের প্রশংসা করতে। কেউ কেউ পিকনিক স্পট হিসেবেও খাবার নিয়ে বেড়াতে আসেন।

মহামায়ায় গিয়ে যা দেখবেন

আছে লেকপাড়ের বিশাল খেলার মাঠে। ঘোরাঘুরি আর আড্ডায় সূর্য ডোবার পথে। ক্লান্ত শরীর নিয়ে আলভী বাইরে বেড়িয়ে আসলেন। তবে তার মন বলছিলো আরেকটু থাকতে। তবে রাতে এখানে ঘোরাঘুরি না করাই ভালো।

লেখক: ফিচার লেখক ও গণমাধ্যমকর্মী

জেএমএস/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।