এক ভবনেই ২০ হাজার মানুষের বাস

ভ্রমণ ডেস্ক
ভ্রমণ ডেস্ক ভ্রমণ ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৪:১৪ পিএম, ১৮ জুন ২০২৩

চীনের হ্যাংঝোতে অবস্থিত রিজেন্ট ইন্টারন্যাশনাল অ্যাপার্টমেন্ট বিল্ডিংয়ে প্রায় ১০-২০ হাজার মানুষ বাস করেন। এই ভবনের নাম ‘হ্যাংঝো রিজেন্ট ইন্টারন্যাশনাল’।

এটি মূলত একটি বিলাসবহুল ছয়-তারা হোটেল হিসেবে নির্মিত হলেও পরবর্তী সময়ে এটি একটি শেয়ার্ড অ্যাপার্টমেন্ট কমপ্লেক্সে রূপান্তরিত হয়েছে। সেখানে প্রচুর ইন্টারনেট সেলিব্রিটি ও অনলাইন প্রভাবশালীরা বাস করেন।

আরও পড়ুন: সিলেট গিয়ে দেখে আসুন এশিয়ার সবচেয়ে স্বচ্ছ নদী

এটি বর্তমানে একটি ল্যান্ডমার্কে পরিণত হয়েছে। এর কারণ হলো এর বিশিষ্ট উচ্চ-উত্থান কাঠামো ও আকর্ষণীয় নকশা। মেট্রো লাইন ২ থেকে মাত্র ৪ মিনিটের হাঁটার দূরত্ব এই ভবন।

এই চিত্তাকর্ষক ভবনটি ২০৬ মিটার লম্বা। ৩৯ তলাবিশিষ্ট এই ভবনে আছে উন্নত জীবনধারণের সব ধরনের ব্যবস্থা। যেমন- একটি বিশাল ফুড কোর্ট আছে সেখানে, আরও আছে সুইমিং পুল, নাপিতের দোকান, নেইল সেলুন, মাঝারি আকারের সুপারমার্কেট ও ইন্টারনেট ক্যাফে।

২০১৩ সালে উদ্বোধনের পর থেকেই এটি জনপ্রিয় ভবন হিসেবে পরিচিত হয়ে ওঠে। এর বাসিন্দাদের বেশিরভাগই তরুণ পেশাদার, যারা সম্প্রতি কলেজে বা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ছেন। ছোট ব্যবসার পাশাপাশি তরুণ তারকাদেরও খুঁজে পাবেন সেখানে।

আরও পড়ুন: পাহাড়জুড়ে বিশাল রেস্টুরেন্ট, একসঙ্গে খেতে পারেন ৫৮০০ জন

চীনা সংবাদ সংস্থা সিনার একটি নিবন্ধ অনুসারে, জানালা ছাড়া ছোট অ্যাপার্টমেন্টগুলো সাধারণত প্রতি মাসে প্রায় ১৫০০ আরএমবি (২২০ ডলার) ভাড়া নেয়।

অন্যদিকে বারান্দাসহ বড় ইউনিটগুলোর ভাড়া ৪০০০ আরএমবি (৫৫০ ডলার) পর্যন্ত বা তারও বেশি হতে পারে। কোলাহলপূর্ণ পরিবেশের বিচারে রিজেন্ট ইন্টারন্যাশনালের প্রচুর ভাড়াটে আছে।

২ লাখ ৬০ হাজার বর্গ মিটারেরও বেশি জায়গাজুড়ে অবস্থিত হ্যাংঝো রিজেন্ট ইন্টারন্যাশনাল অ্যাপার্টমেন্ট চীনের সবচেয়ে বড় ভবন। বর্তমানে এই ভবনে ঠিক কতজন বাস করেন তা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় নানা বিতর্ক আছে।

তবে এর কক্ষের সংখ্যা বিচার করে ধারণা করা হয় ভবনটিতে ১০-২০ হাজার মানুষ বাস করেন। রিজেন্ট ইন্টারন্যাশনালের ছবি ও ভিডিওগুলো গত মাসে পশ্চিমা সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হতে শুরু করেছে।

সূত্র: অডিটি সেন্ট্রাল/ম্যান্ডি নিউজ

জেএমএস/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।